আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
363 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমার প্রশ্ন,একটি অনলাইন হিফয ক্লাসে শিক্ষক সূরার এক অংশ পড়ালে তাতে যদী তিলাওয়াতে সিজদার আয়াত থাকে,এবং পড়িয়ে দেয়ার পর ১০-১৫ জন স্টুডেন্ট ওই পড়াটা শোনায় তাহলে-

১.উস্তাদের জন্য কয়টি সিজদা ওয়াজিব হবে?
২.প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য কয়টি সিজদা ওয়াজিব হবে? তার সহপাঠীদের তিলাওয়াত শুনলে আর নিজে তিলাওয়াত করলে?

৩.শিক্ষার্থী ক্লাস করতে করতে যদী তার বসা স্থান থেকে সড়ে যায় কানে হেডফোন লাগানো অবস্থায় তাহলে কি মজলিস পরিবর্তন হয়েছে বলে ধরা হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
জবাবঃ
এক মজলিসে একটি সেজদার আয়াতকে যতবারই তেলাওয়াত করা হোক না কেন, একটি সেজদাই ওয়াজিব হবে।
যেমন ফিকহে হানাফির গ্রহণযোগ্য একটি কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
مَنْ تَلَا آيَةَ السَّجْدَةِ مِرَارًا فَإِنْ كَانَ فِي مَجْلِسٍ وَاحِدٍ فَعَلَيْهِ سَجْدَةٌ وَاحِدَةٌ، وَإِنْ كَانَ فِي مَجَالِسَ مُتَفَرِّقَةٍ فَعَلَيْهِ بِكُلِّ تِلَاوَةٍ سَجْدَةٌ، 
মাবসুত-সারাখসী-৪/৭৯

মজলিস-
যখন কেউ কোনো স্থানে থাকবে যতক্ষণ না সে সেই স্থান থেকে উঠে চলে যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটা এক মজলিস হিসেবেই গণ্য হবে।

যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
وَالْمَجْلِسُ وَاحِدٌ وَإِنْ طَالَ أَوْ أَكَلَ لُقْمَةً أَوْ شَرِبَ شَرْبَةً أَوْ قَامَ أَوْ مَشَى خُطْوَةً أَوْ خُطْوَتَيْنِ أَوْ انْتَقَلَ مِنْ زَاوِيَةِ الْبَيْتِ أَوْ الْمَسْجِدِ إلَى زَاوِيَةٍ إلَّا إذَا كَانَتْ الدَّارُ كَبِيرَةً كَدَارِ السُّلْطَانِ
ভাবার্থঃ
মজলিস-কে এক মজলিস হিসেবে গণনা করা হবে,
*মজলিস যত লম্বাই হোক, 
*বা সেখানে খাবার গ্রহণ করা হোক,
*বা সে দাড়িয়ে যাক,
*অথবা এক কদম বা দুই কদম চলাচল করুক,
*অথবা ঘরের এক কোনে থেকে অন্য কোনে কিংবা মসজিদের এক কোনে থেকে অন্য কোনে চলে যাক,
সর্বাবস্থায় উক্ত মজলিসকে ঐ ব্যক্তির জন্য এক মজলিস হিসেবেই গণনা করা হবে।

হ্যা যদি ঘর বেশ বড় হয় যেমন রাজপ্রসাদ তাহলে এমতাবস্তায় উক্ত ঘরের এক কোনে থেকে অন্য কোনে কেউ গেলে, তার পূর্বের মজলিস খতম হয়ে যাবে।তথা তখন আর তার এক মজলিস থাকবেনা,বরং তার জন্য তখন একাধিক মজলিস হবে।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৪

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
576


আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,
 (لا) تجب (بسماعه من الصدى والطير)

পাহাড় গাঁ থেকে প্রতিধ্বনির মাধ্যমে বা পাখির মূখ থেকে যদি তেলাওয়াতে সেজদা ভেসে আসে,এবং কেউ শ্রবণ করে নেয়,তাহলে সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হবে না।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় লিখেন,
(قوله من الصدى) هو ما يجيبك مثل صوتك في الجبال والصحاري ونحوهما كما في الصحاح.
(قوله والطير) هو الأصح زيلعي وغيره، وقيل تجب. وفي الحجة هو الصحيح تتارخانية.
قلت: والأكثر على تصحيح الأول وبه جزم في نور الإيضاح
সাদা অর্থা পাহাড়ের গাঁ ঘেষে যে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হয় সেটার নামই হল,সাদা।পাখির কন্ঠে শুনা গেলে ওয়াজিব হবে কি না? এসম্পর্কে মাতবিরোধ রয়েছে,তবে অধিকাংশের মতামতের বিত্তিতে ওয়াজিব হবে না।(রদ্দুল মুহতার-২/১০৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অনলাইন হিফয ক্লাসে তিলাওয়াতে সিজদা পড়ার কারণে সিজদা ওয়াজিব হবে না।কেননা সরাসরি শুনলেই তবে সিজদা ওয়াজিব হবে।

তবে আরব দেশের অনেক উলামায়ে কেরাম বলেন,সিজদা ওয়াজিব হবে।সুতরাং সতর্কতামূলক সিজদা দিয়ে দেয়াই উত্তম।




(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...