ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জুমু'আর খুতবার ঠিক আগে যে আজান দেয়া হয়, সেই আযানের সময় মসজিদে প্রবেশের দু'আ পড়া যাবে। উত্তম হল,আযানের জবাব দিয়ে তারপর মসজিদে প্রবেশের দু'আ পড়ে মসজিদে প্রবেশ করা।
(২)
যেই ওয়াক্তের সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী পাঠ করা হবে ঐ ওয়াক্তের মধ্যে মৃত্যু হলে তিনি ঐ ফজিলত পাবেন।
(৩)
ক)
শরী'আতের দৃষ্টিকোণ থেকে কোন আমল নিয়মিত আমল হিসেবে গণ্য হবার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়কাল নাই। বরং নিয়মিত বলতে আমৃত্যু। বিনা জরুরতে কখনো তরক না করা।
খ)
কেউ রাতে সুরাহ বাকারাহ এর শেষ দশ/ বিশ আয়াত পাঠ করল । সেখানে যেহেতু সুরাহ বাকারার শেষ দুই আয়াত রয়েছে । তাই সুরাহ বাকারার শেষ দুই আয়াত তিলাওয়াতের ফজিলত পাবার জন্য নতুনভাবে আবার সেই দুই আয়াত তিলাওয়াত করতে হবে না।
(৪)
ক)
একাধিক ধরনের গুনাহের জন্য সেগুলোকে একই নিয়তের মধ্যে শামিল করে সালাতুত তাওবাহ আদায় করা যাবে।
সালাতুত তাওবাহ বলতে নির্দিষ্ট কোনো আ'মল নাই। হ্যা, গোনাহ মাফির নিয়তে নামায পড়া যেতে পারে।
খ)
একাধিক ধরনের প্রয়োজনের জন্য সেগুলোকে একই নিয়্যাতের মধ্যে শামিল করে সালাতুল হাজত আদায় করা যাবে।
(৫)
ক)
উভয়দিকে ইমামের সালাম ফেরানো শেষ হলে মুক্তাদি সালাম ফেরানো শুরু করলে মুক্তাদির সালাত সহীহ হবে।
খ)
প্রশ্নে বর্ণিত এসব ক্ষেত্রে সালাত সহীহ হবে।
(৬)
বিসমিল্লাহ বলে খাবার শুরু করার পরে বাসার দরজায় কেউ এলো । উঠে গিয়ে দরজায় কথাবার্তা বলে পুনরায় এসে খেতে বসলে আবারো বিসমিল্লাহ পড়ার তেমন প্রয়োজনিয়তা নাই, তবে হ্যা, পড়ে নিতে পারলে সেটা উত্তম হবে।
(৭)
সুদী ব্যাংকে কোনো কিছুই গ্রহণ করা যাবে না। আপনার কাছে পৌঁছালে আপনি কোনো গরীবকে দিয়ে দিবেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1900