আসসালা-মু ‘আলাইকুম হুজুর
আমার এক বড় ভাই ১ বছর আগে এক মেয়ের সাথে জাস্ট ফ্রেন্ড করতে করতে শারীরিক সম্পর্ক করে ফেলে। যার ফলে মেয়ের সাথে প্রেম ভালোবাসা শুরু হয়।তবে আর শারীরিক মিলন হয়নি। এখনো রিলেশন চলছে।মেয়ের চরিত্র খারাপ সে বিয়ে পর্যন্ত যেতে চায় কারণ মেয়ের তুলনায় ভাই অনেক বেশি কিছু। কিন্তু ভাই রিলেশন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হতে চাচ্ছেন। কিন্তু মেয়ে ব্লাকমেইল করছে।কারণ ছবি সহ প্রমাণ আছে। আর মেয়ের বাড়ি থেকে ভাই এর বাড়ি ৬ কিমি দূরে।ভাইএর বাবা আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষ, তো তার বাবা ও পরিবারের মান-সম্মানের কথা ভেবে তিনি রিলেশন থেকে বের হচ্ছেন না। তো এই বিষয়টা কিভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়ে পরামর্শ লিখেছি। খুব ভালোভাবে যাচাই করুন আর ছিদ্রান্বেশন করুন।আরো কি করা যায়।
পরামর্শ=যিনা করা সহ ছবি-ধারণ ইত্যাদি আপনার প্রথম ভুল ছিলো। আর এই প্রথম ভুলের জন্যই আপনি এখন ব্রেক আপ করতে পারছেন না, কারণ ব্রেক করলে উক্ত নারী তার এলাকায় তার পরিবারের মান-সম্মান ডুবাতেই পারে।কিন্তু এরজন্য এখন ব্রেক আপ না করাটা আরো অনেক বড় ভুল।প্রথমত এই রিলেশনে আবদ্ধ থাকার জন্য আপনি অত্যন্ত দুঃশ্চিন্তায় থাকেন। প্রথমত,এই দুঃশ্চিন্তা অনেক ভয়ংকর বিষয়।
আবার দুঃশ্চিন্তায় থাকতে থাকতে এক সময় আত্মহত্যা সহ আরো অনেক দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে,এতে কোনো সন্দেহ নেই। হ্যাঁ মনে হতে পারে আমি কখনো আত্মহত্যা করবোনা, কিন্তু দুঃশ্চিন্তা সহ রিলেশনঘটিত বিষয়ের জন্য যে কত জন আত্মহত্যা করলো যাদের থেকে কিনা কখনো আত্মহত্যা আশা- ই করা যেত না।এছাড়া এই রিলেশন এর জন্য বর্তমানে আপনার ইবাদত,শারিরীক,মানসিক সহ অনেক অনেক অসুবিধা তো হচ্ছেই,এতে কোনো সন্দেহ নেই।আপনার ভবিষ্যত জীবন ও আখিরাত জীবনে অনেক ভয়ংকর প্রভাব ফেলবেই এটা।তো,"❝মেয়ে যা খুশি করুন,যা হবার হোক ব্রেক আপ করবোই❞"_ এরকম মন মানসিকতা আনতেই ভাই আপনি আটকে যাচ্ছেন আপনার বাবার জন্য। কারণ আপনার বাবা একজন শিক্ষক। পরিবারে ধর্ম আছে। কিন্তু, এখানে আপনার আর একটি বড় ভুল হলো বাবার সাহায্য নেওয়া তো দূরে থাক,বরং বাবাকে জানাচ্ছেন ও না। কেন আবার এটা(বাবাকে না জানানো) ভুল?
তাকে জানালে তিনি কষ্ট পাবেন,তার সম্মান আছে তা নষ্ট হবে,তিনি টিচার ইত্যাদি।
যদি এই মন মানসিকতা থাকে তবে এগুলো ছুড়ে ফেলুন।শুনে রাখুন আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বাবাকে তার সন্তানের বটবৃক্ষ হিসেবেও কিন্তু পাঠিয়েছেন।এই ❝ক❞ব্যাক্তির[এটা ক একজন যুবক,ঘটনা সত্য] জীবন দেখুন সে রোজার মাসে দুপুরে মারামারি করে এসে বাবার ভয়ে,বাবার মান-সম্মানের ভয়ে,শরীরের কথা ভেবে,তিনি কষ্ট পাবেন ভেবে এত্তো বড় ঘটনা তার বাবাকে বলেছিলোনা।তার মা ও তার সাথে ছিলো।অর্থাৎ,তার মা ও বলেনি
আল্লাহ এর কি রহমত, যে তার বাবা সন্ধ্যায় ইফতার কিনতে গিয়ে ঘটনা শুনে ফেলেছিলেন। আর তারপর-ই আল্লাহর রহমতে ছেলেকে সাহায্য করা শুরু করেছিলেন। সব টাই আল্লাহর রহমত ছিলো। এত্তো বড় কথা ব্যাক্ষা করতে পারছিনা, শুধু এতটুক বলি সেদিন ক ব্যাক্তির বাবা সেইসন্দ্যায় যদি না শুনতেন তাইলে সেই রাত্রে ক এর নামে মার্ডার কেইস হতো।তারপর তার বাবা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন।