بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/52485/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
প্রস্রাব-পায়খানা ও পবিত্রতা অর্জন করার সময় প্রস্রাব ও নাপাক
পানির ছিটা থেকে সতর্ক থাকা।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيه وسلم
بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَايُعَذَّبَانِ فِيْ
كَبِيْرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا
الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِيْ بِالنَّمِيْمَةِ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন
তখন তিনি বললেন: কবর দু’টিতে শায়িত ব্যক্তিদ্বয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে উভয়কে বড়
কোনো গুনাহ’র কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। তাদের একজন প্রস্রাব থেকে সম্পূর্ণরূপে
পবিত্রতা অর্জন করতো না। আর অপরজন চোগলখোরী করতো (একজনের কথা আরেক জনকে বলে পরস্পরের
মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিত)” সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২১৬
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে আছে:
البول المنتضح قدر رؤوس الإبر معفو للضرورة
মর্মার্থ: সুঁইয়ের মাথার মত প্রস্রাবের ছিটা শরীর ও কাপরে লাগার
দ্বারা উক্ত শরীর ও কাপড় নাপাক হয়ে যায় না। তবে যদ্দূর সম্ভব তা থেকে সতর্ক থাকা উচিৎ।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১০১
নাজাসাতে গালীযার হুকুম:
গালীজা নাপাক যেমন পেশাব যতটুকুই লাগুক না কেন; যেখানে নাপাক
লাগছে কাপড়ের উক্ত অংশটি নাপাক হয়ে যাবে।
তবে এর দ্বারা নামায পড়া শুদ্ধ হওয়ার জন্য মূলনীতি:
তরল নাপাকীর ক্ষেত্রে নাজাসাতে গলীযা যদি কাপড়ে বা শরীরে লাগে
এবং তা তরল হয় (যেমন,
প্রস্রাব) তাহলে সেক্ষেত্রে তা যদি দিরহামের আয়তন (অর্থাৎ হাতের তালুর গভীরতা সমপরিমাণ)
এর কম হয়
অথবা
নাপাকি শক্ত হলে যদি দিরহামের ওজন (বর্তমান মেট্রিক হিসাবে যা
৩.০১৬৮ গ্রাম)-এর চেয়ে কম হয় তাহলে তা না ধুয়ে নামায পড়লে নামায সহীহ হয়ে যাবে। তবে
এ পরিমাণ অল্প নাপাকিও ধুয়ে নেওয়া ভালো। তাই সাধারণ অবস্থায় এ পরিমাণ নাপাকি নিয়ে নামায
পড়া অনুত্তম।
আর যদি নাপাকি দিরহামের সমপরিমাণ হয় তাহলে তা ধুয়ে ফেলা ওয়াজিব।
এ অবস্থায় নামায পড়া মাকরূহ তাহরীমী। তাই কেউ এ অবস্থায় নামায পড়লে সে নামায পুনরায়
পড়ে নেওয়া ওয়াজিব হবে।
قال صلى الله عليه و سلم : تعاد الصلاة من قدر
الدرهم من الدم
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে র্বণতি, রাসূল সাঃ ইরশাদ
করছেনে-এক দরিহাম পরণিাম রক্তরে দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। সুনানে বায়হাকী ৩৮৯৬
হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরমিাণ-
নর্দিষ্টি করছেনে এক দরিহাম। আর আব্দুল্লাহ বনি ওমর রাঃ নির্ধারণ করছেনে নখ পরমিাণ।
উমদাতুল কারী-৩/১৪০
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রস্রাবের ছিটা কতটুকু কাপড়ে লেগেছে তা দেখতে হবে? যদি কাপড়ে
এক দিরহামের চেয়ে কম প্রস্রাব লাগে তাহলে
তা মাফ হবে। কারণ,
সুঁইয়ের মাথার মত প্রস্রাবের ছিটা শরীর
ও কাপড়ে লাগার দ্বারা উক্ত শরীর
ও কাপড় নাপাক হয়ে যায় না। তবে যদ্দূর সম্ভব তা থেকে সতর্ক থাকা উচিৎ। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১০১
সুঁইয়ের মাথা সমপরিমাণ প্রস্রাবের ফোটা যদি আপনার কাপড়ে
লাগে তাহলে তা না ধুয়ে নামায পড়লে নামায সহীহ হয়ে যাবে। এবং কুরআন
তেলাওয়াতেরও পূর্ণ সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ। তবে এ পরিমাণ অল্প নাপাকিও
ধুয়ে নেওয়া ভালো। তাই সাধারণ অবস্থায় এ পরিমাণ নাপাকি নিয়ে নামায পড়া অনুত্তম।
কিন্তু প্রস্রাবের
পরিমাণ এক দিরহাম সমপরিমাণ
বা তার চেয়ে বেশি লাগলে সেটি মাফ নয়।
সেই কাপড়ে নামাজ সহিহ হবেনা। অপবিত্র অবস্থায় যদি কোন ফরজ
বা ওয়াজিব নামাজ আদায় করে থাকেন তাহলে তা কাযা করতে হবে। সুন্নাতের কাযা করার প্রয়োজন
নেই। কিন্তু অপবিত্র
অবস্থায় কুরআন স্পর্শের জন্য আপনাকে কোনো প্রকার কাফফারা আদায় করতে হবে না। বরং এক্ষেত্রে ইস্তেগফার-ই আপনার জন্য যথেষ্ট হবে।