আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব।
প্রথমেই অনুরোধ করছি৷ উত্তর দিয়েন হুজুর। ২ পরিবার মিলে বিয়ের আয়োজন করছে৷(তুলে নিয়ে যাওয়ার) অল্প কয়দিন বাকি৷ এখন এই সন্দেহ নিয়ে সামনে আগাতে পারছি না৷ অনেক জায়গায় জিজ্ঞেস করছি৷ কেউ বলছে অধিকার পাইনাই বলছে বা অন্যরা উত্তর দেয় নাই৷ আপনাদের থেকে আবার উত্তর নেওয়ার চেষ্টা করেও পারি নাই৷ যেহেতু আপনাদের থেকেই আগেও উত্তর নিছি তাই এই ব্যাপারে আপ্নারা যদি সমাধান দিয়ে দিতেন আমি তাহলে সামনে আগাতে পারতাম৷ তাই অনুরোধ করছি৷ ফিরাবেন না৷ আমার হাতে সময় খুব কম৷
১/ স্ত্রী মানসিক কিছু কষ্টে রাগ হলেই শুধু বলে ডিভোর্স দেন/ ছেড়ে দেন / মুক্তি দেন৷
এসব এর জবাবে স্বামী তালাক দিবে না কোনভাবেই দিবে না তাই তালাক শব্দ মুখেও আনে না৷ অনেকবার বলার পরও৷ অনেক বিরক্ত করার পর তালাকের আবদার ফিরিয়ে দিতে যদি বিভিন্ন সময়ে যখন বলা হইছে হয় মুখে বলেন নাহয় কাজি অফিসে গিয়ে দেন, তখন এভাবে বলে যে
" আপনার মন চাইলে আপনি দেনগা",
"আপনি দেন আমি দিব না,"
" আপনি বলেন, আপনি বললে হবে "(এটা অনেকবার বলত কারন জানে মেয়েরা বললে হয় না তাই স্ত্রীর উপর ছাড়ে,। স্ত্রীও উত্তর দেয় সাথে সাথে না আমার কথায় হয় না, আমি বললে হবেনা)
" এত শখ হলে নিজে দেন"
"আপনি দেনগা যান"
এগুলাতে কি স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে৷!?
(স্বামী তালাকের অধিকার দেয় নাই দিতেও চায় নাই, আর জানেও না এভাবে অধিকার দেওয়া যায়৷ স্ত্রীও জানে না সে কোন অধিকার পাইছে কিনা। ) তার উদ্দেশ্য ছিল স্ত্রীর তালাকের আবদার ফিরিয়ে দেয়া তাই রাগ করে বলেছে৷
২/ এসব কথায় তালাকের অধিকার পেলে সেটা কি সেই মজলিসের বাইরেও পাবে? নাকি মজলিস পর্যন্ত?
৩/ এসব কথার মজলিসে যদি স্ত্রী এভাবে বলে " আপনার সাথে আমি থাকব না, আপনার সাথে আমার সম্পর্ক নাই কোনো,
আমি তো ছাইড়াই দিছি, আপনার কোন দায় নাই আর, আমি আপনার কেউ না।
কোন স্পষ্ট বাক্য না কিন্তু এমন আরো অনেক কেনায় বাক্য বললে কি তালাক পতিত হবে যদি নিয়ত সম্পর্ক না রাখার থাকে? এসব বলার সময় নিয়ত তালাকের নেবার বা নিজের উপর তালাক পতিত করার ছিল না, কিন্তু অনেক সময় সম্পর্ক আর রাখব না এমন নিয়ত ছিল। কোন মজলিসে এমন সাথে সাথে বলেছি কিনা বা বললেও তালাক এর নিয়তেই কোন কথা বলছি মনে নাই। সেক্ষেত্রে মনে না করতে পারলে কি হুকুম?অনেক কথাই বলা হইছে রাগ করে, কিন্তু তালাক নিলাম বা দিলাম, ছাইড়া দিলাম, মুক্তি নিলাম বা নিজের উপর পতিত করলাম এই ধরেনের কিছু বলি নাই সিউর৷
৪/ অন্য এক তর্কের সময় (তালাকের কথা হচ্ছিল না) যদি স্ত্রী রাগ করে এভাবে বলে " আমি আপনাকে আমার সমস্ত দায় থেকে আজাদ করলাম " (তালাকের নিয়ত নাই৷ মুক্তির বদলে আজাদ শব্দ ইচ্ছা করে ব্যবহার করছে তালাক যেন না বুঝায় তাই)
আরো বলে আপনাকে আমার কোন দরকার নাই. এতে কি তালাকে হতে পারে,।
বিদ্র: স্ত্রীও জানত না এসব কথায় অধিকার পাওয়া যায়।কাবিনামায় অধিকার দেওয়া আছে কিনা তাও দুজনের কেউ জানে না৷ বিয়ের অনেক পরে এমন অধিকার দিয়ে দেয় জানতে পেরে সন্দেহ দূর করতে দুজনেই অধিকার ফিরিয়ে দেয় এবং ফিরিয়ে নেয়৷ এবং স্বামী কসম করে বলে তাকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয় নাই৷ কিন্তু ঝগরার সময় এসব কথায় দেওয়া হওয়া যায় তা জানত না। এখন বিভিন্ন মাসালা পরে জেনেছে৷
হুজুর দয়া করে আমার সব প্রশ্ন গুলোর জবাব দিয়ে বুঝায় দিয়েন।