তারপর ক মুক্তি পেয়েছিলো। নাহলে আল্লাহ ভালো জানেন, ক হয়তো এতদিন এত্তো ভালো পরিবেশে থেকে ভালো কলেজে পড়তোনা। সে জেল এ থাকতো,কারণ এটা মার্ডার কেইস ছিলো। এখানে আল্লাহ ক কে তার বাবার দ্বারাই সর্বোচ্চ সাহায্য করেছিলেন। আমি মনে করি আল্লাহ বাবার মাধ্যমে সাহায্য করলেন এর কারণ হয়তো এটা যে আল্লাহ বাবাকে বটগাছ বানিয়েছেন তার ছেলের জন্য।তাই আপনার জন্য ভাই জন্য এটা আবশ্যক যে এখন আপনার বাবাকে জানানো,তার সাহায্য নেওয়া।তাই পরামর্শ, "ভাই,আপনি যা ভুল করার এর মধ্যেই করে ফেলেছেন। আর ভুল করতে যাবেন না। ওর সাথে ব্রেকআপ করে এখনই বাস্তবতার মুখোমুখি হউন। আল্লাহর কাছে দু’আ করুন এই
বিপদ থেকে উদ্ধার পাবার জন্য। আপনার বাবাকে জানান,তাকে জানালেই তিনি সাহায্য করবেন।প্রথমে একটু সমস্যা হবে,পরে তিনি দেখবেন তার ছেলের জীবন নির্ভর করে,তখন তিনি এইসবে আর কিছুই মনে করবে না। তো ওই মেয়ের বাবা-মায়ের মন মানসিকতা কেমন? তারা এটাকে কেমন চোখে নিবে? তারা কি মিটকুট করবে? তারা আবার বিয়ের দিকে যাবেনা তো? এগুলো ভালোভাবে নজর দিবেন। নজর দিয়ে সেই রকম প্রস্তুতি নিয়ে আপনার বাবা-মা কে সাথে নিয়ে গোপনে যান তাঁদের কাছে।তাদের বোঝান যে ছেলে -মেয়ে উভয় ই ভুল করেছে।এখানে আপনার ভুল থাকুক বা না থাকুক পরিস্থিতি ও তাদের মন মানসিকতা অনুযায়ী তাদের কাছে অবশ্যই প্রকাশ করবেন।তারপর মেয়ে যে আহবান করেছে আরো যে সব কাজ করেছে সেগুলো তাদের কাছে বেশি বেশি করে হাইলাইট করুন,এখন ব্লাকমেইল করেছে,তাদের বোঝান যে ❝আমি কখনোই আপনার মেয়েকে বিয়ে করবোনা,আর আপনারা যদি এখন সমাজে জানা-জানি করান তাইলে আপনার মেয়ের ই চরিত্র মানুষের কাছে নষ্ট বলে বিবেচিত হবে।তখন তার ই আর ভালো জায়গায় বিয়ে হবেনা।আপ্নারা থানায় ও কিছু করতে পারবেন না,কারণ সে আমাকে আহবান করেছে,nudes দিছে,,❞, এগুলোর প্রমাণ আছে।দেখতে চাইলে দেখাবেন। পরিস্থিতি,মন মানসিকতা দেখে বোঝান। পা ধরে ক্ষমা চান(যদি ক্ষমা না করে),আবার সিজদাহ দিয়েন না। দিয়ে মীমাংসা করে চলে আসুন। মেয়ের কাছে কোনো ক্ষমা চাওয়ার কোনো দরকার ই নাই।ডাস্টবিনে ফেলে দিন আবর্জনা।আর মেয়ের বাবা-মা মীমাংসা-ক্ষমা না করলে চলে আসুন সেখান থেকে আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন মেয়ের বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা-মীমাংসার পর তার বাবা মা আর আপনার বাবা মায়ের সামনেই ব্রেক আপ করে দিবেন।ক্ষমা মীমাংসা না হলে ভুলেও মেয়েকে ব্রেক আপ দিবেন না। আবার তার সাথে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দিবেন। এক কথায় নামে রিলেশন, কাজে ব্রেক আপ,আসলেই ব্রেক আপ কিন্তু মেয়েকে বলা লাগবেনা।
কারণ যদি মেয়ের বাবা-মা মীমাংসা না করে তাইলে বুঝতে হবে তারা মেয়ের মতোই 4-20। তখন তারা থানা সহ বিভিন্ন কিছু করতে পারে। এতে আপনার এডমিশন টা ধবংস যাবে। তাই মীমাংসা না করলে এডমিশনের পরে স্পষ্ট ব্রেক আপ করবেন।আশা করি মেয়ের সম্মানের জন্য মেয়ের বাবা মা মীমাাংসা করে দিবেন।
হুজুর এটা আপনাকে বলছি যে এডমিশন হলো মেডিকেল এডমিশন।
এটা খুব ই জরুরি। এটাতে টিকলে সরকারী মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাবে। পরবর্তীতে ডাক্তার হবে।
আর মেডিকেলে চান্স পেলে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন অনেক বেশি ছাত্র
আর মাসে ৯০-১০০ হাজার টাকা প্রায় ইনকাম হতে পারে।
ফলে সাবলম্বী হয়ে যাবেন আর বিয়ে করে নিতে পারবেন
আর মেয়ের কাছে প্রমাণ আছে যে ছেলেটা মেয়ের রুমে আছে এই অবস্থায় ছবি তোলা। আর মেসেঞ্জার চ্যাট আছে এখানে প্রমাণ আছে যে শারীরিক সম্পর্ক হইসে