বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তথা সারা জীবনে এখন পর্যন্তও ছয় রা'কাতের বেশী নামায কাযা না হয়ে থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় আপনার উপর ছুটে যাওয়া ওয়াক্তের নামায কা'যা করা ওয়াজিব হবে।ছুটে যাওয়া নামাযকে আদায় না করলে বর্তমান নামাযই আদায় হবে না।
তবে যদি কারো ছয় ওয়াক্তের চেয়ে বেশী নামায কা'যা থাকে,তাহলে উনার উপর পূর্বের নামায প্রথমে পড়া ওয়াজিব নয়।তবে সময়-সুযোগ থাকলে অবশ্যই পড়ে নেয়া উত্তম হবে।
অর্থাৎ
বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করে, এবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।
যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবে?
এ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়, বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।
সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব।অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে। বিস্তারিত জানুন-
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তাহলে আপনি প্রথমে ফজর এবং ছুটে যাওয়া নামাযকে আদায় করবেন।যদি আসরের সময় সংকির্ণ থাকে,তার পরও আপনি প্রথমে ফজর ও ছুটে যাওয়া নামাযকে পড়বেন।তারপর আপনি ইশার নামায পড়তে পারবেন এবং ইশার নামাযের ইমামতিও করতে পারবেন।
যদি আপরি সাহেবে তারতীব না হন,তাহলে ইশার নামাযের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য ফজরের কা'যা আদায় জরুরী নয়।সময় সুযোগ থাকলে করে নেয়াটা অবশ্যই উত্তম।
(২)
যদি সাহেবে তারতীব হন,এবং জোহরের সময় ফজরের নামযের কা'যা আদায় করে নেন,তাহলে আপনি ইশার নামাযের ইমামতি করতে পারবেন।
আর সাহেবে তারতীত না হলে ফজর আদায় জরুরী নয়।
(৩)
যদি সে সাহেবে তারতীব হয়,তাহলে তার নামায ত্রুটিপূর্ণ থাকবে।এবং আপনার নামাযও।সুতরাং পূনরায় পড়তে হবে।
(৪)
আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তাহলে প্রথমে আপনাকে ছুটে যাওয়া নামায পড়তে হবে। নতুবা পড়া জরুরী নয়,তবে অবশ্যই উত্তম।এবং উমরী কা'যা পড়া অবশ্যই জরুরী ও উত্তম।
(৫)
জ্বী, পারবেন।