আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
193 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (33 points)

আসসালামু আলাইকুম,
আমার মানসিক অবস্থা নিচে তুলে ধরলাম, দয়া করে পড়ে উত্তর দিলে ক্যারিয়ার নিয়ে আল্লাহ চাহে তো একটা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিব।
আমাদের দেশের সরকারের ১ম শ্রেণির কর্মকর্তাদের দ্বারাই (ইউএনও, টিএনও, ম্যাজিস্ট্রেট ইত্যাদি) সরকার সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে থাকে। সরকারের তো কত ভুল সিদ্ধান্তই থাকতে পারে রাজনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। এখন সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হয় এইসকল কর্মকর্তাদের। বাল্য বিবাহ বন্ধ করার স্বপক্ষে কাজ করতে হয়। মূল কথা ইসলামি বিধান কায়েম করা যায় না।
অপরদিকে, দেশের উপরে স্তরে গলদ থাকায়, যত ইসলাম বিরোধী সিদ্ধান্ত আসে সেগুলো এত আসতো না। দ্বীনি মানসিকতার লোক থাকলে আর ক্ষমতা থাকলে সাধ্যমত সেগুলো ঠেকানোর চেষ্টা করত।
 

প্রশ্ন ১ঃ বিসিএস পরীক্ষার আবেদন চলছে। এডমিন ক্যাডার সিরিয়ালে দিবো কিনা দ্বিধায় আছি। উপরের বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ঐদিকে গেলে কি নিজের ইমান শঙ্কায় পড়ে যাবে কিনা? (যেমন চুরি করার শাস্তি দিতে হবে এখন হাতের কবজি কাটার ব্যবস্থা তো করা যাবে না এদেশে) অর্থাৎ এই ইসলাম বিরোধী সিস্টেমে (গণতান্ত্রিক বা কুফরি ব্যবস্থায়) প্রবেশের কারণে নিজের ইমান নিয়ে চলা চরম মুশকিল হবে কিনা? অপরদিকে, নাকি দেশের, দেশের জনগণ যেনো ইসলামকে ন্যূনতম পালন করতে পারে এজন্য নিজের অবদান রাখার চেষ্টা করা জরুরি? আমাদের তো ইসলামিক রাষ্ট্র না তাই একদম ইসলামি বিধান বাস্তবায়ন করা অকল্পনীয়, যতটুক পারা যায় বুদ্ধি করে অতটুক করার জন্য যাওয়া উচিত কিনা? ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের ম্যাজিস্ট্রেটরা শত অনিয়মের বিরুদ্ধে কত কাজ করছে। নিজের ইচ্ছে করে এভাবে দেশের মানুষের উপকার করতে।
 

প্রশ্ন ২ঃ ট্যাক্স তো ইসলামে নেই। সেক্ষেত্রে ট্যাক্স অফিসার হওয়াও কি জায়েয নেই। নাকি আমাদের ইসলামিক রাষ্ট্র না তাই ট্যাক্স এর জন্য কাজ করলে সমস্যা নেই? বিষয়টা আসলে কেমন/কী যদি বুঝিয়ে বলতেন।
(আর বিষয়গুলো অতি বিস্তারিত, আবার অনেক সেনসিটিভ কথা বার্তা থাকলে যদি এভাবে প্রশ্ন উত্তরে বিস্তারিত না বলা যায়, কোন শায়েখের সাথে সরাসরি কথা বললে বা কোন লেকচার শুনলে একদম পরিষ্কার ধারণা পাবো? দয়া করে হযরত যদি বুঝিয়ে বলতেন)

একটা অনুরোধঃ উম্মাহর স্বার্থে আপনাদের এই সেবা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ রইল। আল্লাহর কাছে দু'আ করি আল্লাহ তা'আলা আপনাদেরকে ইখলাসের সাথে সকল কাজ আঞ্জাম দেওয়ার তৌফিক্ব দান করুন। আমীন।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
পূর্বের কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
বাংলাদেশে পুলিশ বা প্রশাসন ক্যাডারে অধিকাংশই যদি ইসলামপন্থি হয়ে যায়,তাহলে দেশের অবস্থায় আমূল পরিবর্তন চলে আসবে।

