وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
অন্যের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
মহান তা'আলা ইরশাদ করেনঃ-
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)
,
শরীয়তের বিধান মতে ছুটির দিন গুলো কাজের দিনের হুকুমেই।
তাই সেই দিন গুলোর বেতন গ্রহন নাজায়েজ নয়।
তবে অসুস্থতা এবং এবং নিজ প্রয়োজনীয় ছুটির দিন গুলোর বেতনের বিষয় টি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়মের উপর নির্ভর করবে।
যদি উক্ত প্রতিষ্ঠানের এই জাতীয় কোনো নিয়ম না থাকে,তাহলে সমাজে,অন্যান্য জায়গায় এটা কিভাবে হয় বলে প্রসিদ্ধ আছে,সেই অনুযায়ী আমল হবে।
অন্যান্য জায়গায় যদি বেতন দেওয়া প্রসিদ্ধ হয়,তাহলে বেতন দিবে,অন্যথায় নয়।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়্যাহ ৬/৩৫১)
,
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 143908200686 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে মালিক যদি খুশি মনে ইহসান করে তাকে বেতন দেয়,তাহলে তা নেওয়া জায়েয আছে।
,
قال العلامۃ ابن نجیم المصریؒ: ومنھا البطالۃ فی المدارس کایّام الاعیاد ویوم عاشوراء وشھر رمضان فی درس الفقہ لم ارھا صریحۃ فی کلامہم والمسئلۃ فیہ علٰی وجہین فان کانت مشروطۃ لم یسقط من المعلوم شیٔ والاَّ فینغی ان یلحق ببطالۃ القاضی و قد احتذو فی اخذا القاضی مارتب من بیت المال فی یوم بطالتہ۔ (الاشباہ والنظائر:ص؍۹۵)
সারমর্মঃ এই দিন গুলোর বেতন যদি শর্ত যুক্ত হয়,তাহলে তাহা দিতে হবে।
قال العلامۃ ابن عابدینؒ: حیث البطالۃ فی یوم الثلاثاء والجمعۃ وفی رمضان والعیدین یحل الاخذ۔ وکذا لو بطل فی یوم غیر متعاد لتحریر درس الا اذا نص الواقف علی تقیید الدفع بالیوم یدرس فیہ۔ قال فی الفقیہ ابواللیث من یأخذ الاجر من طلبۃ العلم فی یوم لا درس فیہ ارجو ان یکون جائزًا۔ (ردّالمحتار:ج؍۳،ص؍۴۱۶، کتاب الوقف)
ومثلہٗ فی شرح المجلۃ لرستم بازؒ: المادۃ: ۴۹۵، ص؍۲۷۴، الفصل الرابع فی اجارۃ الآدمی)
(فتاویٰ حقانیہ :ج؍۶،ص؍۲۵۵)
সারমর্মঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেই দিন গুলোর ক্লাশ হয়না,আশা করা যায় যে সেই দিন গুলোর বেতন নেওয়া জায়েয হবে।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো প্রকারের চাপ ছাড়াই যদি তারা খুশি মনে পুরো টাকা দেয়,সেক্ষেত্রে তাহা গ্রহন করা আপনার জন্য জায়েজ আছে।
কাহারো ব্যপারে অনুমান করে কথা বলার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে তার ব্যপারে ভালো কিছু বলা হয়েছে? নাকি মন্দ কিছু বলা হয়েছে। যদি মন্দ কিছু বলা হয়,বা এমন কিছু বলা হয়,যাহা শুনলে সেই ব্যাক্তি কষ্ট পাবে,তাহলে এতে কবিরা গুনাহ হবে।
আর যদি তার ব্যপারে ভালো কিছু বলা হয়,প্রসংশা মূলক কিছু বলা হয়,যাহা শুনলে সেই ব্যাক্তি কষ্ট পাবেনা,বরং আরো আনন্দিত হবে,সেক্ষেত্রে কবিরা গুনাহ হবেনা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡہِ مَیۡتًا فَکَرِہۡتُمُوۡہُ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۲﴾
হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাক; কারণ কোন কোন অনুমান পাপ এবং তোমরা একে অন্যের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অন্যের গীবত করো না।তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা তো একে ঘৃণ্যই মনে কর। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় আল্লাহ্ তওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু।
(সুরা হুজুরাত ১২)