জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﺨْﻀَﻌْﻦَ ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻓَﻴَﻄْﻤَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣَﺮَﺽٌ ﻭَﻗُﻠْﻦَ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻣَّﻌْﺮُﻭﻓًﺎ
(তরজমা) তোমরা (পর পুরুষের সাথে) বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন কর না। যাতে এরূপ লোকের অন্তরে আকাঙ্ক্ষা (সঞ্চার) হয়, যার অন্তরে কুপ্রবৃত্তি রয়েছে। (সূরা আহযাব : ৩২)
নারীদের তেলাওয়াত পর-পুরুষের জন্য শ্রবণ করা জায়েয নয়।(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/২০০)
মহিলারা সব নামাজেই এতটুকু আওয়াজে কিরাআত পড়বে,যাতে আওয়াজ নিজ কান পর্যন্ত পৌছতে পারে।
,
মহিলারা সব নামাজেই আস্তে কেরাত পড়বে।
তারা জন্য জোড়ে আওয়াজে কিরাআত পড়া নিষেধ।
কেহ যদি পড়ে,আর তার আওয়াজ গায়রে মাহরাম পুরুষ পর্যন্ত পৌছে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
তবে তারা নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
কোনো সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৫০৪)
,
বিস্তারিত জানুনঃ-
ইমাম সাহেব যদি জাহরী (উচ্চস্বরে কেরাত বিশিষ্ট) নামাযে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ আস্তে পড়েন তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। অনুরূপভাবে সিররী ( নিন্মস্বরে কেরাত বিশিষ্ট) নামাযে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ কেরাত যদি এতটা উঁচু আওয়াজে পড়েন যে, পিছনে দাঁড়ানো লোকজনও শুনতে পায় তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(রদ্দুল মুহতার ১/৫৩৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ হবে।
যদি পুরো আয়াত অনিচ্ছাকৃত জোড়ে পড়তেন, তা যদি কেও না শুনতো, তাহলেও নামায হতো।
এখন লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো,যদি জোহর আছর বা দিনের বেলাত কোনো সুন্নাত/নফল নামাজের কিরাআতে এভাবে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করেন,সেক্ষেত্রে এর পরিমান বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ হলে নামাজের শেষে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
(০২)
এক্ষেত্রে যদি জোহর আছর বা দিনের বেলাত কোনো সুন্নাত/নফল নামাজের কিরাআতে এভাবে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করেন,সেক্ষেত্রে এর পরিমান বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ হলে নামাজের শেষে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
অন্যথায় সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
তবে গায়রে মাহরাম তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পারলে অবশ্যই আপনার গুনাহ হবে।