ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যেহেতু এখানে সম্পূর্ণ ইসলামি আইন বাস্তবায়ন একা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নয় বরং সবার দায়িত্ব। তাছাড়া সিংহভাগ বিধি-বিধান যেহেতু ইসলামের মূলনীতির আলোকে সমর্থনযোগ্য তাই দস্তখত দেওয়ার রুখসত থাকবে। হ্যা, দস্তখত দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলে, তখন দস্তখত না দেয়াই উত্তম হবে।
(২)
الظِّهَارُ هُوَ تَشْبِيهُ الزَّوْجَةِ أَوْ جُزْءٍ مِنْهَا شَائِعٍ أَوْ مُعَبَّرٍ بِهِ عَنْ الْكُلِّ بِمَا لَا يَحِلُّ النَّظَرُ إلَيْهِ مِنْ الْمُحَرَّمَةِ عَلَى التَّأْبِيدِ وَلَوْ بِرَضَاعٍ أَوْ صِهْرِيَّةٍ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ سَوَاءٌ كَانَتْ الزَّوْجَةُ حُرَّةً أَوْ أَمَةً أَوْ مُكَاتَبَةً أَوْ مُدَبَّرَةً أَوْ أُمَّ وَلَدٍ أَوْ كِتَابِيَّةً
স্ত্রীকে মাহরামে আবদি যেমন মা,বোন ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গের উল্লেখযোগ্য কোনো অঙ্গের দিকে বা এমন কোনো অঙ্গের সাথে তুলনা করা যেই অঙ্গের দিকে তাকানো হারাম।মাহরামে আবদি দুধ সম্পর্কের কারণে হোক বা বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে হোক। এবং স্ত্রী চায় আযাদ হোক বা বাদি হোক কিংবা মুকাতাব বা উম্মে ওলাদ হোক।জিহার হবে।ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০৬)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললে যে, "তোমাদের(স্ত্রী, স্ত্রীর মা(অর্থাৎ আমার শাশুরী), স্ত্রীর বোন(অর্থাৎ আমার শ্যালিকা)- নিতম্ব/পাছা বড়"। এদ্বারা জিহার হবে না। নিজের মা বোনের কোনো অঙ্গের সাথে স্ত্রীর তুলনা করলে কেবল তখনই জিহার হবে।