আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
closed by
আসসালামুয়ালাইকুম

আমার গ্যাসের প্রবলেম রয়েছে। ডাক্তার দেখানোর পরও খুব একটা উন্নতি হয়নি।

যখন নামাজ পড়তে যায় তখন খুব তাড়াতাড়ি আমার ওজু ছুটে যায়। এখন এটা পুরো ওয়াক্ত জুড়ে না হওয়ায় আমাকে কয়েকবার ওজু করতে হয় নামাজ টাইমলি পড়ে শেষ করার জন্য।
সমস্যাটা হচ্ছে যখন জামাতে নামাজ পড়ি তখন অনেক ক্ষেত্রে চাইলেও জামাত থেকে বের হয়ে ওজু করতে পারিনা লোকলজ্জার ভয়ে। প্রায়সময় হয় দেখে বের হওয়া আরো কষ্টকর হয়ে যায় জামাত থেকে।

আবার দু একবার জামাতে কষ্ট করে হলেও ওজু ধরে রেখে শেষ করতে পারি বলে জামাত ছাড়া পড়তেও মন চায় না।

আমি মানসিকভাবে খুবই অস্থিতিশীল অবস্থায় আছি। না পারছি জামাতে ছাড়তে। আবার না পারছি জামাতে নামাজ পড়তে।

আমাকে কিছু পরামর্শ দিন।
closed

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

https://ifatwa.info/7227/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

যখন সারা ওয়াক্ত ব্যাপী উযর দেখা দিবে, তখন আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।

 

কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,

شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-

শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)

 

সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে, বায়ু উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।

 

কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট। আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে, তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে। নামাযে যখনই ওজু চলে যাবে,তখন আবার ওজু করে নামাযকে পড়তে হবে।

মা'যুরের বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1746  

 

কিন্তু যদি উযর কখনো কমে আসে, সারা ওয়াক্ত ব্যাপী না থাকে, বরং কমপক্ষে এতটুকু সময় পাওয়া যায় যে, উক্ত ওয়াক্তের ফরয সুন্নত নামায পড়া যায়,তাহলে তখন ঐ ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবে না। সুতরাং তখন হুকম হলো, প্রয়োজন হলেও বারবার ওজু করে নামাযকে সম্পন্ন করবে।

সুতরাং, যখন আপনার এ রোগ কমে আসবে, তখন আপনি প্রয়োজনে বারংবার অজু করে ঐ নামাযকে সম্পন্ন করবেন। অজুকে ধরে রাখার কৌশল হিসেবে প্রয়োজনে চেয়ারে বসে নামায পড়তে পারেন।

 

(২) মা'যুর অবস্থায় এক অজু দ্বারা এক ওয়াক্তের ভিতর যত সম্ভব নামায পড়া যাবে এবং অন্যান্য ইবাদত যেমন কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদিও করা যাবে।

 

(৩) যদি কারো পূর্ব থেকেই অজু থাকে এবং পরবর্তীতে সন্দেহ হয় যে, অজু রয়েছে কি না? তাহলে এমতাবস্থায় অজু রয়েছে বলেই ধরে নেয়া হবে।তবে যদি কারো পূর্ব থেকে না থাকে এবং পরবর্তীতে সন্দেহ হয় যে, অজু করেছি কি না? তাহলে অজু নেই বলেই ধরে নেয়া হবে। কেননা ফিকহের উসূল হল, ইয়াকিন বিশ্বাস সন্দেহ দ্বারা দূরবিত হয় না।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ থাকবে যে, আপনি আরো বড় কোনো ডাক্তারকে দেখান। আশা করা যায় সুস্থ হয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশেও বড় কয়েকজন ডাক্তার আছেন যারা গ্যাসের খুব ভালো চিকিৎসা করে থাকেন এবং তারা ইসলামিক মাইন্ডের। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা নিতে থাকেন। এটা তেমন বড় কোনো রোগ না। দুআ করি আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থ করে দিন।

 

আপনি জামাতে নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন। তবে যদি এমন হয় যে, এক নামাজ পড়তে কয়েকবার অযু করা লাগে এবং জামাতে পড়লে এটা খুবই কষ্টকর হয় তাহলে আপনি চাইলে আপাতত একা একা নামাজ পড়তে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 146 views
0 votes
1 answer 157 views
...