আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
601 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (11 points)
edited by

কোন মুসলিম ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াতে যদি  নকল আইডি ব্যবহার করে এবং অন্য কোন ব্যাক্তির কাছে নিজের পরিচয় ‍দিতে যেয়ে নিজেকে অন্য ধর্মের মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয় তখন কি সেই ব্যাক্তি মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যাবে? যদিও উক্ত কথাটি তিনি নিজের পরিচয় সম্পর্কে মিথ্যা বলার উদ্দেশ্যেই বলেছিলেন এবং উক্ত কথাটি বালার  সময়ও তিনি  ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ধর্মকে বাতিল ও মিথ্যা ধর্ম হিসেবে জানতেন ও মানতেন , অন্য ধর্মের প্রতি তার কোন বিশ্বাস ও ভালোলাগা কথনোই ছিল না এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি তার পূর্ণ  বিশ্বাস ছিল ও সব সময়ই আছে । তারপরও কী তিনি মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যাবে ? উক্ত ঘটনার পর থেকে পুনরায় কালেমা পড়া ও আল্লাহ্ তালাার নিকট তওবা করার আগ পর্যন্ত তার ইবাদত গুলো কী সব নষ্ট হয়ে যাবে? পুনরায় কালেমা পড়া ও তওবা করার পূর্বে যদি তিনি কোন চাকুরির সাথে যুক্ত হন এবং আরও আনেক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর আবেদন করে থাকেন তাহলে সেগুলো কী তার জন্য হারাম হয়ে যাবে????

1 Answer

0 votes
by (573,570 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী। 

সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)

“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়, যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হয়ে গিয়েছে।   
 প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে নতুন ভাবে ঈমান আনতে হবে,বিবাহিত হলে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী তে আছে
"وَمَنْ يَرْضَى بِكُفْرِ نَفْسِهِ فَقَدْ كَفَرَ."
(كتاب السير، الْبَابُ التَّاسِعُ فِي أَحْكَامِ الْمُرْتَدِّين ، مطلب فِي مُوجِبَاتُ الْكُفْرِ أَنْوَاعٌ مِنْهَا مَا يَتَعَلَّقُ بِالْإِيمَانِ وَالْإِسْلَامِ، ٢ / ٢٥٧، ط: دار الفكر)
"এবং যে কুফরীতে সন্তুষ্ট থাকে, সে কাফের হয়ে গেছে
,
অন্যত্রে এসেছে
"رجل كفر بلسانه طائعا، وقلبه مطمئن بالإيمان يكون كافرا ولا يكون عند الله مؤمنا كذا في فتاوى قاضي خان."
(كتاب السير، الباب التاسع في أحكام المرتدين، مطلب في موجبات الكفر أنواع منها ما يتعلق بالإيمان والإسلام، ج: 2، صفحہ: 283، ط: دارالفکر)
সারমর্মঃ  কেহ যদি যবান দ্বারা (জবরদস্তি ছাড়াই) কুফরী বলে,এবং তার কলব ঈমানের উপর অটল থাকে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
.
الفتاوى الهندية (2/ 279):
"مسلم قال: أنا ملحد يكفر، ولو قال: ما علمت أنه كفر لايعذر بهذا ... وفي اليتيمة: سألت والدي عن رجل قال: أنا فرعون، أو إبليس فحينئذ يكفر، كذا في التتارخانية". 
সারমর্মঃ  কেহ যদি বলে আমি নাস্তিক,,, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।   
,
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144111200113 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছে 
"وفي الفتح: من هزل بلفظ كفر ارتد وإن لم يعتقده للاستخفاف فهو ككفر العناد. (قوله: من هزل بلفظ كفر) أي تكلم به باختياره غير قاصد معناه، وهذا لاينافي ما مر من أن الإيمان هو التصديق فقط أو مع الإقرار لأن التصديق، وإن كان موجوداً حقيقةً لكنه زائل حكماً؛ لأن الشارع جعل بعض المعاصي أمارة على عدم وجوده كالهزل المذكور، وكما لو سجد لصنم أو وضع مصحفاً في قاذورة فإنه يكفر، وإن كان مصدقاً لأن ذلك في حكم التكذيب، كما أفاده في شرح العقائد، وأشار إلى ذلك بقوله: للاستخفاف، فإن فعل ذلك استخفافاً واستهانةً بالدين فهو أمارة عدم التصديق، ولذا قال في المسايرة: وبالجملة فقد ضم إلى التصديق بالقلب، أو بالقلب واللسان في تحقيق الإيمان أمور الإخلال بها إخلال بالإيمان اتفاقا، كترك السجود لصنم، وقتل نبي والاستخفاف به، وبالمصحف والكعبة.
وكذا مخالفة أو إنكار ما أجمع عليه بعد العلم به لأن ذلك دليل على أن التصديق مفقود، ثم حقق أن عدم الإخلال بهذه الأمور أحد أجزاء مفهوم الإيمان فهو حينئذ التصديق والإقرار وعدم الإخلال بما ذكر بدليل أن بعض هذه الأمور، تكون مع تحقق التصديق والإقرار، ثم قال ولاعتبار التعظيم المنافي للاستخفاف كفر الحنفية بألفاظ كثيرة، وأفعال تصدر من المنتهكين لدلالتها على الاستخفاف بالدين كالصلاة بلا وضوء عمدا بل بالمواظبة على ترك سنة استخفافا بها بسبب أنه فعلها النبي صلى الله عليه وسلم زيادة أو استقباحها كمن استقبح من آخر جعل بعض العمامة تحت حلقه أو إحفاء شاربه اهـ. قلت: ويظهر من هذا أن ما كان دليل الاستخفاف يكفر به، وإن لم يقصد الاستخفاف لأنه لو توقف على قصده لما احتاج إلى زيادة عدم الإخلال بما مر لأن قصد الاستخفاف مناف للتصديق (قوله: فهو ككفر العناد) أي ككفر من صدق بقلبه وامتنع عن الإقرار بالشهادتين عنادا ومخالفة فإنه أمارة عدم التصديق."
(کتاب الجہاد، باب المرتد، ج: 4، صفحہ: 222، ط: ایچ، ایم، سعید)
সারমর্মঃ কেহ যদি ঠাট্রা করেই হোক,বা জেনে শুনেই হোক,কুফরি শব্দ বলে ফেলে,যদিও তার কলবে ঈমান থাকুক,সে কাফের হয়ে যাবে।  
,
মুরতাদের পুনরায় ঈমান আনা সংক্রান্ত জানুনঃ

