জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইহ-পরকালীন সকল বিষয়ে ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার হুকুম প্রদান করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اسْتَعِينُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللهَ مَعَ الصَّابِرِيْنَ،
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন’ (বাক্বারাহ ২/১৫৩)।
অনুরূপ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-কে আদেশ করেন, ‘জেনে রেখো অবশ্যই সাহায্য ধৈর্যের সাথে রয়েছে’।
ইসতিক্বামাত তথা দ্বীনের উপর অটল থাকার ব্যাপারে ধৈর্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে। ছাহাবায়ে কেরাম যে ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে দ্বীনের উপর অটল থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন, তার বড় কারণ ছিল ধৈর্য।
মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ،
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ কর। পরস্পরে দৃঢ় থাক এবং সদা প্রস্ত্তত থাক। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হ’তে পার’ (আলে ইমরান ৩/২০০)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা আসলে নিরাশ না হয়ে আপনি ধৈর্য ধারন করবেন, বেশি বেশি ছালাতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করবেন।
কখনোও হতাশ হওয়া যাবেনা,হয়তোবা এ ধরনের পরীক্ষার অসিলায় আখেরাতে আল্লাহ তায়ালা আপনার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন,অন্য কোনো নিয়ামত প্রদান করবেন,অথবা বড় ককো বিপদ থেকে মুক্তি দিবেন।
সুতরাং হতাশ হওয়া যাবেনা।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহান আল্লাহর শানে এহেন কথা বলার দরুন আল্লাহর কাছে খালেস দিলে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবেন।