ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১৪) মাসআলাঃ
যদি কোন মেয়েলোক এক দিন বা দুই দিন ঋতুস্রাব দেখিয়া পনের দিন পাক থাকে এবং আবার এক দিন বা দুই দিন রক্ত দেখে, তবে সে যে পনের দিন পাক রহিয়াছে তাহা তো পবিত্রতারই সময়, আর এদিক-ওদিক যে কয়দিন রক্ত দেখিয়াছে, উহাও হায়েয নহে বরং ইস্তেহাযা।
(১৫) মাসআলাঃ
এক দিন, দুই দিন বা কয়েক দিন ঋতুস্রাব দেখা দিয়া যদি কয়েক দিন—পাঁচ দিন, সাত দিন বা দশ দিন, পনের দিনের কম রক্ত বন্ধ থাকিয়া আবার রক্ত দেখা দেয়, তবে মাঝের রক্তের বন্ধের দিনগুলিকে পাক ধরা যাইবে না, সে দিনগুলিকেও স্রাবেরই দিন ধরিতে হইবে। অতএব, যে কয় দিন হায়েযের নিয়ম ছিল, সেই কয় দিনকে হায়েয ধরিয়া বাকী দিনগুলিকে ইস্তেহাযা ধরিতে হইবে।
যেমন, একটি মেয়েলোকের নিয়ম ছিল, চাদের পহেলা, দোসরা এবং তিসরা এই তিন দিন তাহার হায়েয আসিত। তারপর একমাসে এমন হইল যে, পহেলা তারিখে স্রাব দেখা দিয়া চৌদ্দ দিন রক্ত বন্ধ থাকিল, ষোল তারিখে আবার রক্ত দেখা দিল, এইরূপ অবস্থা হইলে মনে করিতে হইবে যেন, ষোল দিনই রক্তস্রাব অনবরত জারী রহিয়াছে। এই ষোল দিনের মধ্য হইতে প্রথম তিন দিনকে হায়েয ধরিয়া বাকী তের দিনকে ইস্তেহাযা ধরিতে হইবে। (অতএব, প্রথম তারিখে রক্ত দেখা দিলে নামায পড়া বন্ধ করিতে হইবে। পরে যখন দুই এক দিন পর রক্ত বন্ধ হইল, তখন গোছল করিয়া নামায পড়া আরম্ভ করিতে হইবে এবং ঐ এক দুই দিনের নামায কাযা পড়িতে হইবে। পরে যখন আবার ষোল তারিখে রক্ত দেখা দিল এবং সাব্যস্ত হইয়া গেল যে, প্রথমের তিন দিন হায়েয ছিল, পরের তের দিন ইস্তেহাযা ছিল, তখন জানা গেল যে, প্রথম তিন দিন নামায মা'ফ ছিল, সেই কয় দিনের নামাযের কাযা পড়ার দরকার নাই। তার পরের নামাযগুলি যদি গোছল করিয়া পড়িয়া থাকে, তবে নামায হইয়া গিয়াছে। আর যদি গোছল না করিয়া থাকে, তবে সেই কয় দিনের নামায কাযা পড়িতে হইবে। পরে যখন ষোল তারিখে রক্ত দেখা দিয়াছে, তখন রক্ত দেখা সত্ত্বেও গোছল করিয়া নামায পড়িতে হইবে। কারণ উহা হায়েযের রক্ত নহে—ইস্তেহাযার রক্ত, এই মেয়েলোকটির যদি ৪/৫/৬ তারিখে (এই তিন দিন) হায়েয আসার নিয়ম ছিল, তবে ৪/৫/৬ এই তিন দিন তাহার হায়েযের মধ্যে গণ্য হইবে। (যদিও এই তিন দিন রক্ত না দেখা গিয়া থাকে) আর প্রথম তিন দিন এবং পরে ১০ দিন ইস্তেহাযা ধরিবে। আর যদি কোনো নিয়মই না থাকিয়া থাকে বরং প্রথম বারেই এইরূপ হইয়া থাকে, তবে প্রথম দশ দিনকে হায়েয এবং পরের ছয় দিনকে ইস্তেহাযা ধরা হইবে।