বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/26170/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
গোসলের ফরয ।
(১) মুখ ধৌত করা।
(২) নাক ধৌত করা।
(৩) সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই। কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী
সবগুলাই ঢুকে গেছে। কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা
করা হয়।
(৪) খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের
চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়, তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫) নাভি ধৌত করা।
(৬) শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো,
যা বুঁজে যায়নি।
(৭) পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো,
এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই। তবে মহিলার চুলের
গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো
ফরয নয়।
(৮) দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯) গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০) ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১) যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।
★ফরজ গোসলের নিয়ম:
১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়্যাত করতে হবে।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধুতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার
আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও
ধুতে হবে।
৪. এবার বাম হাতকে ভালো করে ধুইয়ে ফেলতে হবে।
৫. এবার ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে।
৬. ওজু শেষে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার
বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন
শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। নাভি, বগল ও অন্যান্য
কুঁচকানো জায়গায় পানি দিয়ে ধুতে হবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে
ধুতে হবে।
মনে রাখতে হবে:
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে
হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু গোসলের তিন ফরজ আদায়
করেছেন তাই আপনার ফরজ গোসল আদায় হয়ে গিয়েছে। আর একটি মাসআলা হলো এভাবে গোসল করলে
সাথে সাথে অযুও হয়ে যায় অর্থাৎ গোসলের পর আর নতুন করে অযু করা লাগে না। তবে যেহেতু
আপনার গোসল করার সময় প্রস্রাব বের হয়েছে তাই অযু ভেঙ্গে গেছে। অর্থাৎ গোসল করার পর
নামাজ পড়তে চাইলে আপনাকে আবার নতুন করে অযু করতে হবে।