আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (115 points)
আমি কয়েকদিন ধরে উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখছি।যেগুলো দেখার পর আমি চিন্তিত হয়ে যাই। [উল্লেখ্য,আমি একজন রুকইয়াহ পেশেন্ট এবং আমার বিয়ের উপর যাদু আছে]

আফওয়ান লিখাটা বড় হবে।

(১)

এক স্বপ্নে দেখেছি আমার মৃত বাবাকে যার কোলে বসে আমি রিক্সা করে যাচ্ছিলাম।উনি তখন মুরগীর দোকান দেখে সম্ভবত হেসে দেন।মুরগী কিনতে চাইছিলেন আমি বলছি আমি এসে কিনে নিয়ে যাব।রিক্সায় চলন্ত অবস্থায় পথে একটা পাগলকে দেখি যে রাস্তায় দাঁড়ানো অবস্থায় প্রস্রাব করছে।আবার এক পর্দাশীল ফকিরকে আমাদের কাছ থেকে টাকা খুঁজতে দেখলাম কিন্তু আমরা তাকে টাকা না দিয়ে চলে যাই।আবার দেখলাম আমি আর আব্বু আম্মু সৌদি আরব গেছি।কিন্তু সেখানে পৌঁছে কারেন্ট এর তার পড়ে যায় আমাদের উপর হয়তো। আব্বু মারা যায় কিন্তু আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে আব্বু।সম্ভবত পরে আমি বেঁচে যাই।

আরেক স্বপ্নে দেখলাম আমাকে এক লোক গুলি করে মারতে চাচ্ছে।আমি বারবার বুঝানোর চেষ্টা করি আমাকে যাতে না মারে।আমি ভয় পাচ্ছিলাম খুব।সেই লোকটা প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছিলো কারণ আমার জাওযের কারণে হয়তো তার স্ত্রী মারা যায় তাই সে এখন আমাকে মারতে চাচ্ছে।(বাস্তবে আমি অবিবাহিত).. বারবার মারতে চাইতো আমাকে কিন্তু আমি বুঝানোর পর থেমে যেতো।পরে কি জানি হয়।আমার জাওয আমাকে নিয়ে চলে যায় ওই লোকটা নিজেকে নিজেই গুলি করে মেরে ফেলে।আবার সেই একই স্বপ্নে দেখলাম সাদা কোর্ট পড়াওয়ালা কেউ আমাকে আর আমার জাওযকে ফলো করছে।পরে যা বুঝলাম সেও আমাদের ক্ষতি করতে চাচ্ছে।

(২)

এক বায়োডাটা দেখে আমার খুব পছন্দ হয়েছে।এমনকি আমার রিকুয়ারমেন্টস এর সাথে প্রায় মিল।এই বলে ঘুমানোর আগে ইস্তেখারার দুয়া পড়লাম।আল্লাহর কাছে কোনো ইশারা পাওয়ার আশায়। আবার সেদিন আমি বাসায় বলতেছিলাম এমন যে আমার আশেপাশের ফ্রেন্ডের বিয়ে হয়ে গেছে।যাইহোক,এরপর স্বপ্নে দেখলাম আমার এক ফ্রেন্ড(বেদ্বীন) এর বিয়ে হচ্ছে আর আমি ওর জন্য কান্না করতেছি।একদম অনৈসলামিক নিয়মে বিয়ে হচ্ছিলো।সেখানে আরো বেদ্বীন ফ্রেন্ড ছিলো আমার।তো দেখলাম সেখানে এক ছেলে আমাদের মধ্য হতে কারো সাথে রিলেশন করতে চাচ্ছিলো কিন্তু যার সাথে রিলেশন করতে চায় তাকে প্রপোজ করতে পারলো না।পরে আরেকটা ফ্রেন্ডকে ধরে হাতে রিং পড়ায় দিলো।অর্থাৎ প্রপোজ করলো যাতে রিলেশন করে।ছেলেটা আসলে চাচ্ছিলো কারো সাথে রিলেশন হোক।কিন্তু আমার সেই ফ্রেন্ডটাও জানিয়ে দেয় সে পূর্বে অনেক গুনাহ করেছে।এখন আর নতুন গুনাহয় জড়াতে চাচ্ছেনা(আমার সেই ফ্রেন্ড টাও বেদ্বীন ছিলো)।এখন বুঝতেছিনা এইটা কোনো খারাপ ইশারা নাকি আমার প্যারানরমাল সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে।

 (৩)

গতকাল আমরা বাসায় আলোচনা করতেছিলাম আমার এক ভাই এক্সিডেন্ট করছে তাকে নিয়ে।তার কপালে সেলাই হয়ছে। হসপিটালে।গত রাতে ওর পায়ের অপারেশন হয়ছে।আমিও খালামণির সাথে আলোচনা করতেছিলাম হসপিটালের খারাপ অবস্থা। সেখানে নানা রোগী আসতে ছিলো যাদের দেখে মনে খারাপ লাগে।আমার মামা মামীও হসপিটালে গেছিলো আমার ভাইকে দেখতে।

 আবার কাল রাতেও বায়োডাটা টা নিয়ে ভাবতেছিলাম।আমার আসলেই খুব পছন্দ হয়ছিলো।ঘুমানোর আগে নিজ থেকেই বাংলায় ইস্তেখারার মতো দুয়া করলাম।এরপর স্বপ্নে দেখলাম আমার এক খালা ফোন কলে কান্না করতেছে কোন দুইজন নারী মারা গেছে।নানু বাড়িতে দেখলাম এক পাটিতে যেখানে মৃত মানুষদের শুয়ানো রাখা হয় সেখানে আমার মামীকে শুয়ে রাখা হয়ছে।যদিও আমরা বুঝতেছিলাম না মামী ঘুমাচ্ছে নাকি মারা গেছেন। এই স্বপ্নে আরো কি কি দেখলাম।নানু বাড়িতে অনেক ঝামেলা চলতেছে।


আমি বুঝতেছিনা কি হচ্ছে,স্বপ্নগুলো খারাপ কিছুর ইঙ্গিত কিনা!নাকি আমার প্যারানরমাল সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে!

এই বায়োডাটায় কি আগানো উচিত?আমি মূলত দ্বীনদারিতার দিকে বেশি ফোকাস করেছি।সে হিসেবে আমার রিকুয়ারমেন্টস সাথে অনেককিছুই মিলে গেছে।

[আমি প্রতিদিন রাতেই মাসনূন আমল করে ঘুমাই আলহামদুলিল্লাহ ]

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير)
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1093

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1816
(এলাজে কুরআনী-০৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বপ্নগুলোর অধিকাংশই কাল্পানিক। আর কিছু দ্বারা ইংগিত দেয়া হচ্ছে যে, যাতেকরে আপনি আ'মলের হিস্যাকে আরো বাড়িয়ে দেন। সুতরাং আপনি নিয়মিত নামায পড়বেন।নফল ইবাদতের সাথে সাথে দান সাদাকাহ করবেন।

বর্তমানে যেই পাত্র নিয়ে আলোচনা চলছে, তার সম্পর্কে আরো একটু খোঁজখবর নেন, এবং যতদিন না অন্তরে কোনো পাত্রর  পরজিটিভ ধারণা আসছে, ততদিন ইস্তেখারা করতে থাকুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...