আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
89 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আস্সালামু আলাইকুম...

আমি একবার এখানেই কোনো একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে জানতে পারি যে, কোন কিছু পাওয়ার আশায় কোন নেক আমল করলে , সেটা শিরক হয়ে যায়। অনেকে দশ হাজার বার ইস্তেগফার পড়ে দিনে, তার জীবনে উন্নতি প্রয়োজন । রিজিকে প্রশস্ততা প্রয়োজন। এজন্য মাগরিবের পর সূরা ওয়াকিয়া পড়া ,এটা একটি প্রচলিত প্রসিদ্ধ আমল ।এটাও রিজিক বৃদ্ধির জন্য করে। তাহলে এগুলো কোন কিছু অর্জনের জন্যই তারা করছে। এটা কি শিরক হয়ে যাবে? এমনটা কেন বলা হলো? এর ব্যাখ্যা জানতে চাই।

এখন দিনের কিছু সময় ইস্তেগফার করে গুনাহ মাফের আশায়, সওয়াবের আশায় ,আল্লাহর সন্তুষ্টি আশায়। কিন্তু এত বেশি সংখ্যক বারতো কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাতেই করছে। এখন এটা কি করা যাবে না?

২/ রিজিক এ প্রশস্ততা আনার , মানসিক সক্ষমতা বাড়াতে - এ জন্য কোনো একটা আমল খুব বেশি বেশি করা যাবে?

৩/অল্প আমল করলেই মনে অহঙ্কার চলে আসে। মনে হয় আমি সবার থেকে আলাদা, এমন আমলটা আর কেউ করেনা।

৪/কাজ বা পড়ার প্রেসার থাকলে নামাজের জন্য সময় বের করা/ বার বার ওঠা টাইম কন্সিউমিং মনে হয়। সবসময়ি একটি টেনশনের ব্যাপার,মাথা ব্যথার কারণ মনে হয়। মনে হয় এটা স্বাভাবিক (নাউযুবিল্লাহ) কাজে ব্যেঘাত ঘটে, মনোযোগ নষ্ট হয়।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَبْكِي فَقَالَ مَا يُبْكِيكَ قَالَ يُبْكِينِي شَىْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَإِنَّ مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الأَبْرَارَ الأَتْقِيَاءَ الأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُفْتَقَدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُعْرَفُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ " .

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক দিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর মসজিদে গিয়ে মুআয ইবনে জাবাল (রাঃ) কে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরের পাশে উপবিষ্ট অবস্থায় কান্নারত দেখতে পান। তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত কিছু বিষয় আমাকে কাঁদাচ্ছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ সামান্যতম কপটতাও শিরক। যে ব্যক্তি আল্লাহর কোন বন্ধুর (ওলী) সাথে শত্রুতা করলো, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলো। নিশ্চয় আল্লাহ ভালোবাসেন সৎকর্মপরায়ণ আল্লাহভীরু আত্মগোপনকারী বান্দাদের, যারা দৃষ্টির অন্তরাল হলে কেউ তাদের খোঁজ করে না, সামনে উপস্থিত থাকলে কেউ তাদের আপ্যায়ন করে না এবং তাদের পরিচয়ও নেয় না। তাদের অন্তরসমূহ হেদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারা সব ধরনের অন্ধকারাচ্ছন্ন কদর্যতা থেকে নিরাপদে বের হয়ে যাবে।
(ইবনে মাজাহ ৩৯৮৯)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি শুধুমাত্র লোক দেখানো ইবাদত হয়,তাহলে এমন রিয়া ছোট শিরক।

কোন কিছু পাওয়ার আশায় কোন নেক আমল করলেই সেটা শিরক হয়ে যায়না।
তবে এক্ষেত্রে কথা হলো, কোনো নেক আমল যদি দুনয়াবি উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করা হয়,সেক্ষেত্রে সেই নেক আমলের ছওয়াব হয়না।

(০২)
হ্যাঁ, এমন আমল বেশি বেশি করা যাবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে আমল করা বজায় রেখে অহংকার থেকে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
আমল বাদ দিয়ে নয়।

(০৪)
এ জন্য নেককারদের সোহবতে থাকা জরুরী। 
তাই মাহরাম সহকারে মাস্তুরাত জামাতে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...