ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হস্তমৈথুনের দ্বারা বীর্যপাত হলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত রোযার কাযা আদায় করা আবশ্যক। তবে এজন্য উক্ত রোযার কাফফারা দিতে হবে না।
الصَّائِمُ إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى يَجِبُ عَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ كَذَا فِي التَّجْنِيسِ والولوالجية وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ (البحر الرائق، كتاب الصوم، باب ما يفسد الصوم وما لا يفسده-2/475،
الصَّائِمُ إذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ حَتَّى أَمْنَى فَعَلَيْهِ الْقَضَاءُ، وَهُوَ الْمُخْتَارُ وَبِهِ قَالَ عَامَّةُ الْمَشَايِخِ كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ. وَإِذَا عَالَجَ ذَكَرَهُ بِيَدِ امْرَأَتِهِ فَأَنْزَلَ فَسَدَ صَوْمُهُ كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
وَلَوْ جُومِعَتْ النَّائِمَةُ أَوْ الْمَجْنُونَةُ جُنُونًا عَارِضِيًّا بَعْدَ نِيَّتِهَا حَالَةَ الْإِفَاقَةِ يَفْسُدُ صَوْمُهَا عِنْدَ الثَّلَاثَةِ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
فَإِنْ عَمِلَتْ امْرَأَتَانِ بِالسِّحَاقِ إنْ أَنْزَلَتَا أَفْطَرَتَا، وَإِلَّا فَلَا كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ، وَلَا كَفَّارَةَ مَعَ الْإِنْزَالِ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 205)
(২)
তার জন্য ফরয হল,সে তাৎক্ষণিক হস্তমৈথুনকে ছেড়ে দিবে।এবং জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সে তাৎক্ষণিক বিয়ে করে নেবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4425
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
যদি পরিবার বিয়ের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে,তাহলে এক্ষেত্রে অভিভাবকের বিনাঅনুমতিতে বিয়ে করে নেবে।এমনকি তখন তাদের বিনা অনুমতিতেই বিয়ে করা জরুরী।
হস্তমৈথুনের বদ অভ্যাস থেকে পরিত্রাণের জন্য সর্বদা অন্যর সামনে বা জনসম্মুখ থাকবেন।কখনো একা থাকবেন না।নির্জনে সময় অতিবাহিত করবেন না।বিশেষকরে কোনো নেককার ব্যক্তির সংস্পর্শ গ্রহণ করবে।
(৩)
শত অনিচ্ছাসত্ত্বেও হয়ে গেলে যদি সে বিয়ের আপ্রাণ চেষ্টা করে, তাহলে হয়তো তাকে ক্ষমা করা হবে।
(৪)
জীবদ্দশায় নামাযের কাফফারা আদায় করা যায় না বরং তাকে কা'যা আদায় করতেই হবে।