আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
১.আসসালামু আলাইকুম শায়েখ ছেলে পক্ষ মেয়ে দেখতে এসে ছেলে যে বিয়ে করবে সে সাবালক দুজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুজন নারী বা অনেক নারী পুরুষের সামনে যদি বলে মেয়ে পচ্ছন্দ করলাম বা হইছে বা মেয়ে দেখে পচ্ছন্দ হইছে বা করলাম মেয়েও ছেলে দেখে বলে পচ্ছন্দ হইছে বা করলাম বা সম্মতি সূচক কোন কিছু বা ছবি দেখে পচ্ছন্দ হইছিল বা করছিল তাই মুখে কিছু না বলে চুপ থাকে এবং  পরবর্তীতে কথা না আগায়। তাহলে একে অপরকে মানুষের সামনে পচ্ছন্দ হইছে বা করলাম বললে কি বিয়ে বা ইজাব কবুল হয় লোকজন শুনতে পেলেও?

২. মেয়ে তার মাকে জিঙেস করতে বলে ছেলের বাবাকে যে মেয়ে দেখে পচ্ছন্দ হইছে কি না। মেয়ের মা ছেলের বাবাকে জিজ্ঞেস করছে মেয়ে দেখে পচ্ছন্দ হইছে কি না। ছেলের বাবা শুধু বলছে আল্লাহর সৃষ্টি সবাই সুন্দর পরে কথা বলি।  মেয়ের মা কোনও উত্তর দিতে পারে নাই মানে কোনও শব্দ বা কিছু ই বলে নাই। এতে কি বিয়ে বা ইজাব কবুল হয় না?
৩. এখন মেয়ের মা যদি ছেলের বাবার উপরোক্ত কথায়  কোনও সম্মতিসূচক  শব্দ বললে বা ওআচ্ছা এমন কিছু বললে লোকজন মানে শরীয়ত সম্মত  সাক্ষী থাকলে এবং শুনলেও কি ইজাব কবুল হয়?

৪.মেয়ে জিজ্ঞেস না করলে ছেলে নিজ থেকে বললো মেয়ে দেখে পচ্ছন্দ হইছে বা করলাম  মেয়ে মনে মনে রাজি মুখে কিছু বললো না। ছেলের কথা শরীয়ত সম্মত সাক্ষী রা শুনলো এতেও কি ইজাব কবুল বা বিয়ে হয়?

৫. মেয়ে জিজ্ঞেস করলো যে তাকে পছন্দ হইছে কি না। ছেলে বললো হ্যা পচ্ছন্দ হইছে বা করলাম । মেয়ে মনে রাজি মুখে কিছু বললো না। শরীয়ত সম্মত সাক্ষী রা শুনলো এতেও কি ইজাব কবুল বা বিয়ে হয়?
by (11 points)
এটা তো নিয়তের উপর ডিপেন্ড করবে, তারা তো মেয়ে দেখতে এসে জাস্ট বলছে যে বিয়ে পছন্দ হয়েছে, বিয়ের নিয়তে কিন্তু বা কবুল বলার নিয়তে কিন্তু ছেলে বা মেয়ে দুজনেই পছন্দ হয়েছে এমন টা বলে নাই, এটা জাস্ট পাত্রী দেখতে এসে লাইক হয়েছে এইটুকুই
by
আমি আসলে শায়েখের কাছ থেকে কমেন্টের উত্তর চাচ্ছিলাম। অন্য কেউ কমেন্ট করুক তা চাই না।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।

★বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
(১-৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই ইজাব কবুল বা বিয়ে হয়নি।

ইজাব কবুল সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
edited by
,.........mmm


আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...