بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/12706/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا
تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى
يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ
أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا
عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ )
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার
আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি
খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।(সুনানু
তিরমিযি-২৪১৬)
: গল্প-উপন্যাস যেগুলোর কথা আপনি উল্লেখ করেছেন, সবগুলোই পড়া জায়েজ। শর্ত হচ্ছে দুটি। প্রথমত, অশ্লীল ও যৌন সুড়সুড়ি দেয় এমন কিছু হতে
পারবে না। কারণ, এগুলো
পড়লে এর মাধ্যমে আপনি নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে ধাবিত হবেন। অনেক গল্প আছে, যেগুলোতে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য
অনৈতিক কথাবার্তা উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, ইসলামী শরিয়তে হারাম, নিষিদ্ধ, গর্হিত—এ ধরনের
কোনো বিষয় যদি সেখানে এসে যায়, তাহলে সেটাও নিষিদ্ধ হবে। যেমন শিরক শিক্ষা দিচ্ছে, যৌনতার শিক্ষা দিচ্ছে, মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষা দিচ্ছে, যদি এমনি কিছু সেখানে থাকে, তাহলে সেগুলো পড়বেন না।
কিন্তু এমন গল্প, যেখানে সামাজিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, সমাজের হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা সম্পর্কে
বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে বা বিজ্ঞানের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে বা বর্তমান প্রাণিজগৎ
সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে, তাহলে সেগুলো পড়লে মানুষের জ্ঞান সমৃদ্ধ
হয় এবং মানুষের কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এগুলো জ্ঞানের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এ জন্য এ ক্ষেত্রে সেগুলো জায়েজ। কারণ, নিষিদ্ধ বা হারাম কাজ সেখানে নেই। সুতরাং
আমরা যে দুটি শর্ত বলেছি, এই দুটি
শর্ত যদি না থাকে, তাহলে এ
ধরনের উপন্যাস, গল্প, কবিতা পড়া জায়েজ। বিস্তারিত জানতে ভিজিট
করুন- https://www.ifatwa.info/8981
তবে কল্পকাহিনি আপনি পড়তে পারবে না। বিস্তারিত জানুন-বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/9545
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যাদের মূল বই কেনার সামর্থ্য আছে তাদের জন্য প্রশ্নেল্লিখিত পদ্ধতিতে বই ক্রয় করা জায়েয নেই। তবে যাদের সামার্থ্য নেই, তাদের ক্ষেত্রে শুধু নিজে পড়ার জন্য এসব বই ক্রয় করা অনেক উলামায়ে কেরামের মতে জায়েজ আছে। তবে মূল মালিকের অনুমতি ব্যতীত বই পাইরেটেড
করে বিক্রি করা বা ব্যবসা করা জায়েজ নাকি নাজায়েজ এ বিষয়ে মতভেদ
আছে। তবে বিক্রি
করা নাজায়েজ হওয়াটাই অধিক গ্রহণযোগ্য। [ইসলাম আওর জাদীদ মাআশী মাসায়েল-৩/৮৬, ফাতাওয়া রহীমিয়া-৯/২১৯, জাদীদ-৯/২১৯-২২০, মুন্তাখাব নিজামুল ফাতাওয়া-২/৪৫৮, ফাতাওয়া কাসিমিয়া-২৩/১৮৫]