আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
118 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
চায়ের দোকানে টিভি রেখে সিনেমা এবং অশ্লীল গান বাজায়। এছাড়া এতে উচ্চ শব্দের জন্য পাশের প্রতিবেশী অভিযোগ জানায়। এমন চায়ের দোকানের জন্য জায়গা ভাড়া দেওয়া জায়েজ হবে কিনা?

উত্তর দেওয়ার অনুরোধ করছি। জাজাকাল্লাহু খইরন।

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

وَمَنْ أَجَّرَ بَيْتًا لِيُتَّخَذَ فِيهِ بَيْتُ نَارٍ أَوْ كَنِيسَةٌ أَوْ بِيعَةٌ أَوْ يُبَاعُ فِيهِ الْخَمْرُ بِالسَّوَادِ فَلَا بَأْسَ بِهِ.
الهداية، 4: 94، المکتبة الاسلاميه
সারমর্মঃ-
কেহ যদি বাসা ভাড়া দেয়,যাতে তার মধ্যে আগুনের ঘর বানায়,অথবা গীর্জা ইত্যাদি বানায়,অথবা সেখানে মদ বিক্রয় করে,তাহলে ভাড়া দাতার গুনাহ নেই।

وإذا استأجر الذمی من المسلم دارًا یسکنہا فلا بأس بذلک، وإن شرب فیہا الخمر أو عبد فیہا الصلیب أو أدخل فیہا الخنازیر ولم یلحق المسلم فی ذلک بأس لأن المسلم لا یؤاجرہا لذلک إنما آجرہا للسکنی. کذا فی المحیط. اھ (ہندیہ: ۴/۴۵۰،ط: زکریا)
সারমর্মঃ-
যিম্মি যদি মুসলিম থেকে ঘর থাকার জন্য ভাড়া নেয়,তাহলে এতে কোনো গুনাহ নেই।
যদি সে উক্ত বাসায় মদ পান করে,,শুকর সেখানে প্রবেশ করায়,মুসলমানের এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
কেননা সে তো বসবাসের জন্য ভাড়া দিয়েছিলো।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত দোকানদারের দোকান ভাড়া নেয়ার মূল উদ্দেশ্য যেহেতু সেই দোকানে চা ও অন্যান্য পন্য বিক্রয় করা। অতঃপর দোকান ভাড়া নেয়ার পর তার কার্যক্রমের মধ্যে কিছু হারাম কাজ প্রবেশ করে,সেক্ষেত্রে মালিকের গুনাহ হবেনা।

বরং গুনাহ এক্ষেত্রে সেই দোকানদারেরই গুনাহ হবে।

এই ছুরতে দোকান হতে প্রাপ্ত ভাড়া হালাল হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দোকান মালিকের নিকট পরামর্শ থাকবে,দোকানদারের নিকট গিয়ে এসব অভিযোগ করা,ও সংশোধন এর চেষ্টা করা।
বুঝানোর পরেও তার এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে সেক্ষেত্রে তার সাথে ভাড়ার চুক্তি বাতিল করে অন্য কাউকে ভাড়া দেয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...