মুফতি ওলি উল্লাহ শায়েখের কাছে...
আমি দেশে বিকাশের এজেন্ট হয়ে ব্যাবসা করি। বিকাশ কোম্পানি আমাকে প্রতি ট্রানজেকশনে হাজারে ৪ টাকা কমিশন করে দেই। এখন আমার বন্ধু আমার মাধ্যমে প্রবাস থেকে বিকাশের ব্যাবসা করে। এখন বিষয়টা হচ্ছে আমার বন্ধুর কাছে পুঁজি নেই। যদিও তার কাছে পুঁজি থাকতো তাহলে আমাকে অ্যাডভান্স টাকা দিয়েই তার ব্যাবসা করতে হতো। এখন যদি তার সাথে আমি এই চুক্তিতে যায় তার যেহেতু পুঁজি নাই সেজন্য তাকে আমাকে অ্যাডভান্স পেমেন্ট করতে হবে না। ব্যবসাটা দুজনে মিলেই করবো তাকে আমি পুঁজি দিবো। এখন আনুমানিক আমার বন্ধুর মাসিক লেনদেন ৫ লাখ টাকা। এখন যেহেতু তার কাছে পুঁজি নেই। আমি তাকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে ব্যবসায় শরিক হলাম। এখন দেখা যায় যে বিদেশ থেকে বিকাশে টাকা পাঠালে প্রতি এক লাখে তিন হাজার টাকা লাভ হয়। তো এই প্রফিট টা যদি আমরা দুজনে পার্সেন্টেজ হিসেব করে লাভ নেই আমি ৩০% সে ৭০% বা ৫০/৫০ ইত্যাদী। এখন যেহেতু দুজনে ব্যবসা করতেছি তো আমি যদি তার সাথে এরকম চুক্তি করি এটা কি শরীয়ত সম্মত হবে?
আরেকটা বিষয় হচ্ছে আমি যেহেতু বিকাশের এজেন্ট সুতরাং এই ৫ লাখ টাকা লেনদেনের কারণে বিকাশ কোম্পানি আমাকে প্রতি হাজারে ৪ টাকা করে কমিশন দিতেছে। নির্ধারিত কমিশন তো পাচ্ছিই আমি স্বাভাবিকভাবে। এছাড়াও তার থেকে যে এক্সট্রা আমি টাকাটা পাবো প্রতি লাখে পারসেন্ট হিসাব করে ঐটা কি হারাম হবে। ঐটা তো আমি তাকে টাকে দিয়ে তার সাথে ব্যবসায় শরিক হলাম, এখন তো ব্যবসাটা দুজনেরই।
★সু-প্রিয় উত্তরকারী উস্তায,
আপনি বলেছিলেন যে, প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনোক্রমেই এভাবে লাভ নেয়া জায়েজ হবেনা। এখন আমার কথা হচ্ছে, যারা বিদেশ থেকে দেশের এজেন্ট এর মাধ্যমে বিকাশের ব্যাবসা করে এটা কি অবৈধ পন্থা?? যদি অবৈধ পন্থা না হয় তাহলে তো নাজায়েজ হওয়ার কথা না। কেননা এখানে তো আমি তাকে ঋণ দিচ্ছি না। টাকা দিয়ে আমি তার সাথে ব্যবসায় শরিক হলাম এবং লাভ লস এর হিসেব করেই দুজনে পারসেন্ট হারে টাকা নিবো। দয়া করে বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হবে।