আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
197 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি একজন শিক্ষার্থী। আমার পরিক্ষায় সব সময় অন্যদের তুলনায় কঠিন হয়।আমাকে এক জন বলে আল্লাহ তার বান্দাদের উপর পরিক্ষা নেয়।আর যে আল্লাহকে বেশি ডাকে আল্লাহ তার রাস্তা সোজা ক্রে দেয়।জবাবে আমি বলি...আল্লাহকে যারা বেশি ডাকে তাদের রাস্তা সোজা,আবার যারা কম ডাকে তাদেরকে আল্লাহ পৃথিবিতে দেওয়ার জন্য রাস্তা সোজা....আর আমরা যারা নরমাল 5 ওয়াক্ত নামাজ আর একটু কোরান পড়ি তাদের রাস্তা এতো কঠিন।আমি এখানে আল্লাহর প্রতি আমার মনের অসন্তোষ প্রকাশ করি এবং এতে আমার ভয় লাগে।এখনে আমার কি অনেক বড় গুনাহ হয়েছে? এবং আমি কিভাবে ক্ষমা চাইব।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইহ-পরকালীন সকল বিষয়ে ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার হুকুম প্রদান করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اسْتَعِينُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللهَ مَعَ الصَّابِرِيْنَ، 
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন’ (বাক্বারাহ ২/১৫৩)। 

অনুরূপ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-কে আদেশ করেন, ‘জেনে রেখো অবশ্যই সাহায্য ধৈর্যের সাথে রয়েছে’।

ইসতিক্বামাত তথা দ্বীনের উপর অটল থাকার ব্যাপারে ধৈর্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে। ছাহাবায়ে কেরাম যে ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে দ্বীনের উপর অটল থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন, তার বড় কারণ ছিল ধৈর্য।

মহান আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، 

‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ কর। পরস্পরে দৃঢ় থাক এবং সদা প্রস্ত্তত থাক। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হ’তে পার’ (আলে ইমরান ৩/২০০)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা আসলে নিরাশ না হয়ে আপনি ধৈর্য ধারন করবেন, বেশি বেশি ছালাতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করবেন।

কখনোও হতাশ হওয়া যাবেনা,হয়তোবা এ ধরনের পরীক্ষার অসিলায় আখেরাতে আল্লাহ তায়ালা আপনার মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন,অন্য কোনো নিয়ামত প্রদান করবেন,অথবা বড় ককো বিপদ থেকে মুক্তি দিবেন। 

সুতরাং হতাশ হওয়া যাবেনা।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহান আল্লাহর শানে এহেন কথা বলার দরুন আল্লাহর কাছে খালেস দিলে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...