ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/87275/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
পশু-পাখির প্রতি নম্রতা প্রদর্শন ইবাদতের পর্যায়ভুক্ত। পশু-পাখিকে
কষ্ট দেয়া গুনাহের কাজ।
রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন
: “আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক বিষয়ে তোমাদের ওপর ‘ইহসান’ অত্যাবশ্যক করেছেন। অতএব তোমরা
যখন হত্যা করবে, দয়ার্দ্রতার সাথে হত্যা করবে; আর যখন যবেহ করবে তখন দয়ার সাথে যবেহ করবে। তোমাদের সবাই যেন ছুরি ধারালো করে
নেয় এবং তার যবেহকৃত জন্তুকে কষ্টে না ফেলে” (সহিহ মুসলিম : ১৯৫৫)।
পশু-পাখির সাথে যথাসম্ভব দয়াশীল আচরণ করতে হবে। এদের সঙ্গে যথেচ্ছ
ব্যবহার করা যাবে না। পশু-পাখির অঙ্গহানি করা নিষিদ্ধ।
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা: থেকে বর্ণিত, ‘রাসূলুল্লাহ সা: ওই ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছেন, যে প্রাণীদের অঙ্গচ্ছেদ করে’ (বুখারি, হাদিস নং : ৫৫১৫)।
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি
বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে
তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে
যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।
(সহীহ বুখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, আরো কয়েকদিন একটু
কষ্ট করেন। প্রয়োজনে খাবার রান্না করে আপাতত কিছুদিন এখানে না রাখলেন। অত:পর
কিছুদিন পর যখন ছোট বাচ্চগুলো একটু বড় হয়ে যাবে তখন বাসা ভেঙ্গে দিলেন যাতে অন্য কোথাও বাসা করে নিলো। কিন্তু এখন বাসা ভেঙ্গে দিলে ছোট বাচ্চাগুলো মারাও যেতে
পারে। যা করা কখনই ঠিক হবে না।