আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (23 points)
বর্তমানে ইনডর খেলার মাঠ খুবই জনপ্রিয় হয়েছে।এতে ইনভেস্ট করা কি ঠিক হবে??

কোন কোন পন্থা অবলম্বন করলে তা জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
গুনাহের কাজের জন্য কোনো জায়গা ঘর ভাড়া দেওয়া তিন ছুরত।
,
(০১)
শুধু হারাম কাজের জন্যই ভাড়া দেওয়া।
যেমন সিনেমা হলের জন্য জায়গা ভাড়া দেওয়া।
তাহলে এটি নাজায়েজ,ভাড়া নেওয়াও নাজায়েজ। 
,
এখানে গুনাহের কাজের প্রতি সহযোগিতা পাওয়া যায়,যাহা হারাম।
 
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

وفي " الموسوعة الفقهية " (8/228) : " فَلاَ يَجُوزُ عِنْدَ جُمْهُورِ الْفُقَهَاءِ إِجَارَةُ الْبَيْتِ لِغَرَضٍ غَيْرِ مَشْرُوعٍ ، كَأَنْ يَتَّخِذَهُ الْمُسْتَأْجِرُ مَكَانًا لِشُرْبِ الْخَمْرِ أَوْ لَعِبِ الْقِمَارِ ، أَوْ أَنْ يَتَّخِذَهُ كَنِيسَةً أَوْ مَعْبَدًا وَثَنِيًّا .
وَيَحْرُمُ حِينَئِذٍ أَخْذُ الأْجْرَةِ كَمَا يَحْرُمُ إِعْطَاؤُهَا ، وَذَلِكَ لِمَا فِيهِ مِنَ الإْعَانَةِ عَلَى الْمَعْصِيَةِ 
সারমর্মঃ   অন্যায় কাজ করার জন্য ঘর ভাড়া দেওয়া জায়েজ নেই।
যেমন মদ খাওয়ার জায়গা বানানো,জুয়া খেলার জায়গা বানানো ইত্যাদি ।
  
,
(০২)

ঘরে বসবাস,দোকান ইত্যাদির জন্য ভাড়া দেয়,কিন্তু সেখানে সে কিছু গুনাহের কাজও করে,তাহলে সেই ভাড়া দেওয়া জায়েজ।
,
ভাড়া গ্রহনও জায়েজ।
,
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 47318 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে ভাড়াটে আপনার ঘর ভাড়া নিয়ে গুনাহ করবে কিনা,সেই দায়ভার আপনার উপর বর্তাবেনা।
আপনার জন্য ভাড়া নেওয়া জায়েজ আছে।
,
তবে তাকওয়ার খাতিরে সেখানে গুনাহ করবে,এমন ব্যাক্তি সেটি ভাড়া দিবেননা।
,
قال السرخسي رحمه الله : " ولا بأس بأن يؤاجر المسلم دارا من الذمي ليسكنها ، فإن شرب فيها الخمر ، أو عبد فيها الصليب ، أو أدخل فيها الخنازير : لم يلحق المسلم إثم في شيء من ذلك ، لأنه لم يؤاجرها لذلك ، والمعصية في فعل المستأجر ، وفعله دون قصد رب الدار ؛ فلا إثم على رب الدار في ذلك " انتهى من " المبسوط " (16/39) .
সারমর্মঃ কোনো যিম্মি কে ঘর ভাড়া দেওয়া হলো,সে যদি সেখানে মদ খায়,তাহলে সেই ভাড়া দেওয়া জায়েজ।
,
(০৩)
ভালো কাজের জন্যই সে ভাড়া দিয়েছিলো।
কিন্তু পরবর্তীতে  সে উক্ত জায়গা হারাম কাজের জন্য প্রস্তুত করেছে।মালিকের জানেইনা।
,
এই ছুরতে মালিম জানার আগ পর্যন্ত ভাড়া গ্রহন করতে পারবে।
জানার পরেই উক্ত জায়গা তার কাছ থেকে ফিরিয়ে নিতে হবে।
তার কাছে রাখা জায়েজ  নেই । 
,
قال الشيخ عطية صقر رحمه الله : " لا يخلو حال المؤجر من أمرين :
إما أن يكون عالما بارتكاب المستأجر للمحرم ، كأن شرط في العقد أن الإجارة لهذا العمل ، أو لم يشترط ، ولكن يَعرف أن المحرم سيرتكب فيه .
وإما ألا يكون عالما بذلك .
وفى الحالة الثانية : الإجارة صحيحة ، والأجرة مستحقة وحلال ، باتفاق الأئمة .
وفى الحالة الأولى : قال الأئمة الثلاثة ووافقهم أبو يوسف ومحمد من أصحاب أبي حنيفة : بطلت الإجارة ؛ لأنها وقعت على معصية " انتهى من " فتاوى دار الإفتاء المصرية " (9/ 374 ) - بترقيم الشاملة - .
,
সারমর্মঃ জায়েজ কাজের জন্য নিয়ে নাজায়েজ কাজ করলে ইজারা চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।
কেননা সে এতে গুনাহ করছে।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  ইনডর খেলার মাঠ,এতে ইনভেস্ট করা জায়েজ হবেনা।
,
কারন এতে জুয়া খেলা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...