بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/30426/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
দ্বীনি শিক্ষা হোক বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান
হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের
ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক।
কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ
النِّسَاء
মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা
আলি ইমরান ১৪)
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى
الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ
আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর
ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)
ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,
فلا يجوز
للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن
لها بذلك
সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা
জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না
তাকে এর অনুমতি দেয়া। (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা
১২/১৫৬)
সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ https://www.ifatwa.info/434
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. বেপর্দা অবস্থায় ফ্রিমিক্সিং পরিবেশে ছেলে মেয়ে একত্রে প্রাইভেট পড়া জয়েয নেই
। এটি কবীরা গুনাহ। তবে যদি পর্দাকেই কেউ অস্বীকার করে বা তা
নিয়ে বিরুপ মন্তব্য, হাসি, ঠাট্টা করে, তাহলে সে মুরতাদ হবে।
২. পর্দা নিয়ে ঠাট্টা করলে সে মুরতাদ হয়ে যাবে। তবে
পর্দা ফরজ বিশ্বাস করার পরও যদি কেউ বেপর্দায় থাকে তাহলে তাকে কবীরা গুনাহকারী বলা
হবে। এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে:
https://ifatwa.info/20220/
https://ifatwa.info/434/