আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
131 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আচ্ছা দ্বীনি ভাই
যেমন ধরেন আসরের ৪ রাকাত সুন্নত,এশার ৪ রাকাত সুন্নত, মাগরীবের ২ রাকাত নফল,এশার ২ রাকাত নফল, এই নামাজ গুলোর সওয়াব বেশি না তাহাজ্জুদ এর?
হাদীসে আছে তাহাজ্জুদ এর ফজীলত ফরজ সালাত গুলার পড়েই।এখন এটা কি শুধু ৫ ওয়াক্ত সালাতের ১৭ রাকাত এর পড় নাকি সুন্নাতে মুয়াক্কাদা,ওয়াজিব, নফল(৫ওয়াক্ত নামাজের নফল গুলা) নামাজের পড়?

1 Answer

0 votes
by (697,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফরয নামায আদায় করার পর ওয়াজিব ও সুন্নতে মু'আক্কাদা নামাযের স্থর।তারপর স্থর হল,প্রত্যেক নামাযের সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদা নামাযের।এবং তাহাজ্জুদেরও ফযিলত রয়েছে।

যদি কেউ ফরয এবং ফরয পরবর্তী সুন্নতে মু'আক্কাদা ও সুন্নতে গায়রে মু'আক্কাদা নামায পড়ার পর তাহাজ্জুদের নামায পড়ে,তাহলে এই তাহাজ্জুদ নামাযের ফযিলত অনেক।

সুন্নত দুই প্রকার যথাঃ- (১)মু'আক্বাদা (২)গায়রে মু'আক্বাদা
সুন্নতে মু'আক্বাদা পালন করলে সওয়াব রয়েছে,এবং ছেড়ে দিলে অবশ্যই গোনাহ হবে।আর গায়রে মু'আক্বাদা পালন না করলে কোনো গোনাহ হবে না।আর পালন করলে অবশ্যই সওয়াবের আশা রাখা যায়।

 যে ব্যক্তি দিনে এবং রাত্রে ১২রাকা'ত (সুন্নাত) নামায পড়বে তার ফযিলত।

হযরত উম্মাহাতুল মু'মিন উম্মে হাবীবাহ রাযি,থেকে বর্ণিত আছে,তিনি বলেনঃ
ﻋَﻦْ ﺃُﻡِّ ﺣَﺒِﻴﺒَﺔَ ﺯَﻭْﺝِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ,ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘُﻮﻝُ : « ﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﻋَﺒْﺪٍ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛُﻞَّ ﻳَﻮْﻡٍ ﺛِﻨْﺘَﻲْ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً، ﺗَﻄَﻮُّﻋًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔٍ، ﺇِﻟَّﺎ ﺑَﻨَﻰ  ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﻪُ ﺑَﻴْﺘًﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ، ﺃَﻭْ ﺇِﻟَّﺎ ﺑُﻨِﻲَ ﻟَﻪُ ﺑَﻴْﺖٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ » .ﻗَﺎﻟَﺖْ ﺃَﻡُّ ﺣَﺒِﻴﺒَﺔَ : ﻓَﻤَﺎ ﺑَﺮِﺣْﺖُ ﺃُﺻَﻠِّﻴﻬِﻦَّ ﺑَﻌْﺪُ . ﻭﻗَﺎﻝَ ﻋَﻤْﺮٌﻭ : ﻣَﺎ ﺑَﺮِﺣْﺖُ ﺃُﺻَﻠِّﻴﻬِﻦَّ ﺑَﻌْﺪُ . ﻭﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨُّﻌْﻤَﺎﻥُ : ﻣِﺜْﻞَ ﺫَﻟِﻚَ .ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ : « ﻓﻲ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭ ﻟﻴﻠﺔ » .
আমি নবীজী সাঃ কে বলতে শুনিয়াছি,যে মুসলমান প্রতিদিন ফরয ব্যতীত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বার রাকা'ত (সুন্নাত)নামায পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানাবেন।অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।উম্মে হাবীবাহ রাযি,বলেন এর পর থেকে সর্বদাই আমি তা পড়তাম। রাবী আমর রাহ বলেন আমিও সর্বদা পড়তাম। রাবী নু'মান ও অনুরূপ কথা বলেছেন।(মুখতাসার সহীহ মুসলিম-373)

ইমাম মুনযিরী কর্তৃক ব্যাখ্যা। 
ইমাম মুনযিরী রাহ বলেনঃ উক্ত হাদীস কে ইমাম মুসলিম রাহ, "মুসাফিরের নাময" শীর্ষক অধ্যায়ে ৭২৮নং হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম মুসলিম রাহ এর বর্ণনাকৃত হাদীস হল এই..........
ﻋﻦ ﺃﻡ ﺣﺒﻴﺒﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺯﻭﺝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻟﺖ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﺛْﻨَﺘَﻲْ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻓِﻲ ﻳَﻮْﻡٍ ﻭَﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﺑُﻨِﻲَ ﻟَﻪُ ﺑِﻬِﻦَّ ﺑَﻴْﺖٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔ)
তরজমাঃ হযরত উম্মাহাতুল মু'মিন উম্মে হাবীবাহ রাযি.থেকে বর্ণিত আছে,তিনি বলেনঃআমি নবীজী সাঃ কে বলতে শুনিয়াছি,যে মুসলমান "দিনে ও রাত্রে" আল্লাহর সন্তুষ্টি জন্য ফরয ব্যতীত ১২রাকা'ত (সুন্নাত) নামায পড়বে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর বানিয়ে রাখবেন।
অথবা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।(সহীহ মুসলিম-৭২৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 116 views
0 votes
1 answer 123 views
...