আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার খুব প্রয়োজন-

 ১.একবার আমি পিপাসার কারণে  আমার একটি ফরজ সিয়াম ভংগ করেছিলাম। পরে আমি সেই রোজাটি কাযা আদায় করেছি।
কিন্তু, পিপাসার কারণে ভেংগে ফেলা রোজার জন্য পরবর্তীতে একটা রোজা কাযা করাই কি যথেষ্ট হবে?নাকি এটার কোনো কাফফারা আছে?

 2. কেউ অন্যের টাকা বা কারো কোনো জিনিস চুরি করলে সেটা তো বান্দার হক্ব নষ্টের গুনাহের শামিল।  এখন আমার জানামতে  হাক্কুল ইবাদ মাফ হবে না যতক্ষণ না ব্যক্তি (যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে) যিনি হক্ব নষ্ট করেছেন তাকে ক্ষমা করে।  ফর এক্সাম্পল, কলেজে থাকাকালীন সময়ের একটা ঘটনা ছিলো এমন যে ক্লাসের কোনো এক স্টুডেন্ট এর ব্যাগ থেকে মোটামোটি ভালো একটা এমাউন্ট কেউ নিয়ে নিয়েছিলো।
ক্লিয়ারলি বললে চুরি করা।
আরো ক্লিয়ারলি বলি,আমার ব্যাগ থেকে কেউ ৩ হাজার টাকা চুরি করছে কোনো এক কালে।
এখন সেই ব্যাক্তি তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আমার কাছে ক্ষমা চাইলো।
আমি যদি তাকে মাফ করে দিই তাহলে কি এটা তার দায়মুক্তির জন্য এনাফ হবে?
চুরি হওয়া ৩ হাজার টাকা বা ওই এমাউন্ট না ফেরত না নিয়ে এম্নিতেই মাফ করে দিলাম।কোনো ক্ষতিপূরণ না চেয়ে আল্লাহর জন্য মাফ করে দিলাম, স্বেচ্ছায়।।তাহলে এটা কি এনাফ হবে?তার কি ওই টাকাটা ফেরত দেওয়া জরুরী?যদি আমি স্বেচ্ছায় মাফ করে দি?
কিয়ামত এর দিন ওই ব্যাক্তির উপর আমার হক্ব নষ্টের আর কোনো দায়ভার থাকবে কি?

 3. একজন দ্বীনি বোন দ্বীনের পথে ফিরে আসার আগে নিজের কৃত পাপ থেকে নিজেকে শুদ্ধ করার উপায় জানতে চায়।

 তিনি তার নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে তাদের টাকা বা অন্যান্য সামগ্রী চুরি করেছিলেন।

 একসময় মানুষের টাকা-পয়সা বা জিনিস নিয়ে নেওয়ার অভ্যাস ছিল উনার। কিন্তু দ্বীনের পথে ফিরে আসার পর তিনি সব খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করেন।  এখন যেহেতু এটা হাক্কুল ইবাদ এবং আমার জানামতে,যার হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তিনি মাফ না করলে আল্লাহ মাফ করেবন না।তাই তিনি চান যে তাদের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিতে।
এখন সমস্যা হচ্ছে,যাদের হক্ব নষ্ট করা হয়েছে তারা সবাই নিকট আত্নীয় কিংবা আত্নীয়।
এদের কাছে গিয়ে নিজের নিজের কৃতকর্মের স্বীকৃতি দিয়ে মাফ চাইতে গেলে ব্যাপারটা অনেক বড় আকার ধারণ করবে।আর দ্বীনি বোনের বাবা -মা,পরিবারের জন্য ও অবমাননাকর হবে।
তার উপর যেই টাকা বা জিনিস তিনি নিয়েছিলেন তা ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য তার এখন নেই।

টাকা ফেরত না দিয়ে মাফ চাইলেই যথেষ্ট হবে?যদি উনার আত্নীয় স্বজন উনাকে মাফ করে দেন?
আর মাফ চাইতে গেলে ও তো অনেক বড় সমস্যা হয়ে যাবে।

এক্ষেত্রে উনার কি করা উচিত?
কিভাবে নিজেকে বান্দার হক্ব এর দায় থেকে পরিশুদ্ধ করবেন?

বি:দ্র: আমি একবার এক লেকচারে শুনেছিলাম যে কোনো বান্দার হক্ব নষ্ট করলে (টাকা চুরির মাধ্যমে)সেই টাকা যদি কোনো কারণে ওই বান্দা কে ফিরায়ে দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে টাকাটা কোথাও দান করে দিয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নিলেই হবে।
এটা কি সঠিক?

এই লেকচার অনেক বছর আগে শুনেছি,ক্লিয়ারলি মনে  ও নাই ঠিক এমনটাই বলা হয়েছিলো কিনা।

আসসালামু 'আলাইকুম ওয় রহমাতুল্লাহ।
জাযাকুমুল্লাহু খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
পিপাসার কারণে রোযা ভঙ্গ করলে কা'যার সাথে সাথে কাফফারাও ওয়াজিব হবে। তবে যদি পিপাসা এই পরিমাণে হয় যে, পানি পান না করলে মৃত্যু হতে পারে, তাহলে তখন শুধুমাত্র কা'যাই আসবে, তখন কাফফারা আসবে না।
দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
Fatwa:1054-934/D=10/1439
رمضان کے مہینہ میں روزہ رکھ کر پھر جان بوجھ کر توڑدینے سے قضا کے ساتھ کفارہ بھی واجب ہوتا ہے اگر لاعلمی کی وجہ سے کیا تو بھی کفارہ واجب ہوگا۔ لیکن اگر پیاس کی شدت جان لیوا تھی اور یہ ڈر ہوا کہ اگر پانی نہیں پئیں گے تو جان چلی جائے گی اس طرح ہلاکت کے خوف کے وقت روزہ توڑدینے سے صرف قضا واجب ہوتی ہے کفارہ نہیں۔لہٰذا اگر ہلاکت کا ڈر نہیں تھا اور روزہ توڑدیا تو کفارہ بھی ادا کریں، کفارہ کا بیان تفصیل سے بہشتی زیور میں لکھا ہوا ہے۔

(২)
আপনার হককে যদি আপনি উসূল করা ব্যতিত এমনিতেই মাফ করে দেন, অতঃপর ঐ ব্যক্তি আল্লাহর কাছে মাফ চায়, তাহলে আশা করা যায় যে, হয়তো আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন। কিন্তু আল্লাহর কাছে মাফ না চাইলে আল্লাহ মাফ করবেন না। সেও দায়মুক্ত হবে না।

(৩)
যার হক নষ্ট করা হয়েছে, তাকে তার ঐ জিনিষ ফিরিয়ে দিতে হবে অথবা তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি এর কোনোটাই সম্ভব না হয়, তাহলে যেই টাকা গরীবকে দান করার কথা বলছেন, সেই টাকা ঐ ব্যক্তিকে তাদেরকে হাদিয়া দিয়ে দিবেন,যার হক আপনি নষ্ট করেছেন। যদি হাদিয়া দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...