জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كَانَتْ بِي بَوَاسِيرُ، فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلاَةِ، فَقَالَ: «صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»
আমার একবার অর্শগেজ হয়ে গেলো।আমি এমন অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট নামায পড়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে জিজ্ঞাসা করলাম।তখন তিনি প্রতিউত্তরে বললেন,তুমি দাড়িয়ে নামায পড়বে,তারপর দাড়ানো সম্ভব না হলে বসে বসে নামায পড়বে।যদি বসেও সম্ভব না হয় তাহলে হেলান দিয়ে নামায আদায় করবে।(সহীহ বোখারী-১১১৭)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولو كان قادرا على بعض القيام دون تمامه يؤمر بأن يقوم قدر ما يقدر
যদি কেউ নামাযে কিছু সময় কিয়াম করার পর অক্ষম হয়ে যায়,এবং এরপর আর দাড়াতে সক্ষম না হয়,তাহলে তার জন্য হুকুম হল যে, সে নামাযে ততটুকুই দাড়াবে যতটুকু তার জন্য সম্ভব হবে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৬)
আরো জানুন-
যদি কোনো ব্যক্তি রুকু সেজদায় যেতে পারে,কিন্তু রুকু সেজদা থেকে উঠতে না পারে।তাহলে এমন ব্যক্তি প্রথম রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী রা'কাত সমূহ বসে পড়বে।
মাযুর ব্যক্তিদের জন্য জমিনে বসে নামায আদায় করাই উত্তম ও মাসনূন তরীকা।এর উপরই সাহাবায়েকেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম এবং পরবর্তীদের আমল চলে আসছে। চেয়ারে বসে নামায আদায় করার রেওয়াজ কেবল শুরু হয়েছে।খায়রুল কুরূনে এর নযীর নেই। অথচ সে যুগে মাযুরও ছিল চেয়ারও ছিল।
আরো জানুনঃ-
প্রথম রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী রা'কাতে উঠতে এধরনের ব্যথা হলে সেক্ষেত্রে প্রথম রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী রা'কাতে সমূহ বসে পড়বে।
আর যদি ১ম রাকাত এভাবে দাঁড়িয়ে পরে রুকু/সেজদায় যেতে এ ধরনের ব্যথা হয়,সেক্ষেত্রে শুরু থেকেই বসে নামাজ আদায় করবে।
চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করবেনা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি প্রথম রাকাত দাড়িয়ে পড়ার পর পরবর্তী রা'কাতে সমূহ বসে পড়তে পারবে।
(০২)
এক্ষেত্রে পুনরায় নামাজ আদায় করতে হবেনা।
তবে ওয়াক্তের শেষে অবস্থা ভালো হওয়া আশংকা পূর্ব থেকেই থাকলে সে ব্যাক্তি ওয়াক্তের শুরুতে নামাজ আদায় না করে অপেক্ষা করবে।
(০৩)
তখন সেই রাকাতের বাকি অংশ বা পরবর্তী রাকাত থেকে বসে সালাত আদায় করতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে এক্ষেত্রে দ্রুত রুকু করে উঠে সেজদায়ে চলে যাবে,তারপর পরবর্তী রাকাত গুলি বসে আদায় করবে
(০৪)
এক্ষেত্রে পানি বদলিয়ে নতুন পানি দিয়ে একবার ধৌত করবেন।
তাহলেই সেটি পাক হয়ে যাবে।
(০৫)
★বালতি,মগ বা বদনা বা গ্লাস যেসকল জিনিস পানি রাখার পাত্র কিন্তু নাপাকি শোষন করতে পারে না। এগুলো পাক করার নিয়ম হলোঃ-
একবার বেশি করে পানি দিয়ে এমন ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে,যাতে মন নিশ্চিত হয়ে যায় যে নাপাকি ধুয়ে চলে গিয়েছে।
★চামড়ার জুতায় নাপাকি লাগলে তাহা তিনবার ধোয়া লাগবে,এবং প্রত্যেক বার পানি নিংড়িয়ে পড়া পর্যন্ত শুকিয়ে নিতে হবে।
★প্লাস্টিক,বার্মেজ সহ অন্যান্য জুতা স্যান্ডেলে নাপাকি লাগলে পাক করার পদ্ধতিটা জানুনঃ-