আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in সালাত(Prayer) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
১/ রুকুতে গিয়ে রুকুর  তাসবীহ্ পড়ার পরে ভুলে 'সুবহানাল মালিকিল ক্বুদ্দুস ' বলে ফেললে নামাজটি হয়েছে কি?

২/ ফজরের সুন্নত স্বলাতের নিয়্যাতে দাঁড়াবার পরে স্পষ্ট স্বরে তাকবীর দেয়া হয়েছে কিন্তু তাকবীর দেবার সময়ে আবার সুন্নতের নিয়্যাতটা পুনরায় নতুন করে মনে আনা হয়নি, এরকম হলে নামাজ হবে কি?

৩/ ফজরের ফরজ স্বলাত আদায়ের পরে যদি মনে হয় ফজরের সুন্নতটা ঠিকমতো আদায় হয়নি, তখন ফরজ স্বলাতের পরে ফজরের সুন্নাতটা আবার আদায় করা যাবে? গুনাহ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
নামাযে যেকোনো ভুলের কারণে সেজদা সাহু ওয়াজিব হয়ে যায় না। বরং ভুলে নামাযের কোনো ওয়াজিব ছুটে গেলে কিংবা কোনো ফরয বা ওয়াজিব বিলম্বিত হলে ওয়াজিব হয়। আর যদি ভুলে কোনো ফরয ছুটে যায়, তবে সেজদা সাহু করা যথেষ্ট নয়, বরং পুনরায় নামায আদায় করতে হবে। আর কোনো সুন্নত বা মুস্তাহাব ছুটে গেলে সেজদা সাহু করার বিধান নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حدثنا عبد الله بن يوسف، أخبرنا مالك بن أنس، عن ابن شهاب، عن عبد الرحمن الأعرج، عن عبد الله بن بحينة رضي الله عنه، أنه قال: صلى لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ركعتين من بعض الصلوات، ثم قام فلم يجلس، فقام الناس معه، فلما قضى صلاته ونظرنا تسليمه كبر قبل التسليم، فسجد سجدتين وهو جالس، ثم سلم.

আবদুল্লাহ ইবনে বুহায়না রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নামায আমাদের দুই রাকাত পড়ান। তারপর না বসে দাঁড়িয়ে যান। মুকতাদীরাও তাঁর সাথে দাঁড়িয়ে যায়। যখন তিনি নামায পূর্ণ করলেন এবং আমরা তাঁর সালাম ফিরানোর অপেক্ষা করছিলাম তখন সালাম ফিরানোর আগে তাকবীর দিলেন এবং বসা অবস্থায় দুটি সেজদা করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন 
(সহীহ বুখারী, হাদীস ১২২৪ সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৭০)
,
নামাযের রু'কু এবং সেজদাতে তাসবীহ পাঠ সুন্নত।যদি কোনো কারণে কেউ তাসবীহ পাঠ করতে পারে না।তাহলে তার নামায ফাসিদ হবে না।তবে বিনা কারণে এমনটা করা মাকরুহ।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৪/৫৮)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
নামাজ হয়ে যাবে।
,
আরো জানুনঃ        
,
(০২)
নিয়ত মানে হল মনস্থির করা। কোন কাজটি করছি? কেন করছি? কার জন্য করছি? কি করছি? এসব বিষয় নির্ধারণ করার নাম হল নিয়ত।
,
কেহ যদি ঘর থেকে আছরের নামাজ আদায় করার জন্য বের হয়ে এসে সরাসরি তাকবিরে তাহরিমা বলে আছরের  নামাজ শুরু করে দেয়,পথিমধ্যে নিয়ত পরিবর্তন না করে,নামাজ সংশ্লিষ্ট কাজ ব্যাতিত দুনিয়াবি কোনো কাজ না করে,
নতুন করে আর নিয়ত না করে,তাহলে কোনো সমস্যা নেই। 
আগের নিয়তই যথেষ্ট।    

★সুতরাং  প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নতুন কতে নিয়তের প্রয়োজন নেই।
নামাজ হয়ে যাবে।
,  
নিয়ত সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
(০৩)
শরীয়তের বিধান হলো ফজরের  সুন্নত কোন কারণে পড়তে না পারলে তার কাযা আদায় করবে সুর্য উদিত হবার পর। আগে আদায় করা জায়েজ নয়। 
,
বিস্তারিত জানুনঃ 
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত সুন্নাত আর পড়তে হবেনা।
,
হ্যাঁ যদি আপনার ওয়াসওয়াসা বা ধারনায় নয়,বরং  শরীয়তের বিধান মতেই উক্ত সুন্নাত নামাজ যদি আপনার না হয়ে থাকে,ফাসেদ যদি হয়ে থাকে, তাহলে আপনি চাইলে সুর্য উদিত হবার পর তার কাজা আদায় করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...