ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুস্তাজাবুদ দাওয়া অর্থ আল্লাহর যার দু'আকে কবুল করে থাকেন?
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عبد الله بن عباس رضي الله عنهما، "تليت هذه الآية عند رسول الله صلى الله عليه وسلم: يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الأَرْضِ حَلاَلاً طَيِّبًا فقام سعد بن أبي وقاص رضي الله عنه فقال: يا رسول الله، ادع الله أن يجعلني مستجاب الدعوة. فقال: يا سعد ، أطب مطعمك، تكن مستجاب الدعوة، والذي نفس محمد بيده إن العبد ليقذف بلقمة الحرام في جوفه فلا يقبل منه عمل أربعين يومًا، وأيما عبد نبت لحمه من السحت والربا، فالنار أولى به"
أخرجه الطبراني في "المعجم الأوسط" (٦٤٩٥) ، و عنه ابن مردويه في تفسيره كما في تفسير ابن كثير (١/ ٣٤٨) :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সামনে সূরা বাকারা ১৬৮ নং আয়াত তিলাওয়াত করা হল,(হে লোকসকল তোমরা পবিত্র ও হালাল রিযিক থেকে ভক্ষণ করো) তখন সা'দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম'কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' আমার জন্য দু'আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া বানিয়ে দেন, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' বললেন, হে সা'দ! তুমি হালাল ও পবিত্র রিযিক গ্রহণ করো, তাহলে তুমি মুস্তাজাবুদ দাওয়া হতে পারবে। ঐ সত্তার কসম,যার হাতে মুহাম্মদ (সাঃ) এর জান রয়েছে, যখন বান্দা হারাম রিযিক থেকে গ্রহণ করে, তখন ঐ বান্দার ৪০ দিনের আ'মলকে কবুল করা হয় না।এবং যে বান্দার গোস্ত হারাম রিযিক থেকে উৎপাদন হয়, তার জন্য দোযখের আগুনই সর্বাদিক উপযুক্ত।(তাবারানি - আওসাত,আদ্দুর্রুল মনছুর-১২৬)
এই হাদীসের সনদে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে,তবে এজন্য কোনো সমস্যা নেই, কেননা এই হাদীসের অর্থ অন্যান্য হাদীসে রয়েছে, যেমন সহীহ মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে,
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে লোক সকল! আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করে না।আল্লাহ তা’আলা মুমিনদেরকে সেই আদেশ করেছেন, যে আদেশ করেছেন তিনি রাসুলগণকে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, "হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর ও সৎকর্ম কর, তোমরা যা কর, সে সমন্ধে আমি অবহিত।" (সূরা মু’মিনুনঃ ৫১) তিনি আরো ইরশাদ করেছেন, "হে মুমিনগণ! তোমাদেরকে আমি যে সব পবিত্র বস্তু দিয়েছি, তা থেকে আহার কর।" (সূরা বাকারাঃ ১৭২)
এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যাক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে, দীর্ঘ সফর করে, যার এলোমেলো চুল ধুলায় ধুসরিত সে আকাশের দিকে দু’হাত তুলে বলে, হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোষাক-পরিচ্ছদ হারাম এবং তাঁর শরীর গঠিত হয়েছে হারামে। অতএব, তাঁর দু’আ কিভাবে কবুল করা হবে?
(সহীহ মুসলিম-২২১৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুস্তাজাবুদ দাওয়া হওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হালাল ভক্ষণ করা, এবং দ্বিতীয়ত সর্বদা আল্লাহর যিকির ও ফিকিরে লিপ্ত থাকা-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ادْعُوا اللَّهَ وَأَنْتُمْ مُوقِنُونَ بِالإِجَابَةِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لاَهٍ "
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কবূলের দৃঢ় প্রত্যয় রেখে তোমরা আল্লাহর কাছে দু’আ করবে। জেন রাখ, উদাসীন ও আমনোযোগী মনের দু’আ আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন না।(তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৪৭৯)