যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।
ঐ সময়ে নামায রোযা আদায় করবেনা।
আর যদি চার মাসের আগেই গর্ভপাত হয়, তাহলে তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন অতিবাহিত হলে হায়েজ ধরে নামাজ রোযা আদায় করবেনা।
যদি তিন দিনের কম হয়,বা দশদিনের বেশিহয়,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এক্ষেত্রে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ
নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) .... উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ চল্লিশ দিন সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। চেহার ফ্যাকাশে হয়ে কৃষ্ণাভ হয়ে যেত বলে আমরা তখন চেহারায় হলুদ বর্ণের ওয়ারস পত্রের প্রলেপ ব্যবহার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
তিরমিজি ১৩৯)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে মূল বিষয় হলো গর্ভপাত যদি না-ই হয়, তাহলে এ অবস্থায় যে বাদামী স্রাব আসে তা হায়েজের অন্তর্ভুক্ত হবেনা।
এটি ইস্তেহাজার অন্তর্ভুক্ত হবে।
এমতাবস্থায় নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত চালিয়ে যেতে হবে।
আর যদি ডাক্তারি পরিক্ষার পর প্রমাণিত হয় যে গর্ভপাত হয়েছে,তাহলে এটি হায়েজ।
সুতরাং এমতাবস্থায় নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত বন্ধ রাখতে হবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে ডাক্তারের মাধ্যমে গর্ভপাত নিশ্চিত করার জন্য যেহেতু আরো ২-৩ সপ্তাহ সময় দরকার,সুতরাং এ স্রাব চলাকালীন সময় সতর্কতামূলক (সর্বনিম্ন ১০ দিন) হায়েজ ধরে আপনি নামাজ, রোজা, তিলাওয়াত বন্ধ রাখবেন।
পরবর্তীতে যদি প্রমাণিত হয় যে গর্ভপাত হয়েছে,সেক্ষেত্রে এইদিনগুলি তো আসলেই হায়েজ ছিলো,তাই উক্ত দিন গুলির নামাজের ব্যাপারে সমস্যা নেই।
কাজা আদায় করতে হবেনা।
আর যদি পরবর্তীতে প্রমাণিত হয় যে গর্ভপাত হয়নি,তাহলেই এ কয়দিনের নামাজের কাজা আদায় করে নিবেন।
এক্ষেত্রে এই নামাজ গুলি কাজা করার গুনাহ আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন।