আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
335 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
আস্সালামুআলাইকুম, আমি জানতে চাই  যে, ব্যাংক এ চাকরি দিয়ে কেনা জিনিস কি ব্যবহার করা ঠিক হবে? আমি ব্যাংক এ চাকরি করতাম তখন যেসব পণ্য, আসবেবপত্র, গহনা কিনেসি, সেগুলো যদি মূল্য পরিষদ করতে চাই তাহলে কি এখন যে বর্তমান মূল্য সেটা সাদকা করবো নাকি যে টাকা দিয়ে আমি কিনেসি সেই টাকা পরিষদ করবো? র কাদের কে এই টাকা দেয়া যাবে? মসজিদ নির্মাণ র কাজে কি দেয়া যাবে? র আমার ঘোরীব রিলেটিভ দের কি দেয়া যাবে যাদের কোনো ইনকাম নাই কিংবা স্বল্প ইনকাম এ চলে. র আমার কাসে পরিষদ করার পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে কি তওবা করলে গুনাহ মাফ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ব্যাংকের চাকুরি হারাম হওয়ার মূল কারণ দু’টি।যথা-
১-হারাম কাজে সহায়তা করা।
২-হারাম মাল থেকে বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকা।

হারাম কাজের সহায়তার বিভিন্ন স্তর আছে। শরীয়তে সব প্রকার সহায়তা হারাম নয়।বরং সে সব সহায়তাই হারাম যা সরাসরি হারাম কাজের সহিত জড়িত থাকে। যেমন, সুদী লেনদেন করা। সুদী লেনদেন লিখে রাখা। সুদী টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ থেকে উসুল করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-
“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়,যে তার সাক্ষী হয়, এবং যে দলিল লিখে রাখে, তাদের সকলের উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন।(মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

তবে যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে  সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার, ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।

প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে বেতনের উৎস কি হবে?কর্মিবৃন্দকে কোথা থেকে দেওয়া হবে?
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/398

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার পিতা যদি সুদী সেক্টরে চাকুরী করে থাকেন,তাহলে উনার ইনকাম হারাম।হারাম জিনিষ ভক্ষণ করে দু'আ কবুল হয় না।যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " أيها الناس، إن الله طيب لا يقبل إلا طيبا، وإن الله أمر المؤمنين بما أمر به المرسلين، فقال: {يا أيها الرسل كلوا من الطيبات واعملوا صالحا، إني بما تعملون عليم} [المؤمنون: ٥١] وقال: {يا أيها الذين آمنوا كلوا من طيبات ما رزقناكم} [البقرة: ١٧٢] ثم ذكر الرجل يطيل السفر أشعث أغبر، يمد يديه إلى السماء، يا رب، يا رب، ومطعمه حرام، ومشربه حرام، وملبسه حرام، وغذي بالحرام، فأنى يستجاب لذلك؟ "
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?” (সহীহ মুসলিম-১০১৫)


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি যদি ব্যাংকের সুদী সেক্টরে চাকুরী করে থাকেন,তাহলে আপনার ইনকাম হারাম ছিলো।
এই হারাম চাকুরী থেকে যা কিছু আপনি ইনকাম করেছেন,সামর্থ্য থাকলে সমস্ত ইনকামকে সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত ফকির মিসকিনদের সদকাহ করে দেবেন।যদি সামর্থ্য না থাকে,তাহলে বর্তমানে আপনার নিকট যা কিছু অবশিষ্ট রয়েছে,সবগুলিকে সদকাহ করে দিবেন।যখন সামর্থ্য হবে,তখন অবশিষ্ট ইনকামকে সদকাহ করবেন।

আপনার নিকট হারাম ইনকাম দ্বারা যে সমস্ত আসবাবপত্র রয়েছে,সে সব আসবাব পত্রের বিক্রয়মূল্যকে সদকাহ করলেও দায়মুক্ত হয়ে যাবে।

হারাম টাকা মসজিদ নির্মাণে দিতে পারবেন না।ফকির মিসকিনকে দিতে পারবেন বা গরিব আত্মীয়কে দিতে পারবেন।

পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকলে,আপাতত যা আছে তাই সদকাহ করবেন।ভবিষ্যতে অবশিষ্টাংশ দেওয়ার নিয়ত রাখবেন।সাথে সাথে তাওবাহ ইস্তেগফার করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
আমি একজন ক্রেডিট অফিসার হিসাবে জব করতাম. যার কাজ সিলো কাস্টমার দের লোন দেয়া.
আমি আমার গহনা বিক্রি করে দান করে দিসি র মোবাইল র যা যা আসবেব সিলো সেগুলো হালাল গহনা বিক্রি করে দান করে দেয়ার নিয়ত রেখেসি.3/4 বসর ধরে যেগুলো ব্যবহার কোরেছি সেগুলো বিক্রয়মূল্য ধরে সাদকা করলে এ তো হবে? আমি নিজের ব্যবহার র কিছু টাকা রেখেসি হালাল আয়ের. এতে কি কোনো সমস্যা আসে?
by (597,330 points)
মুহতারাম!
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আপনার প্রশ্নটি অত্যান্ত সংক্ষিপ্ত বা অস্পষ্ট। তাই আবার প্রশ্ননটি লিখে দেবার জন্য আপনাবে আহবান জানাচ্ছি।জাযাকুমুল্লাহ।
by
আসসালামু আলাইকুম। যদি কোনো বাসা ব্যাংক হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়।তাহলে সেই বাসা ভাড়া কি হালাল হবে নাকি হারাম হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...