ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাব,
https://ifatwa.info/4202/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পর ওলিমা করা সুন্নাত।
রুখছতির পর (বাসর রাতের পর) তিন দিনের
মধ্যে যেকোনো এক দিন ওলিমা করা সুন্নাত। (নাজমুল ফাতওয়া ৫/২)
রুখছতি (বাসর রাত) এর পূর্বে ওলিমা
করলে সময়ের সুন্নাত আদায় হবেনা। (নাজমুল ফাতওয়া ৫/৩)
তবে ওলিমার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী ২/৪০৭)
মহিলার সাথে একাকি নির্জনে অবস্থান
করার পর ওলিমা করলেও ওলিমার করার সেই সুন্নত সময়, সেই সময়েই ওলিমা আদায় হয়ে যাবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে
فإن
الدخول یشمل الخلوۃ أیضًا؛ لأنہا دخول حکمًا۔ (شامي ۴؍۲۳۶
زکریا)
যার সারমর্ম হলো খুলওয়াতে ছহিহাহও সহবাসের হুকুমেই।
حَدَّثَنَا
مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ،
وَحُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
رَأَى عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ وَعَلَيْهِ رَدْعُ زَعْفَرَانٍ فَقَالَ
النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَهْيَمْ فَقَالَ: يَا رَسُولَ
اللَّهِ، تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً، قَالَ: مَا أَصْدَقْتَهَا؟ قَالَ: وَزْنَ نَوَاةٍ
مِنْ ذَهَبٍ، قَالَ: أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ صحيح
আনাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। একদা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুর রহমান ইবনু ‘আওফ (রাযি.)-এর শরীরে
জা‘ফরানের চিহ্ন দেখতে পেয়ে বললেন, এটা কি? তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এক মহিলাকে বিয়ে করেছি। তিনি
জিজ্ঞেস করলেনঃ তাকে কি পরিমাণ মোহর প্রদান করেছো? তিনি বলেন, খেজুরের অাঁটির সমপরিমাণ ওজনের স্বর্ণ। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ বিবাহভোজের আয়োজন করো, যদিও তা একটি বকরী দ্বারাও হয়। (আবু দাউদ ২১০৯)
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ
ثَابِتٍ، قَالَ: ذُكِرَ تَزْوِيجُ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ عِنْدَ أَنَسِ بْنِ
مَالِكٍ فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
أَوْلَمَ عَلَى أَحَدٍ مِنْ نِسَائِهِ مَا أَوْلَمَ عَلَيْهَا أَوْلَمَ بِشَاةٍ
صحيح
সাবিত (রাঃ)
সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যাইনাব বিনতু জাহশের বিবাহের ঘটনা আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর নিকট আলাপ করা হলে
তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাইনাবের বিয়েতে যেভাবে ওয়ালীমা অনুষ্ঠান
করেছেন অন্য কোনো স্ত্রীর বেলায় তাঁকে তদ্রূপ করতে দেখেনি। তিনি একটি বকরী দিয়ে বিবাহ
ভোজনের ব্যবস্থা করেছেন। (আবু দাউদ ৩৭৪৩)
★বাসর রাতের পরদিন ওয়ালিমা করা সুন্নাতঃ
রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জয়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) এর সাথে বাসর রাত অতিবাহিত
করার পর ওয়ালিমা করেছিলেন। (বুখারী:৫১৭০)
তবে তিন দিন
পর্যন্তও বিলম্বিত করা যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছাফিয়া (রাঃ)
কে বিবাহের পর তিন দিন পর্যন্ত ওয়ালিমা খাইয়ে ছিলেন। (মুসনাদে আবু ইয়ালা:৩৮৩৪)
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا
هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُثْمَانَ الثَّقَفِيِّ، عَنْ - رَجُلٍ أَعْوَرَ مِنْ ثَقِيفٍ كَانَ يُقَالُ لَهُ
