বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাধারণত মুদ্রার লেনদেন দুইভাবে হতে পারে।যথা-
(ক)ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন।
(খ)একই দেশের কারেন্সির লেনদেন।
প্রথম প্রকারের লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।
তথা ভিন্ন দুই দেশের মুদ্রার লেনদেনকেই ফরেক্স বলা হয়।
(ক)
ভিন্ন দেশের কারেন্সির লেনদেন
এক দেশের কারেন্সি আরেক দেশের কারেন্সির বিনিময়ে কমবেশি করে বিক্রি করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে মজলিসেই কমপক্ষে একপক্ষ টাকাটি হস্তগত করে নিতে হবে। যদি একজনও তাদের বিনিময়কৃত কারেন্সি হস্তগত না করে তাহলে ক্রয় বিক্রয়টি জায়েজ হবে না। (জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/198
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুই দেশের নোটের বিনিময় 'আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল' কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যর ভিত্তিতেই হওয়া চাই।যেমন 1$ সমান ৯৬টাকা।তাছাড়াও যদি কমবেশের উপর উভয় সম্মত হন, তাহলে সেটাও জায়েয।তবে শর্ত হল উভয়ের যে কেউ একজন মজলিসে মুদ্রা কবজা/হস্তগ্রত করবেন।(জাদীদ ফেকহী মাসাঈল;৪/২৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14067
ব্লাক মার্কেট বা হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন করা যদিও জায়েয তবে এক্ষেত্রে সরকারী বিধিনিষেধ কে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। অথচ বৈধ বিষয়ে সরকারী বিধিবিধানের অনুসরণ অত্যাবশ্যকীয়।
সে কারণে ব্লাকমার্কেট পরিত্যাগই শ্রেয়। তবে হারাম বা নাজায়েয হবে না।কেউ হুন্ডির মাধ্যমে করে নিলে সেটা বৈধ হবে।যদি না তাতে ধোকা এবং প্রতারণা না থাকে।(জাদীদ মু'আমালাত কে শরয়ী আহকাম;১-১৩৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রবাস থেকে যেসব বিকাশ ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের মাধ্যেমে টাকায় পাঠায় তাদের সাথে তো লেনদেন করতে কোন সমস্যা নাই। তাদের সাথে লেনদেন করা যাবে। তবে যারা হুন্ডির মাধ্যমে টাকায়,তাদের সাথে লেনদেন করা যাবে না।