আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10,162 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (47 points)
closed by
আসসালামুয়ালাইকুম।

ইদানীং দেখা যায় অনেক মানুষ মারা যাওয়ার পর তার জীবিতকালীন ছবি মানুষ ফেসবুকে দিয়ে থাকে। অনেকে স্মৃতিচারণ করে দিয়ে থাকে। অনেকে সংবাদ জানানোর জন্য দিয়ে থাকে। অনেকে আবার মৃত্যুকে স্মরন করানোর জন্য এইটা করে থাকে। ফেসবুকে একটা গ্রুপ আছে Death Has No Age। ঐ গ্রুপেও অনেক ভাই মারা যাওয়ার পর তাদের জীবিতকালীন ছবি পোস্ট করা হয়ে থাকে। যদিও সেসব পোস্ট দেখে অনেকে হয়তো সচেতন হয়। মৃত্যু সম্পর্কে চিন্তা করে। অথবা অনেকে হয়তো নাম শুনে ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারেনা। এমন সময় ছবি দেখলে তাকে শনাক্ত করা অনেক সহজ হয়। এমন অবস্থায় শায়খের নিকট আমার ২ টি প্রশ্ন।
১. জীবিত থাকা কালীন তোলা কোন ছবি যদি মৃত্যুর পর ফেসবুকে পোস্ট করা হয় তাহলে মৃত ব্যক্তির কোন গুনাহ হবে কিনা?

২. যিনি ছবি পোস্ট করলেন তার কোন গুনাহ হবে কিনা?
closed

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ছবি সম্পর্কে হাদীস শরীফে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে,যেমনঃ- 
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী- ২২২৫)

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ছবি তুলা গোনাহ।চায় মুবাইল দ্বারা তুলা হোক বা হাতে অঙ্কিত ছবি হোক। সবগুলোই হারাম ও নাজায়েয। শুধুমাত্র শরয়ী প্রয়োজনে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছবির অনুমোদন রয়েছে।


ছবি কেউ বৈধ কোনো কারণে ছবি তুলে থাকে,এবং তার মৃত্যুর পর ভিন্ন কেউ ছবিকে ফেইসবুকে দিয়ে দেয়,তাহলে ঐ মৃত ব্যক্তির কোনো গোনাহ হবে না।অবশ্যই আপলোডকারীর গোনাহ হবে।তবে মৃত ব্যক্তির সম্মতি থাকলে উভয়ের গোনাহ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
 আসসালামুয়ালাইকুম, ছবি তোলা,আর ছবি আঁকা কি একই কাতারে পড়বে? পড়লে  স্সেসেফিক এই টপিকে বিস্তারিত বলে  সহিহ দলিল সম্পর্কে যদি জানান, উপকার হয়।
by (589,680 points)
জ্বী , ছবি তুলা,ছবি আকা,সবই এক জিনিষ।
by
ছবি আকা আর তুলা তো এক নয়
ছবি তুলা হলো image. One kind of reflection
যেমনটা আমরা আয়নায় দেখি বা পানিতে!

by (589,680 points)
যাইহোক , ফুকাহায়ে কেরাম সবগুলির একই হুকুম দিয়ে থাকেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...