আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
201 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামুয়ালাইকুম। আমার বিয়ে হয়েছিল পারিবারিকভাবে কোর্টৈর মাধ্যমে। কাবিন নামায় আমাদের সাইন নিয়েছিল খালি কাগজে তখন কোনো লিখালেখি ছিলোনা। আমার স্বামী বা আমি আমরা কেউই কাবিন নামায় তালাকের অধিকার সম্পর্কে জানতামনা। একটি সমস্যার কারনে আমাদের কাবিন নামা একবছর হয়ে যায় আমরা হাতে পাইনি এখনো। তার মধ্যে আমাদের মধ্যে একবার ঝগড়া ঝাটি হয় আর আমার স্বামী কিছু কেনায়া শব্দ বলেছিল। যা পূর্বের পোস্ট এ বর্ণনা করার পর আপনারা বলেছিলে তালাক হয়নি। কিন্তু আমরা সমাধান নেয়ার আগে আমাদের ঝগড়ার পর ভয়ে আমাদের বিবাহ আবার দোহরিয়ে নিয়েছিলাম। এই বিয়ে ছিলো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। সাদা কাগজে আমাদের সাইন নিয়ে কাবিন নামায় বসিয়ে দিয়েছিল। আর রেজিস্ট্রেশন করার আগে দেখালো তালাকের অধিকার দেওয়া এবং সব লেখালেখি শেষ। তখন রেজিস্ট্রেশন করার আগে আমার স্বামীকে বললাম আমি তালাকের অধিকার চাইনা তখন তিনি বললেন থাকুক সমস্যা কি। আমি কান্নাকাটি করায় তখন রেজিস্ট্রেশন করার আগে অধিকার বাতিল করে তারপর রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এই কাবিন নামা আমরা আগে হাতে পেয়ে যাই। যেহেতু ঝগড়ার সময় তালাক হয়নি আর আমাদের পূর্বের কাবিন নামা আমরা এখনো হাতে পাইনি। কিছুদিনের ভিতরে পেয়ে যাবো। সেখানে ও আমি আমার ভাইদের বলে দিয়েছি কাজীকে বলতে আমাকে যেন ১৮ নং ঘরে তালাকের অধিকার না দেয়। এই কথা আমার স্বামী ও জানেনা। আমাদের কাবিন নামা দুইটি আমাদের প্রথমটি আমরা হাতে পাওয়ার আগেই বলে দিয়েছি যাতে আমাকে অধিকার না দেয় সেটা আমরা এখনো দেখিইনি। আর পরেরটা সব  লিখার পর শুধু রেজিস্ট্রেশন এর আগে আমাদের দেখিয়েছিল কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করার আগে আমার স্বামীকে বলেছিলাম এই ব্যাপারে তখন বলেছে থাকুক পরে আবার রেজিস্ট্রেশন করার আগে বাতিল করা হয়েছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো আমাদের বিয়ের প্রথম কাবিন নামায় যদি আমার মানা করার ভিত্তিতে অধিকার না দেয় যেটা আমার স্বামীও এসব জানেনা তাকে জানাই নি সে পূর্বে এগুলো বুঝত ও না সেখানে অধিকার না দিলে কি আমার কোনো অধিকার পাওয়া হবে। নাকি সন্দেহের ভিত্তিতে বিবাহ নবায়নের পর যে কাবিন নামায় অধিকার দিয়ে সব লেখালেখির পর কাজী আমাদের দেখিয়েছিল এবং আমার স্বামী বলেছিল থাকুক সমস্যা কি। পরে আবার রেজিস্ট্রেশন করার আগে এই কাগজ ফেলে দিয়ে নতুন করে আরেকটা তালাকের অধিকার না দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পর এতেও কি অধিকার রয়ে গেছে। এখানে কাবিন নামা ধর্তব্য হবে কোনটি। আমাদের প্রথম বিয়েরটা নাকি সন্দেহের ভিত্তিতে বিবাহ নবায়নের পরেরটা। আর আমি কি প্রথমটা বা দ্বিতীয়টা যেটা ধর্তব্য হবে সে অনুযায়ী কোনো অধিকার আর পাবো। আমাকে দ্রুত উত্তরটি প্রদান করবেন শায়েখ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিলে স্ত্রী কখনো নিজের উপর তালাক নিতে পারবে না। তাছাড়া স্বামীর অগোচরে কাজী কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিলেও স্ত্রী তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত হবে না। 
তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।

كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।

সারমর্মঃ-
স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/52353


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সমস্ত প্রশ্ন পড়েছি। স্ত্রী ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত মনে হচ্ছে।উনাকে ওয়াসওয়াসা কোর্স করার পরামর্শ আমরা দিচ্ছি। প্রশ্নের বিবরণমতে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না।  কোর্সটি করতে এখানে ক্লিক করুন- https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...