আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (8 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব।

প্রথমেই অনুরোধ করছি৷ উত্তর দিয়েন হুজুর। ২ পরিবার মিলে বিয়ের আয়োজন করছে৷(তুলে নিয়ে যাওয়ার) অল্প কয়দিন বাকি৷ এখন এই সন্দেহ নিয়ে সামনে আগাতে পারছি না৷ অনেক জায়গায় জিজ্ঞেস করছি৷ কেউ বলছে অধিকার পাইনাই বলছে বা অন্যরা উত্তর দেয় নাই৷ আপনাদের থেকে আবার উত্তর নেওয়ার চেষ্টা করেও পারি নাই৷ যেহেতু আপনাদের থেকেই আগেও উত্তর নিছি তাই এই ব্যাপারে আপ্নারা যদি সমাধান দিয়ে দিতেন আমি তাহলে সামনে আগাতে পারতাম৷ তাই অনুরোধ করছি৷ ফিরাবেন না৷ আমার হাতে সময় খুব কম৷
১/ স্ত্রী মানসিক কিছু কষ্টে রাগ হলেই শুধু বলে ডিভোর্স দেন/ ছেড়ে দেন / মুক্তি দেন৷
এসব এর জবাবে স্বামী তালাক দিবে না কোনভাবেই দিবে না তাই তালাক শব্দ মুখেও আনে না৷ অনেকবার বলার পরও৷ অনেক বিরক্ত করার পর তালাকের আবদার ফিরিয়ে দিতে যদি বিভিন্ন সময়ে যখন বলা হইছে হয় মুখে বলেন নাহয় কাজি অফিসে গিয়ে দেন, তখন এভাবে বলে যে
" আপনার মন চাইলে আপনি দেনগা",
"আপনি দেন আমি দিব না,"

 " আপনি বলেন, আপনি বললে হবে "(এটা অনেকবার বলত কারন জানে মেয়েরা বললে হয় না তাই স্ত্রীর উপর ছাড়ে,। স্ত্রীও উত্তর দেয় সাথে সাথে না আমার কথায় হয় না, আমি বললে হবেনা)

" এত শখ হলে নিজে দেন"
"আপনি দেনগা যান"
এগুলাতে কি স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে৷!?
(স্বামী তালাকের অধিকার দেয় নাই দিতেও চায় নাই, আর জানেও না এভাবে অধিকার দেওয়া যায়৷ স্ত্রীও জানে না সে কোন অধিকার পাইছে কিনা। ) তার উদ্দেশ্য ছিল স্ত্রীর তালাকের আবদার ফিরিয়ে দেয়া তাই রাগ করে বলেছে৷
২/ এসব কথায় তালাকের অধিকার পেলে সেটা কি সেই মজলিসের বাইরেও পাবে?  নাকি মজলিস পর্যন্ত?

৩/ এসব কথার মজলিসে যদি স্ত্রী এভাবে বলে " আপনার সাথে আমি থাকব না,  আপনার সাথে আমার সম্পর্ক নাই কোনো,

  আমি তো ছাইড়াই দিছি, আপনার কোন দায় নাই আর, আমি আপনার কেউ না।
কোন স্পষ্ট বাক্য না কিন্তু এমন আরো অনেক কেনায় বাক্য বললে কি তালাক পতিত হবে যদি নিয়ত সম্পর্ক না রাখার থাকে?  এসব বলার সময় নিয়ত তালাকের নেবার বা নিজের উপর তালাক পতিত করার ছিল না,  কিন্তু অনেক সময় সম্পর্ক আর রাখব না এমন নিয়ত ছিল।  কোন মজলিসে এমন সাথে সাথে বলেছি কিনা বা বললেও তালাক এর নিয়তেই কোন কথা বলছি মনে নাই। সেক্ষেত্রে মনে না করতে পারলে কি হুকুম?অনেক কথাই বলা হইছে রাগ করে, কিন্তু তালাক নিলাম বা দিলাম, ছাইড়া দিলাম, মুক্তি নিলাম বা নিজের উপর পতিত করলাম এই ধরেনের কিছু বলি নাই সিউর৷
৪/ অন্য এক তর্কের সময় (তালাকের কথা হচ্ছিল না) যদি স্ত্রী রাগ করে এভাবে বলে " আমি আপনাকে আমার সমস্ত দায় থেকে আজাদ করলাম " (তালাকের নিয়ত নাই৷ মুক্তির বদলে আজাদ শব্দ ইচ্ছা করে  ব্যবহার করছে তালাক যেন না বুঝায় তাই)
আরো বলে আপনাকে আমার কোন দরকার নাই. এতে কি তালাকে হতে পারে,।

বিদ্র: স্ত্রীও জানত না এসব কথায় অধিকার পাওয়া যায়।কাবিনামায় অধিকার দেওয়া আছে কিনা তাও দুজনের কেউ জানে না৷ বিয়ের অনেক পরে এমন অধিকার দিয়ে দেয় জানতে পেরে সন্দেহ দূর করতে দুজনেই অধিকার ফিরিয়ে দেয় এবং ফিরিয়ে নেয়৷ এবং স্বামী কসম করে বলে তাকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয় নাই৷  কিন্তু ঝগরার সময় এসব কথায় দেওয়া হওয়া যায় তা জানত না। এখন বিভিন্ন মাসালা পরে জেনেছে৷
হুজুর দয়া করে আমার সব প্রশ্ন গুলোর জবাব দিয়ে বুঝায় দিয়েন।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 289 views
...