ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
সূরা মূলক সাধারণত যেকোনো সময় তেলাওয়াত করা এবং বিশেষত ঘুমানোর পূর্বে তেলাওয়াত করার অনেক ফযিলত হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( إِنَّ سُورَةً مِنْ الْقُرْآنِ ثَلَاثُونَ آيَةً ، شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ ، وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,কুরআনের একটি সূরা যার ত্রিশটি আয়াত রয়েছে,ঐ সূরাটি তার তেলাওয়াতকারীর জন্য মাগফিরাতের দু'আ করবে।এই সূরাটি হল,সূরা মূলক।(সুনানু তিরমিযি-২৮৯১,মসনদে আহমদ-৭৯১৫)
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
عن جابر رضي الله عنه : " أن النبي صلى الله عليه وسلم كان لا ينام حتى يقرأ آلم تنزيل ، وتبارك الذي بيده الملك "
রাসূলুল্লাহ সাঃ সূরায়ে সেজদা এবং মূলক পড়া ব্যতীত শয়ন করতেন না।(সুনানু তিরমিযি-২৮৯২,মসনদে আহমদ-১৪২৪৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই/বোন!
ঘুমানোর পূর্বে সূরা মূলক পড়াই রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সুন্নাহ ছিলো।তাই ঘুমানোর পূর্বে যেকোনো মূহুর্তে পড়া যাবে।ঘুমানোর ঠিক পূর্ব মুহুর্তে পড়া জরুরী নয়। https://www.ifatwa.info/1830
(২)
সূরা ওয়াক্বিয়া পড়লে অভাব দূর হবে।তবে একটানা ৪০ দিন পড়লেই যে অভাব দূর হবে এমন কোনো বিষয় নেই। হ্যা, যত বেশী বেশী ইখলাসের সাথে তিলাওয়াত করা হবে, ততই অভাব দূর হওয়ার আশা করা যায়।
(৩)
ঋণ পরিশোধের জন্য এবং আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার জন্য দৈনিক মাগরিবের পর সূরা ওয়াকেয়া পড়বেন। এবং বেশী বেশী ইস্তেগফার পড়বেন।