ওয়া
আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির
রহমানির রহিম।
জবাব,
https://ifatwa.info/88120?show=88138#a88138
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলো কোন অমুসলিমের দাওয়াত যাতে গোস্ত
জাতীয় বস্তু তথা হাসঁ,
মুরগী না থাকে তাহলে তা খাওয়া জায়েজ আছে। তবে একে অভ্যাসে পরিণত করা ভাল নয়। খুবই
গর্হিত কাজ।
রাসুলুল্লাহ (সা.) অমুসলিমদের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন। তাদের রান্নাকৃত
খাবার খেয়েছেন।
তাদের দেওয়া উপহারও গ্রহণ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৬১৫)
অনুরুপভাবে তাদের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। (সূরা বাক্বারাহ
১৭৩)
فى الفتوى الهندية-ولا بأس بطعام المجوس كله
الا الذبيحة الخ (الفتوى الهندية-5/347، كتاب الكراهية، الباب الرابع عشر فى اهل
الذمة، البحر الرائع، كتاب الكراهية، فصل الأكل والشرب-8/184، المحيط
البرهانى-8/69
যার সারমর্ম হলো মূর্তিপুজকদের খাবার খাক্যা জায়েজ আছে,তবে তাদের জবাইকৃত
পশু ব্যাতিত।
★বিধর্মীদের রান্না করা খাবার
যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি
খাওয়া জায়েয আছে, যদি
সে খাদ্যটি হারাম না হয় এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ
ﷺ অমুসলিমদের দেয়া দাওয়াত খেয়েছেন এবং তাদের দেয়া হাদিয়াও গ্রহণ
করেছেন। (বুখারী ২৬১৫-১৮ ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ)
★★সুতরাং হিন্দু
ধর্মাবলম্বীদের দেওয়া ফল,
তাদের রান্না করা খাবার যেমন, সেমাই, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েজ। তবে খাবারটি কোনোভাবেই হারাম না
হতে হবে। পাশাপাশি তাতে হারাম কোনো কিছুর সংমিশ্রণ না থাকতে হবে। (তাদের কোনো উপসনার
জন্য উৎস্বর্গকৃত না হতে হবে।
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!
হিন্দুদের জবাইকৃত প্রাণী ব্যতীত তাদের তৈরীকৃত অন্যান্য খাবার
ততক্ষণ হারাম হবে না,
যতক্ষণ না প্রমাণিত হচ্ছে তারা এতে হারাম কিছুর সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে। তবে যেহেতু কাফিরের
উপর বিশ্বাস স্থাপন করা যায় না, তাই সতর্কতামূলক তাদের তৈরীকৃত খাবার না খাওয়াই উত্তম।
তবে নাপাক জিনিস মিশ্রিত না হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে হিন্দুদের দাওয়াত খাওয়া জায়েয আছে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত
ছুরতে হিন্দুদের দাওয়াত গ্রহণ করা জায়েয, তবে শর্ত হলো তাদের প্রদান করা খাবারের
মাঝে কোনো হারাম বা সন্দেহযুক্ত বস্তু থাকতে পারবে না।