আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
250 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (51 points)
আমার বাচ্চার সাথে মশকরা করে তার হাত শক্ত করে ধরি যেন ছুটতে না পারে। এবং তখন হটাত করে বলে ফেলি - ইয়া ঠুস । এতে কি ঈমানে কোন সমস্যা হবে? ভুল করে এমনটা হয়েছে। ইয়া ঠুস এটি এমনিতেই বলা। কোন কিছুই এর দ্বারা বুঝাই নি।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনের কোনো আয়াত,মহান আল্লাহর নাম,রাসুলুল্লাহ সাঃ, হাদীস, ও শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা,গালি গালাজ করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

আরো জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিন্ত মনে থাকুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (51 points)
আমার জন্ডিস হওয়ার কারণে আমার মা আমাকে বলে তুমি অমুকের কাছ থেকে ওষুধ খাও। আমি হটাত করে  বলেছি ভুয়া অর্থাৎ আমি ওষুধ কে ভুয়া বলেছি। এখন কবিরাজ যদি কুরআনের কালাম দিয়ে ওষুধ বানায় তাহলে আমার এমন ভুয়া বলার কারণে  কি কোন সমস্যা হবে?
by (574,050 points)
সমস্যা হবেনা। 
by (51 points)

আসসালামু আলাইকুম

আমার বাড়ি গাজীপুর। আমার ভাই ঢাকা থেকে গাজীপুর এসেছে। বিশ্ব ইজতেমায় টঙ্গিতে অনেক ভিড় হয়। তাই আমার ভাই তাড়াতাড়ি ইজতেমার  আগেই ঢাকা ফিরে যেতে চেয়েছে। এমতাবস্তায়, আমার মা আমার ভাইকে বলেছে তুমিও আসলা আর এজতেমা শুরু হয়েছে [আমার যতদূর মনে পড়ে] তখন আমি পাশে উপস্থিত ছিলাম। এবং আমি হেসেছিলাম একথা শুনে। পড়ে মনে হল এমন হাসা আমার ঠিক হয়নি।

এখন আমার প্রশ্ন হল – বিশ্ব ইস্তেমা সম্পর্কে আমার মার এমন উক্তি বলা এবং আমার হাসার দরুন আমাদের কি ঈমানে কোন সমস্যা হবে? 

by (574,050 points)
না,এতে আপনাদের ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা। 
by (51 points)

আসসালামু আলাইকুম,

আমি একজন ওয়া ওয়াসা গ্রস্ত ব্যক্তি। আমি আপনাদের এ সম্পর্কিত আপনাদের কোশটি করেছি। এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। অনেক দিন ভালো ছিলাম। কয়েকদিন ধরে কেমন যেন লাগছে। গতকাল দুপুরে খাওয়ার পর ঘুমাতে যাই। শুয়ে শুয়ে হটাত মনে পড়ল আমি এক ওয়াজে শুনেছে জাতীয় সঙ্গীত এ মা দ্বারা হিন্দুদের মূর্তির কথা বলা হয়েছে। আমার কেন যেন বিষয়টি মনে পড়ল। এবং হাল্কা ঘুমের মধ্যে মা শব্দটি বিড়বিড় করে উচ্চারন করে নাকি মুখ বন্ধ করে বললাম আমি মনে করতে পারছি না। এটি সম্ভবত মূর্তিকে উদ্দেশ্য করে নাকি আমি মনে করতে পারছি না।

ঘুমাতে পারছি না বারবার একই চিন্তা আসছে এবং আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম। একটু পর বিছানা তে বসে পরলাম এবং ভাবলাম এ সম্পর্কে এবং চিন্তা করলাম কিভাবে উচ্চারন হল। আমি চেষ্টা করলাম বুঝার।এবং চিন্তা করলাম মূর্তি নিয়ে সম্ভবত এবং এর মধ্য আবার ও মা শব্দটি উচ্চারিত হল মুখ দিয়ে।

 

এখন কি করব ভেবে না পেয়ে আপনাদের নিকট প্রশ্ন করলাম। এতে কি ইমানের কোন সমস্যা হবে? 

by (574,050 points)
আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...