আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
urgent*****

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ,
আমার এক হিন্দু বান্ধবী তার বাসায় দুপুরে দাওয়াত দিয়েছে, প্রায় ১৭জন মেয়েকে একসাথে দাওয়াত। কারণ আমরা পড়াশুনার স্বার্থে অনেক দূরে থাকি, আমাদের যেহেতু ফাইনাল ইয়ারের ক্লাস শেষ,কিছুদিনের মধ্যেই পরীক্ষা শেষ করে সবাই পারমানেন্টলি যার যার নিজের জেলায় ব্যাক করবো ইং শা আল্লহ,অর্থাৎ পড়াশুনা শেষ।  এখানে আর আসা হবে না।
যেহেতু সে এখানকার স্থানীয়, তাই আমন্ত্রণ করেছে। সবার সাথে আর দেখা হবে না তাই।  তার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক এবং মানুষ হিসেবেও সে ভালো,পরোপকারী। না গেলে হয়তো কষ্ট পাবে। কিন্তু এখন আমি কি সেখানে যেতে পারবো????আর অজুহাত কি দিবো না গেলে তো মিথ্যা বলতে হয়।
দাওয়াতে যেতে পারবো কিনা জানতে চাই

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

 

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাব,

https://ifatwa.info/88120?show=88138#a88138   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলো কোন অমুসলিমের দাওয়াত  যাতে  গোস্ত জাতীয় বস্তু তথা হাসঁ, মুরগী না থাকে তাহলে তা খাওয়া জায়েজ আছে। তবে একে অভ্যাসে পরিণত করা ভাল নয়। খুবই গর্হিত কাজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) অমুসলিমদের দাওয়াত গ্রহণ করেছেন। তাদের রান্নাকৃত খাবার খেয়েছেন।

তাদের দেওয়া উপহারও গ্রহণ করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ২৬১৫)

অনুরুপভাবে তাদের যবেহ করা পশুর গোশত খাওয়া যাবে না। (সূরা বাক্বারাহ ১৭৩)

فى الفتوى الهندية-ولا بأس بطعام المجوس كله الا الذبيحة الخ (الفتوى الهندية-5/347، كتاب الكراهية، الباب الرابع عشر فى اهل الذمة، البحر الرائع، كتاب الكراهية، فصل الأكل والشرب-8/184، المحيط البرهانى-8/69

যার সারমর্ম হলো মূর্তিপুজকদের খাবার খাক্যা জায়েজ আছে,তবে তাদের জবাইকৃত পশু ব্যাতিত।  

বিধর্মীদের রান্না করা খাবার যেমন, মাছ, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েয আছে, যদি সে খাদ্যটি হারাম না হয় এবং তাতে যদি হারাম কোন কিছুর সংমিশ্রণ না থাকে। যেহেতু রাসূলুল্লাহ অমুসলিমদের দেয়া দাওয়াত খেয়েছেন এবং তাদের দেয়া হাদিয়াও গ্রহণ করেছেন। (বুখারী ২৬১৫-১৮ ‘মুশরিকদের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ’ অনুচ্ছেদ)

★★সুতরাং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেওয়া ফল, তাদের রান্না করা খাবার যেমন, সেমাই, তরকারি ইত্যাদি খাওয়া জায়েজ। তবে খাবারটি কোনোভাবেই হারাম না হতে হবে। পাশাপাশি তাতে হারাম কোনো কিছুর সংমিশ্রণ না থাকতে হবে। (তাদের কোনো উপসনার জন্য উৎস্বর্গকৃত না হতে হবে।

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই / বোন!

হিন্দুদের জবাইকৃত প্রাণী ব্যতীত তাদের তৈরীকৃত অন্যান্য খাবার ততক্ষণ হারাম হবে না, যতক্ষণ না প্রমাণিত হচ্ছে তারা এতে হারাম কিছুর সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে। তবে যেহেতু কাফিরের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা যায় না, তাই সতর্কতামূলক তাদের তৈরীকৃত খাবার না খাওয়াই উত্তম।

তবে নাপাক জিনিস মিশ্রিত না হওয়া সম্পর্কে নিশ্চিত হলে হিন্দুদের  দাওয়াত খাওয়া জায়েয আছে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হিন্দুদের দাওয়াত গ্রহণ করা জায়েয, তবে শর্ত হলো তাদের প্রদান করা খাবারের মাঝে কোনো হারাম বা সন্দেহযুক্ত বস্তু থাকতে পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...