ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যদি হালাল কোনো কাজ হয়, তাহলে ইসরাঈলী কম্পানি হলেও সেই কাজ নাজায়েয হবে না।তবে উত্তম হল, কোনো মুসলিমের অধীনে চাকুরী করা।
ফাতাওয়া শামীতে বর্ণিত আছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো গুনাহ নাই।
(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ٦\٣٩٢ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)
(২)
সুন্নত নামাজে ভুলে কিছুক্ষণ শব্দ করে তেলাওয়াত করে ফেললে সেটা যদি দিনের সুন্নত হয়, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।আর যদি রাতের সুন্নত হয়, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1517
(৩)
মসজিদে মৃত ব্যাক্তি মারা গেলে তার জন্য সূরা ফাতিহা এবং ৩ বার সুরা ইখলাস পড়াকে নিয়ম বানানো যাবে না। হ্যা, জায়েয হিসেবে মাঝেমধ্যে পড়া যেতে পারে।
(৪)
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে,
أَنَّ عَائِشَةَ، أَخْبَرَتْهُ. أَنَّهُ، اسْتَأْذَنَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ " ائْذَنُوا لَهُ فَبِئْسَ ابْنُ الْعَشِيرَةِ ". أَوْ " بِئْسَ أَخُو الْعَشِيرَةِ ". فَلَمَّا دَخَلَ أَلاَنَ لَهُ الْكَلاَمَ. فَقُلْتُ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قُلْتَ مَا قُلْتَ، ثُمَّ أَلَنْتَ لَهُ فِي الْقَوْلِ. فَقَالَ " أَىْ عَائِشَةُ، إِنَّ شَرَّ النَّاسِ مَنْزِلَةً عِنْدَ اللَّهِ مَنْ تَرَكَهُ ـ أَوْ وَدَعَهُ ـ النَّاسُ اتِّقَاءَ فُحْشِهِ "
এক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রবেশ করে অনুমতি চাইলে তখন তিনি বললেনঃ তাকে অনুমতি দাও। সে তার বংশের নিকৃষ্ট সন্তান। অথবা বললেনঃ সে তার গোত্রের ঘৃন্যতম ভাই। যখন সে প্রবেশ করল তখন তিনি তার সাথে নম্রভাবে কথা বার্তা বললেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি এর সম্পর্কে যা বলার তা বলেছেন। এখন আপনি তার সাথে নম্রভাবে কথা বললেন। তিনি বললেনঃ হে আয়েশা! আল্লাহর কাছে মর্যাদায় নিকৃষ্ট সে ব্যাক্তি, যার অশালীন আচরন থেকে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ তার সংশ্রব ত্যাগ করে।(সহীহ বোখারী-৫৭০১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' যেভাবে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাযিকে সতর্ক করলেন, ঠিক তেমনিভাবে কারো সম্পর্কে সতর্ক করার নিমিত্বে তার মন্দ অভ্যাস কাউকে বলা যাবে, এতে গীবত হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1715
(৫)
দিন তারিখ ঠিক না করে ঈসালে সওয়াব উপলক্ষ্যে দু'আ করা জায়েয। তবে এজন্য জিলাফি ইত্যাদির কোনো রেওয়াজ নাই, এবং ঈসালে সওয়াব করে টাকা নেওয়াও জায়েয হবে না। হ্যা, দুনিয়াবী উদ্দেশ্য নিয়ে দু'আ করা জায়েয।এবং এজন্য কেউ হাদিয়া দিয়ে দিলে সেটা নাজায়েয হবে না।বিস্তারিত-
https://www.ifatwa.info/6577
তবে এটাকে কোনো নিয়মে পরিণত করা যাবে না। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/3565