ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাব,
https://ifatwa.info/85769/
নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানুষ হোক বা অন্য কোনো প্রানী, প্রবাহিত রক্তই
শুধু হারাম।
قُل لَّا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ
مُحَرَّمًا عَلَىٰ طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلَّا أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا
مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ أَوْ فِسْقًا [٦:١٤٥]
আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি
কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত
অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; [সূরা আনআম-১৪৫]
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ
تَمِيمِ الدَّارِيّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ: «الْوُضُوءُ مِنْ كُلِّ دَمٍ سَائِلٍ»
‘উমার
ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ) তামীম আদ্ দারী (রাঃ)হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক প্রবহমান রক্তের কারণেই অযু করতে
হবে। (সুনানে দারা কুতনি ১/১৫৭.মিশকাত ৩৩৩)
সতর্কতামূলক প্রচলিত পদ্ধতিতে মেশিন এ ড্রেসিং না করাই উত্তম।
হ্যাঁ, একান্ত
যদি করতেই হয়, তাহলে
পূর্বের ব্যবহৃত পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি গরম করে এত অল্প সময় চুবিয়ে রাখবে, যাতে ভিতরের
নাপাকি গরম পানির প্রভাবে গোস্তের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে।
জবেহ করার পর গলার কর্তিত
অংশে লেগে থাকা রক্ত ও পেটের নাড়িভুঁড়ি দূর করে নতুন পানিতে ড্রেসিং করতে হবে, এটাই ড্রেসিংয়ের
সর্বোত্তম পদ্ধতি। (ফাতাওয়া দারুল উলূম হাটহাজারী ফতওয়া নং ০৫)
আর যদি পানি তেমন উত্তপ্ত না হয়, যেটি আমাদের
দেশের প্রায় দোকানেরই অবস্থা, যে সেখানে সামান্য গরম
পানি ব্যবহার করা হয়, তেমন উত্তপ্ত হয়না, সেই পানিতে দোকানের কর্মকর্তা নিজ হাতও
দিতে পারে, তাই
অবস্থা এমন হলে প্রচলিত পদ্ধতিও তেমন কোনো সমস্যাকর নয়।
وإن كانت مما يطبخ كاللحم والحنطة فإن أصابتها نجاسة وطبخت بها
فلا تطهر . بعد الغليان أبدا على المفتى
به لأن أجزاءها تكون قد تشربت النجاسة حينئذ ومن ذلك الدجاجة إذا غليت قبل شق بطنها
فإنها لا تطهر أبدا لتشرب أجزائها النجاسة فيجب شق بطنها وإخراج ما فيها وتطهيرها
بالغسل قبل غلبها (الفقه على المذاهب الأربعة – الجزيري- كتاب الطهارات، مبحث فيما تزال به النجاسة وكيفية
إزالتها-1/25)
যদি গোশতের সাথে নাপাকি লেগে থাকে,এবং সেটা পাকানো
হয়,তাহলে
সেটি পবিত্র হবেনা।,,
জবাইয়ের সময় বের হওয়া প্রবাহিত রক্ত নাপাক, কিন্তু গোশতের
রক্ত নাপাক নয়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কাপড়ে যদি গোশতের রক্তই লেগে থাকে, তাহলে তা নাপাক
হয়নি এবং আদায়কৃত নামাজ সহিহ হয়েছে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ১/১০১; আলবাহরুর রায়েক
: ১/২২৯; আদ্দুররুল
মুখতার : ১/৩১৯)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শরীয়তের বিধান হলো প্রানী জবাইয়ের সময় যেই প্রবাহিত রক্ত বের
হয়, সেই
প্রবাহিত রক্ত নাপাক। কিন্তু প্রানী জবাইয়ের পর হাড্ডি কাটার সময় বা গোশত কাটার সময়
রান হতে বা অন্য কোনো অংশ হতে যাহা কিছু সাধারনত রক্ত বের হয় বা গোশতের উপর লেগে থাকে
সেটা প্রবাহিত রক্ত নয়। তাই সেটা নাপাক নয়। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত
গোশত রান্না শেষ করে খাওয়া হালাল হবে। উক্ত
রক্তও পাক।
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রবাহিত রক্ত হারাম। আর গোশতের সাথে যে রক্ত লেগে থাকে তা প্রবাহমান
রক্ত নয়। বরং গোশতের সাথে লাগোয়া রগের রক্ত। যা খুবই সামান্য হয়ে থাকে। প্রবাহমাণ পরিমাণ
হয় না। তাছাড়া
এ থেকে মুক্ত থাকাও সম্ভব নয়। এ কারণে গোশতের সাথে লেগে থাকা রক্তকে
নাপাক বলা হয়নি। বিধায়, প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে বাজার থেকে ক্রয়কৃত
গোশ্ত ফ্রিজিং করার পর যে লালচে পানি বের হয় তা নাপাক নয়।