কেহ মুরতাদ হলে পূর্বের কাজা নামাজ থেকে থাকলে সেগুলোও আদায় করে নিতে হবে।

قال في الدر ویقضي ما ترک من عبادة في الإسلام لأن ترک الصلاة والصیام معیصة والمعصیة تبقی بعد الردة․(ج:۳، ص:۳۳۱)

যার সারমর্ম হলো মুসলিম থাকাকালীন  গুনাহ মুরতাদ হওয়ার পরেও বাকি থাকে।    
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির পুনরায় ইসলাম গ্রহন করতে হবে।
ইতিপূর্বের (উক্ত পরিচয় দেওয়ার পর থেকে নিয়ে)  ইসলাম গ্রহনের আগ পর্যন্ত যাবতীয় নামাজ কাজা আদায় করতে হবে।
,
তিনি বিবাহিত হলে তাকে আবার পড়িয়ে নিতে হবে।
,
 প্রশ্নে উল্লেখিত উক্ত চাকুরি ও উক্ত চাকুরির আবেদনপত্রগুলোর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। 
উক্ত চাকরি তার জন্য হারাম হবেনা।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
উক্ত ব্যাক্তি কালেমা  শাহাদাত পড়ে ঈমান এনে তওবা করার পর কি সবাইকে মৌখিকভাবে যানাতে হবে যে তিনি পুনরায় মুসলিম হয়েছেন?? উল্লেখ্য তিনি যে নিজের ধর্ম নিয়ে মিথ্যা পরিচয় দিয়েছিলেন এটি তিনি ছারা যাকে মিথ্যা বলেছেন সেই ব্যক্তিই শুধু জানতেন , তিনি  যেহেতু নামাজ রোজা  পরেন ও রাখেন  বাকি  সবাইতো তাকে মুসলিম হিসেবেই জানেন এখন কি সবাইকে মৌখিকভাবে যানাতে হবে যে তিনি পুনরায় মুসলিম হয়েছেন????? নিজের ধর্মীও পরিচয়কে নিয়ে বলা মিথ্যাটি তিনি যদি মিথ্যা কথা বলতেই বা ধোঁকা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই  বলে থাকেন তাও  কি তিনি কাফের হয়ে যাবেন??????
by (11 points)
edited by
খেয়াল করে দেখলাম উপরে  আমার করা প্রশ্নটি বিকৃত হয়ে গিয়েছে । উত্তরদাতা কি আমার প্রশ্ন পড়ে উত্তরটি দিয়েছেন নাকি এই বিকৃত প্রশ্ন পরেই উত্তর দিযেছেন? প্রশ্নটি কি আমাকে পুনরায় করতে হবে?????
by (573,570 points)
তওবা এবং কালেমায়ে শাহাদত পড়লেই সে মুসলমান হয়ে যাবে।
মৌখিকভাবে জানানোর প্রয়োজন নেই।
by (573,570 points)
জী,আপনার রিয়েল প্রশ্ন পড়েই উত্তর দেওয়া হয়েছে।
,
কোনো সমস্যার কারনে প্রশ্নটি বিকৃত হয়ে গেছে 
ইডিট করে আগে যেমন প্রশ্ন ছিলো,ঠিক তেমনই করে দিলে ভালো হতো।
জাযাকাল্লাহ।  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...