বিসমিল্লা তা'আলা
জবাবঃ-
মু'মিন সবসময় পজিটিভ চিন্তা ভাবনা নিয়ে থাকবে।মু'মিন রহম দিল থাকবে।
দয়ালু অন্তর,দয়ালু চিন্তাভাবনা, দয়াপূর্ণ ব্যবহারকে আল্লাহ ভালবাসেন।
রাসূলুল্লাহ সাঃ শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাহাবায়ে কেরামদের মধ্যে যে দয়ালু মনোভাব এসেছিল,সেই গুণাগুণের প্রশংসা করে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻣُّﺤَﻤَّﺪٌ ﺭَّﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣَﻌَﻪُ ﺃَﺷِﺪَّﺍﺀ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻜُﻔَّﺎﺭِ ﺭُﺣَﻤَﺎﺀ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺗَﺮَﺍﻫُﻢْ ﺭُﻛَّﻌًﺎ ﺳُﺠَّﺪًﺍ ﻳَﺒْﺘَﻐُﻮﻥَ ﻓَﻀْﻠًﺎ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺭِﺿْﻮَﺍﻧًﺎ ﺳِﻴﻤَﺎﻫُﻢْ ﻓِﻲ ﻭُﺟُﻮﻫِﻬِﻢ ﻣِّﻦْ ﺃَﺛَﺮِ ﺍﻟﺴُّﺠُﻮﺩِ ﺫَﻟِﻚَ ﻣَﺜَﻠُﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺘَّﻮْﺭَﺍﺓِ ﻭَﻣَﺜَﻠُﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺈِﻧﺠِﻴﻞِ ﻛَﺰَﺭْﻉٍ ﺃَﺧْﺮَﺝَ ﺷَﻄْﺄَﻩُ ﻓَﺂﺯَﺭَﻩُ ﻓَﺎﺳْﺘَﻐْﻠَﻆَ ﻓَﺎﺳْﺘَﻮَﻯ ﻋَﻠَﻰ ﺳُﻮﻗِﻪِ ﻳُﻌْﺠِﺐُ ﺍﻟﺰُّﺭَّﺍﻉَ ﻟِﻴَﻐِﻴﻆَ ﺑِﻬِﻢُ ﺍﻟْﻜُﻔَّﺎﺭَ ﻭَﻋَﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤَﺎﺕِ ﻣِﻨْﻬُﻢ ﻣَّﻐْﻔِﺮَﺓً ﻭَﺃَﺟْﺮًﺍ ﻋَﻈِﻴﻤًﺎ
মুহাম্মদ আল্লাহর রসূল এবং তাঁর সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন। তাদের মুখমন্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন । তওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে-চাষীকে আনন্দে অভিভুত করে-যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।
(সূরা আল-ফাতহ-২৯)
তাই মু'মিন দের পরস্পর সম্পর্ক সহানুভূতিশীল হওয়া একান্তই কাম্য। বিশেষ স্বামী-স্ত্রী মধ্যকার সম্পর্ক শ্রদ্ধা ও দয়াপূর্ণ হওয়া অতীব জরুরী।
তাই তাদেরকে অবশ্যই রাগকে সংযত করে সংসার ও জীবন পরিচালনা করতে হবে।তবেই আল্লাহ তা'আলা তাদের-কে দুনিয়া ও অাখিরাতের সকল প্রকার কল্যাণ দান করবেন।
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
প্রশ্নে উল্লিখিত কথাবার্তা স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে বলা যদিও নাজায়েয নয়,তবে বেশ ভালো কিছুও নয়।
আল্লাহ আমাদের সবার অন্তরকে সংযমী করুক।
আমীন।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