আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি ৬ সপ্তাহের গর্ভবতী। ৩ দিন হলো অল্প করে বাদামী স্রাব যাচ্ছে। বাদামী স্রাব মানেই গর্ভপাত নয়। এই বাচ্চা থাকতেও পারে।  অনেকেরই থাকে৷ ডাক্তারের মাধ্যমে গর্ভপাত নিশ্চিত করার জন্য আরো ২-৩ সপ্তাহ সময় দরকার। কারণ, রেগুলার মাসিকের মত রক্তপ্রবাহ শুরু না হওয়া পর্যন্ত অথবা আলট্রাসাউন্ডে হার্টবিটের অনুপস্থিতি সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তো আমি গর্ভবতীই। গর্ভপাত আদৌ হবে কিনা তা জানা নেই।
এমতাবস্থায় নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত করা যাবে কিনা? গর্ভপাত যদি না-ই হয়, তাহলে প্রেগ্ন্যাসি অবস্থায় যে বাদামী স্রাব আসে তা কি হায়েজের অন্তর্ভুক্ত হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (564,660 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/1570/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১

যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।
ঐ সময়ে নামায রোযা আদায় করবেনা।

আর যদি চার মাসের আগেই গর্ভপাত হয়, তাহলে তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন অতিবাহিত হলে হায়েজ ধরে নামাজ রোযা আদায় করবেনা।
যদি তিন দিনের কম হয়,বা দশদিনের বেশিহয়,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এক্ষেত্রে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ

নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) .... উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ চল্লিশ দিন সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। চেহার ফ্যাকাশে হয়ে কৃষ্ণাভ হয়ে যেত বলে আমরা তখন চেহারায় হলুদ বর্ণের ওয়ারস পত্রের প্রলেপ ব্যবহার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
তিরমিজি ১৩৯)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো গর্ভপাত যদি না-ই হয়, তাহলে এ অবস্থায় যে বাদামী স্রাব আসে তা হায়েজের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
এটি ইস্তেহাজার অন্তর্ভুক্ত হবে।

এমতাবস্থায় নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত চালিয়ে যেতে হবে।

আর যদি ডাক্তারি পরিক্ষার পর প্রমাণিত হয় যে গর্ভপাত হয়েছে,তাহলে এটি হায়েজ।
সুতরাং এমতাবস্থায় নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত বন্ধ রাখতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ডাক্তারের মাধ্যমে গর্ভপাত নিশ্চিত করার জন্য যেহেতু আরো ২-৩ সপ্তাহ সময় দরকার,সুতরাং এ স্রাব চলাকালীন সময় সতর্কতামূলক (সর্বনিম্ন ১০ দিন) হায়েজ ধরে আপনি নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত বন্ধ রাখবেন।

পরবর্তীতে যদি প্রমাণিত হয় যে গর্ভপাত হয়েছে,সেক্ষেত্রে এইদিনগুলি তো আসলেই হায়েজ ছিলো,তাই উক্ত দিন গুলির নামাজের ব্যাপারে সমস্যা নেই।
কাজা আদায় করতে হবেনা।

আর যদি পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে গর্ভপাত হয়নি,তাহলেই এ কয়দিনের নামাজের কাজা আদায় করে নিবেন।

এক্ষেত্রে এই নামাজ গুলি কাজা করার গুনাহ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 148 views
0 votes
1 answer 130 views
...