সুতরাং দ্বীনদ্বার ব্যক্তিবর্গর জন্য এসব বাহিনীতে  যোগ দেওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। বিশেষকরে যাদের ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে।যারা ইসলামের স্বার্থকে সর্বদা মাথায় রাখেন,তাদের জন্য এসব বাহিনী তে যোগ দেওয়া সময়ের দাবী।

শরীয়তের বিধান হলো সরকারী  চাকুরী করা জায়েয।তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে,বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না।তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪) 

পূর্বের কিছু ফতোয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব এ চাকরি করা জায়েজ আছে। তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-

لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق

'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'

কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এডমিন ক্যাডারের চাকুরী করতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে সমস্যা নেই। 
সুতরাং আপনি এডমিন ক্যাডার সিরিয়ালে নাম দিতে পারেন।
,  
তবে সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকতে হবে।
নাজায়েজ কাজের আদেশ মানা যাবেনা, মানলে  গুনাহ হবে।
,
নামায সহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে।

আরো জানুনঃ 

(০২)
ট্যাক্স অফিসার হওয়া জায়েজ আছে। 

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

ট্যাক্স এর বিধান জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
এতো সুন্দর একটা প্রশ্নের এমন দায়সারা উত্তর দেখে কষ্ট পেলাম।

উত্তর দেওয়া হলো:
//★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এডমিন ক্যাডারের চাকুরী করতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে সমস্যা নেই। 
সুতরাং আপনি এডমিন ক্যাডার সিরিয়ালে নাম দিতে পারেন।
,  
তবে সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকতে হবে।
নাজায়েজ কাজের আদেশ মানা যাবেনা, মানলে  গুনাহ হবে।//

প্রশ্নকারী তো উল্লেখ করেই দিলেন যে, এডমিন ক্যাডারে যোগদান করলে ইসলাম বিরুধী অনেক আইন বাস্তবায়ন করতে তিনি বাধ্য, তাকে অবশ্যই অবশ্যই এই কাজ করাই লাগবে। যেমন: হদের বিধানের বিপরীত বিধান বাস্তবায়ন করা, বাল্যবিবাহ ইস্যু, শাস্তি হিসাবে অর্থদণ্ড দেওয়া, গান-বাজনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণসহ তাদের নিরাপত্তা প্রদান, দিবস পালন করা ও অপরকে করতে বাধ্য করা, কয়েক দিন পর আসবে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু ইত্যাদি আরো অনেক কাজ। আর সচিব পর্যায়ে চলে গেলে তো তিনি নিজেই মন্ত্রীদের সাথে মিলে কুফুরী আইন প্রনয়ণ করবেন। 

উপরোক্ত কাজে সহযোগিতা না করলে এডমিন ক্যাডার সাহেবের কী অবস্থা হবে তা আশাকরি কারো অজানা নয়। 

তাহলে তিনি কিভাবে হারাম ও নাজায়েজ কাজ থেকে বেচে থাকতে পারলেন। এভাবে একজন মুসলিম ভাইকে গুনাহের স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করার পরামর্শ দেওয়া কি ইসলাম সমর্থন করে?

তাহলে এই সমস্ত স্পর্শকাতর প্রশ্নের উত্তর এভাবে জেনারালাইজ করে দেওয়া কি উচিৎ? এতে কি মানুষ অস্পষ্ট মেসেজ পাবে না? যদি স্পষ্টভাবে মাসালা প্রদান না করতে পারি তাহলে কি নিরব থাকা বা অন্য কোন পরিচিত আলেম থেকে জেনে নেবার পরামর্শ দেওয়া ভালো নয়?

আপনারা ফতোয়া দেন, কুফুরী আইন প্রনয়ণ করা হারাম। আবার বলছেন কুফুরী বাস্তবায়ন করার চাকরি জায়েজ! এটা কি দ্বিমুখী নীতি হয়ে গেলো না?

---আল্লাহ তা'লা আমার সংশয় গুলোকে দূর করে আমাকে সহিহ ইলম দান করুন যেন আমার অন্তর পরিতৃপ্ত হয়ে যায়। আমিন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...