জবাবঃ
এক মজলিসে একটি সেজদার আয়াতকে যতবারই তেলাওয়াত করা হোক না কেন, একটি সেজদাই ওয়াজিব হবে।
যেমন ফিকহে হানাফির গ্রহণযোগ্য একটি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
مَنْ تَلَا آيَةَ السَّجْدَةِ مِرَارًا فَإِنْ كَانَ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ فَعَلَيْهِ سَجْدَةٌ وَاحِدَةٌ، وَإِنْ كَانَ فِي مَجَالِسَ مُتَفَرِّقَةٍ فَعَلَيْهِ بِكُلِّ تِلَاوَةٍ سَجْدَةٌ،
মাবসুত-সারাখসী-৪/৭৯
মজলিস-
যখন কেউ কোনো স্থানে থাকবে যতক্ষণ না সে সেই স্থান থেকে উঠে চলে যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা এক মজলিস হিসেবেই গণ্য হবে।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَالْمَجْلِسُ وَاحِدٌ وَإِنْ طَالَ أَوْ أَكَلَ لُقْمَةً أَوْ شَرِبَ شَرْبَةً أَوْ قَامَ أَوْ مَشَى خُطْوَةً أَوْ خُطْوَتَيْنِ أَوْ انْتَقَلَ مِنْ زَاوِيَةِ الْبَيْتِ أَوْ الْمَسْجِدِ إلَى زَاوِيَةٍ إلَّا إذَا كَانَتْ الدَّارُ كَبِيرَةً كَدَارِ السُّلْطَانِ
ভাবার্থঃ
মজলিস-কে এক মজলিস হিসেবে গণনা করা হবে,
*মজলিস যত লম্বাই হোক,
*বা সেখানে খাবার গ্রহণ করা হোক,
*বা সে দাড়িয়ে যাক,
*অথবা এক কদম বা দুই কদম চলাচল করুক,
*অথবা ঘরের এক কোনে থেকে অন্য কোনে কিংবা মসজিদের এক কোনে থেকে অন্য কোনে চলে যাক,
সর্বাবস্থায় উক্ত মজলিসকে ঐ ব্যক্তির জন্য এক মজলিস হিসেবেই গণনা করা হবে।
হ্যা যদি ঘর বেশ বড় হয় যেমন রাজপ্রসাদ তাহলে এমতাবস্তায় উক্ত ঘরের এক কোনে থেকে অন্য কোনে কেউ গেলে, তার পূর্বের মজলিস খতম হয়ে যাবে।তথা তখন আর তার এক মজলিস থাকবেনা,বরং তার জন্য তখন একাধিক মজলিস হবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৪
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
576
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
(لا) تجب (بسماعه من الصدى والطير)
পাহাড় গাঁ থেকে প্রতিধ্বনির মাধ্যমে বা পাখির মূখ থেকে যদি তেলাওয়াতে সেজদা ভেসে আসে,এবং কেউ শ্রবণ করে নেয়,তাহলে সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হবে না।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় লিখেন,
(قوله من الصدى) هو ما يجيبك مثل صوتك في الجبال والصحاري ونحوهما كما في الصحاح.
(قوله والطير) هو الأصح زيلعي وغيره، وقيل تجب. وفي الحجة هو الصحيح تتارخانية.
قلت: والأكثر على تصحيح الأول وبه جزم في نور الإيضاح
সাদা অর্থা পাহাড়ের গাঁ ঘেষে যে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হয় সেটার নামই হল,সাদা।পাখির কন্ঠে শুনা গেলে ওয়াজিব হবে কি না? এসম্পর্কে মাতবিরোধ রয়েছে,তবে অধিকাংশের মতামতের বিত্তিতে ওয়াজিব হবে না।(রদ্দুল মুহতার-২/১০৮)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অনলাইন হিফয ক্লাসে তিলাওয়াতে সিজদা পড়ার কারণে সিজদা ওয়াজিব হবে না।কেননা সরাসরি শুনলেই তবে সিজদা ওয়াজিব হবে।
তবে আরব দেশের অনেক উলামায়ে কেরাম বলেন,সিজদা ওয়াজিব হবে।সুতরাং সতর্কতামূলক সিজদা দিয়ে দেয়াই উত্তম।