আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in সালাত(Prayer) by (22 points)
আসলামুআলাইকুম ভাই,

আমার ভাবির এক সপ্তাহ আগে অপারেশন হয়েছে। অপারেশন হওয়ার পর থেকে মাসিকের রাস্তা দিয়ে ৫-৬ দিন রক্ত গিয়েছে। তার মাসিক এ মাসের ১ তারিখে হয়েছিল। আবার অপারেশনের সাথে সাথে শুরু হল এখন সে বুঝতে পারতেছে না এটা মাসিক ছিল নাকি অপারেশন করার পরে যে রক্ত। ডাক্তার এটা বলেছিল অপারেশনের পরে মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত যাবে এটা কোন সমস্যা না। কিন্তু এটা মাসিক কিনা এটা বুঝতে পারতেছি না। কিন্তু এই টাইম মাসিকের মতোই ছিল যার জন্য এখন সে ফরজ গোসল দিতে পারতেছে না। তার পেটে সেলাই দেওয়া পানি লাগলে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে আর ফরজ গোসলের জন্য প্রত্যেকটা শরীরের অঙ্গ ভিজাইতে হয় যেটা আমরা জানি এমত অবস্থায় সে কিভাবে নামাজ আদায় করবে সে বুঝতেও পারতেছে। বেশি টাইম বসে থাকতে পারছে না।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ভাবির এক সপ্তাহ আগে অপারেশন হয়েছে। তারমানে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখে অপারেশন হয়েছে,আর তারপর থেকে মাসিকের রাস্তা দিয়ে ৫-৬ দিন রক্ত গিয়েছে। তার মাসিক এ মাসের ১ তারিখে হয়েছিল। 

সুতরাং এক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো ডিসেম্বরের ০১ তারিখে শুরু হওয়া তার মাসিক কবে শেষ হয়েছিলো?

যেদিন সেই মাসিক শেষ হয়েছিলো,সেদিন হতে যেহেতু নুন্যতম ১৫ দিন পবিত্রতার দিন হয়ে থাকে,সুতরাং এই রক্ত হায়েজ নয়।

এটি ইস্তেহাজা।

সুতরাং এমতাবস্থায় গোসল ফরজ হবেনা।
গোসল ছাড়াই সে প্রত্যেক ওয়াক্তে অযু করে পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
ভাবির ডিসেম্বর ১ তারিখে মাসিক হয় আর ৬ তারিখে মাসিক শেষ হয়।আর তার জরায়ুতে অপারেশন হয় ১৭ তারিখ। সে রক্ত ছিল ৫ দিন হয়তো। মাসিক শেষ হওয়ার দিন থেকে শুরু করে ১৭ তারিখ পর্যন্ত ১২ দিন হচ্ছে।
by (682,440 points)
এটি হায়েজ নয়।
বরং ইস্তেহাজা।
by
eta to nefas hobe. bisoy ta ektu tahkik kore janaben shayekh.
by (682,440 points)
আপনার ভাবির তো বাচ্চা হয়নি,সুতরাং নেফাস হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 514 views
0 votes
1 answer 94 views
0 votes
1 answer 255 views
...