আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
147 views
in পবিত্রতা (Purity) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম।
 

১) আমি পবিত্রতা মেনে চলতে সচেষ্ট।  এখন যারা দাঁড়িয়ে পেশাব করে বা পেশাবের পর পবিত্রতা ভালো করে অর্জন করে না। তারা আমার কোনো ব্যবহৃত সামগ্রী ব্যবহার করলে কি সেটা নাপাক হয়ে যাবে? কারণ অনেক সময় মানুষের হাত পা শরীর ঘামে। 


 

২) আমার ছোট ভাই সম্ভবত দাঁড়িয়ে পেশাব করে বলে আমি সন্দেহ করি। কারণ বাথরুমের বাহির থেকে শব্দ শুনে তাই মনে হয়। যদিও বাথরুমের আশেপাশে আমি সবসময় থাকি না। তাই সে সবসময় দাঁড়িয়ে পেশাব করে নাকি, তারপর সবসময় পা ধোয় নাকি তা জানি না। এখন সে আমার সু জুতা ব্যবহার করলে সেটা কি ধৌত করতে হবে? উল্লেখ্য সে বলেছে সে পেশাব তো পায়ে করে নাই আর মোজা পরছিল। যদিও ধৌত করলে জুতা নষ্ট হতে পারে। এর আগেও একটা নষ্ট হয়েছিল। 


 

৩) এক সময় আমি নিজেও পবিত্রতার ব্যাপারে কিছুটা অজ্ঞ ছিলাম। তেমন পবিত্রতা মানা হতো না। বালেগ হওয়ার পর যতোটুকু মনে পড়ে আমি বা অন্য কেউ লেপে কেউ পেশাব করে নাই। এখন পেশাবের পর পরই কেউ পানি নিয়ে ফেলছে। হয়তো তারপরও পেশাব কিছু বের হতে পারে। বা অন্যকেউ দাঁড়িয়ে পেশাব করেছে। তার পেন্টে বা পায়ে পেশাব লেগেছিল। সে এসে লেপ উরেছে।উল্লেখ্য নাপাক কখন হয়েছে কতটুকু হয়েছে বা আদৌও লেগেছে নাকি সব সম্ভাবনা। 

এখন এভাবে ইন্ডাইরেক্টলি নাপাক লাগার সম্ভবনার ক্ষেত্রে কি করনীয়? উল্লেখ্য শুধু লেপ নয় সকল বস্তুর আলোকে উত্তর দিলে উপকৃত হতাম। রেফারেন্স সহ বললে উপকৃত হতাম।  


 

৪) বিকাশে অ্যাকাউন্ট খোলার পর আমি আমার বিকাশের ব্যালেন্সে দেখি ২৫ টাকা আছে। বিকাশ থেকে বলছে এটা ক্যাশব্যাক অফার। যদিও আমি বিকাশ ব্যবহার করে কোন কিছু ক্রয় করিনি। নতুন একাউন্ট খুললে ব্যালেন্সে সবারই কিছু অর্থ যোগ হয়। এই যোগ হওয়া অর্থ ব্যবহারের বিধান কি?  


 

৫) বিকাশ ব্যবহার করে কোথা থেকে কিছু কিনলে ক্যাশব্যাক অফার পাওয়া যায়। এটা ঐ শপের আউটলেটে বা ক্যাশিয়ারে ওখানে থাকে। এই গুলো নেয়ার শরয়ী বিধান কি?  

 

জাযাকাল্লাহু খাইরান।








 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো কিছুকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।

এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।
,
ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,

যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....

ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)

ভাবার্থঃপূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।(আল-আশবাহ ওয়ান নাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য) 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো কিছুকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের হাতে যে নাপাকি আছে,সে সম্পর্কে তো আপনি নিশ্চিত নন।
তাই তারা আপনার কোনো ব্যবহৃত সামগ্রী ব্যবহার করলেই সেটা নাপাক হয়ে যাবেনা।

হ্যাঁ যদি তাতে আপনি নাপাকির গন্ধ/চিহ্ন পান,সেক্ষেত্রে সেটি নাপাক বলে বিবেচিত হবে। 

(০২)
সে আপনার সু জুতা ব্যবহার করলে সেটা ধৌত করা আবশ্যক নয়।

(০৩)
এক্ষেত্রে উক্ত লেপ এ নাপাকির গন্ধ/চিহ্ন পাওয়া গেলে সেটি নাপাক

নতুবা সেটি পাকই থাকবে।

(০৪)
এই যোগ হওয়া অর্থ ব্যবহার করা জায়েজ আছে। এটি বিকাশের পক্ষ থেকে গ্রাহকের জন্য হাদিয়া।

(০৫)
এ ধরনের ক্যাশব্যাক গ্রহন করা জায়েজ আছে।
এতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন হতে সমস্যা নেই।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...