مَعْرُوفًا أَيْ يُثْنَى عَلَيْهِ خَيْرًا إِنْ لَمْ يَكُنِ اسْمُهُ - زُهَيْرُ
بْنُ عُثْمَانَ فَلَا أَدْرِي مَا اسْمُهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ قَالَ: الْوَلِيمَةُ أَوَّلَ يَوْمٍ حَقٌّ، وَالثَّانِيَ مَعْرُوفٌ،
وَالْيَوْمَ الثَّالِثَ سُمْعَةٌ وَرِيَاءٌ قَالَ قَتَادَةُ: وَحَدَّثَنِي رَجُلٌ
أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ دُعِيَ أَوَّلَ يَوْمٍ فَأَجَابَ، وَدُعِيَ
الْيَوْمَ الثَّانِيَ فَأَجَابَ، وَدُعِيَ الْيَوْمَ الثَّالِثَ فَلَمْ يُجِبْ،
وَقَالَ: أَهْلُ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ ضعيف، الإرواء
আব্দুল্লাহ
ইবনু উসমান আস সাকাফী (রহঃ) থেকে তার গোত্রের এক অন্ধ ব্যক্তির সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ওয়ালীমা অনুষ্ঠান বিবাহের প্রথম দিনে করা জরূরী,
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান উত্তম এবং
তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান লোক শুনানো ও লোক দেখানোর জন্য। কাতাদাহ (রহঃ) বলেন,
আমাকে এক ব্যক্তি বলেছেন,
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ)-কে ওয়ালীমাতে
প্রথম দিন দা‘ওয়াত দেয়া হলে তিনি সাড়া দিলেন, দ্বিতীয় দিন দা‘ওয়াত দেয়া হলেও কবূল করলেন এবং তৃতীয়
দিন দা‘ওয়াত দেয়া হলে তিনি দা‘ওয়াত কবূল করলেন না। তিনি বললেন,
এ সব লোক মানুষকে দেখানোর জন্য এবং
শুনানোর জন্য এসব করে থাকে।(আবু দাউদ ৩৭৪৫)
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا
هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ
عُثْمَانَ الثَّقَفِيِّ، عَنْ رَجُلٍ، أَعْوَرَ مِنْ ثَقِيفٍ كَانَ يُقَالُ لَهُ
مَعْرُوفًا - أَىْ يُثْنَى عَلَيْهِ خَيْرًا إِنْ لَمْ يَكُنِ اسْمُهُ زُهَيْرُ
بْنُ عُثْمَانَ فَلاَ أَدْرِي مَا اسْمُهُ - أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
قَالَ " الْوَلِيمَةُ أَوَّلُ يَوْمٍ حَقٌّ وَالثَّانِي مَعْرُوفٌ
وَالْيَوْمُ الثَّالِثُ سُمْعَةٌ وَرِيَاءٌ " . قَالَ قَتَادَةُ وَحَدَّثَنِي
رَجُلٌ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ دُعِيَ أَوَّلَ يَوْمٍ فَأَجَابَ وَدُعِيَ
الْيَوْمَ الثَّانِي فَأَجَابَ وَدُعِيَ الْيَوْمَ الثَّالِثَ فَلَمْ يُجِبْ
وَقَالَ أَهْلُ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ .
মুহাম্মদ ইবন
মুছান্না (রহঃ) ............ বনূ ছাকীফের জনৈক কানা ব্যক্তি,
যাকে তার সদাচারের জন্য মারুফ বলা
হতো, যদি তার নাম যুহায়র ইবন উসমান না হয়, তবে আমি জানি না তার সঠিক নাম কি! তিনি বলেন,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বলেছেনঃ বিবাহের প্রথম দিনে ওলীমার ব্যবস্থা করা জরুরী,
দ্বিতীয় দিনে উত্তম এবং তৃতীয় দিনে
করলে তা নাম প্রচার ও লোক দেখানোর জন্য করা হচ্ছে বলে বিবেচিত হবে। (আবু দাউদ ৩৭০৬)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. অসতর্কতা বশত উক্ত
কথা বলায় ঈমান ভঙ্গ হবে না। তবে এজাতীয় কথা বলার কারণে ইস্তেগফার
করতে হবে। এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে হবে যেন কোন সুন্নাহ বিরোধী কোন কথা জবান থেকে
বের না হয়।
২. জ্বী না জায়েয নেই।
বিটকয়েন জাতীয় সকল প্রকার ভার্চুয়াল কারেন্সি সম্পর্কে উলামায়ে কেরামের
সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হল, এজাতীয় কারেন্সির
ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন সম্পূর্ণ নাজায়েয ও হারাম।
আরো জানুন: https://ifatwa.info/7915/