আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
Assalamualaikum wa rohmatullohi wa barokatuh
১.অনিচ্ছাকৃতভাবে উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করলে নামায হবে?সূরা ফাতিহা পড়ার সময় একটা আয়াতে র উচ্চারণ যখন করছিলাম তখন একটু জোড়ে হয়েছিল আমি একলাই নামায পড়ছিলাম এতে নামায হবে? আমি যদি পুরো আয়াত অনিচ্ছাকৃত জোড়ে পড়তাম তা যদি কেও না শুনতো তাহলে নামায হতো?

২.ইচ্ছাকৃত উচ্চস্বরেপড়লে নামায হবে?নাকি সাহু সিজদা দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে,আল্লাহ তা'আলা বলেন,

ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀ ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ ﻓَﻠَﺎ ﺗَﺨْﻀَﻌْﻦَ ﺑِﺎﻟْﻘَﻮْﻝِ ﻓَﻴَﻄْﻤَﻊَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻪِ ﻣَﺮَﺽٌ ﻭَﻗُﻠْﻦَ ﻗَﻮْﻟًﺎ ﻣَّﻌْﺮُﻭﻓًﺎ

(তরজমা) তোমরা (পর পুরুষের সাথে) বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন কর না। যাতে এরূপ লোকের অন্তরে আকাঙ্ক্ষা (সঞ্চার) হয়, যার অন্তরে কুপ্রবৃত্তি রয়েছে। (সূরা আহযাব : ৩২)

নারীদের তেলাওয়াত পর-পুরুষের জন্য শ্রবণ করা জায়েয নয়।(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/২০০)

মহিলারা সব নামাজেই এতটুকু আওয়াজে কিরাআত পড়বে,যাতে আওয়াজ নিজ কান পর্যন্ত পৌছতে পারে।
,
মহিলারা সব নামাজেই আস্তে কেরাত পড়বে।
তারা জন্য জোড়ে আওয়াজে কিরাআত পড়া নিষেধ।
কেহ যদি পড়ে,আর তার আওয়াজ গায়রে মাহরাম পুরুষ পর্যন্ত পৌছে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
তবে তারা নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
কোনো সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/৫০৪)
,
বিস্তারিত জানুনঃ- 

ইমাম সাহেব যদি জাহরী (উচ্চস্বরে কেরাত বিশিষ্ট) নামাযে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ আস্তে পড়েন তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে। অনুরূপভাবে সিররী ( নিন্মস্বরে কেরাত বিশিষ্ট) নামাযে বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ কেরাত যদি এতটা উঁচু আওয়াজে পড়েন যে, পিছনে দাঁড়ানো লোকজনও শুনতে পায় তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
(রদ্দুল মুহতার ১/৫৩৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নামাজ হবে।

যদি পুরো আয়াত অনিচ্ছাকৃত জোড়ে পড়তেন, তা যদি কেও না শুনতো, তাহলেও নামায হতো।

এখন লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো,যদি জোহর আছর বা দিনের বেলাত কোনো সুন্নাত/নফল নামাজের কিরাআতে এভাবে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করেন,সেক্ষেত্রে এর পরিমান বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ হলে নামাজের শেষে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।

(০২)
এক্ষেত্রে যদি জোহর আছর বা দিনের বেলাত কোনো সুন্নাত/নফল নামাজের কিরাআতে এভাবে উচ্চস্বরে কিরাআত পাঠ করেন,সেক্ষেত্রে এর পরিমান বড় এক আয়াত বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ হলে নামাজের শেষে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।

অন্যথায় সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।
তবে গায়রে মাহরাম তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পারলে অবশ্যই আপনার গুনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...