بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ছবি আঁকার ক্ষেত্রে মৌলিক মাসআলা হল, প্রাণীর ছবি
আঁকা হারাম। মৃত্যুর পর প্রাণীর ছবি আঁকিয়ে ব্যক্তির কঠিন আযাব হবে মর্মে একাধিক হাদীসে
সতর্ক বাণী এসেছে। তবে যেসব আঁকা বস্তুকে প্রাণী বলা যায় না। সেসব বস্তু আঁকাতে কোন
সমস্যা নেই।
সেই হিসেবে প্রাণী বুঝা যায় না এমন ছবি আঁকার দ্বারা কাজটি হারাম
হবে না। বরং এটি জায়েজ আছে। সুতরাং জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِى الْحَسَنِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ إِنِّى رَجُلٌ أُصَوِّرُ هَذِهِ الصُّوَرَ فَأَفْتِنِى فِيهَا. فَقَالَ لَهُ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا مِنْهُ ثُمَّ قَالَ ادْنُ مِنِّى. فَدَنَا حَتَّى وَضَعَ يَدَهُ عَلَى رَأْسِهِ قَالَ أُنَبِّئُكَ بِمَا سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ « كُلُّ مُصَوِّرٍ فِى النَّارِ يَجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسًا فَتُعَذِّبُهُ فِى جَهَنَّمَ ». وَقَالَ إِنْ كُنْتَ لاَ بُدَّ فَاعِلاً فَاصْنَعِ الشَّجَرَ وَمَا لاَ نَفْسَ لَهُ.
হযরত সাঈদ বিন আবুল হাসান বলেন, এক ব্যক্তি
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ এর কাছে এসে বলল, আমি চিত্রকর। এবং চিত্র অংকন করি। এতএব
এ সম্পর্কে আমাকে শরীয়তের বিধান বলে দিন। ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমার কাছে আস।
সে ব্যক্তি তাঁর কাছে গেল। তিনি পুনরায় বললেন, আমার কাছে আস। সে ব্যক্তি তার এত কাছে
গেল যে, ইবনে
আব্বাস রা তাঁর হাত ঐ ব্যক্তির মাথার উপর রাখলেন, এবং বললেন, আমি তোমাকে
এ সম্পর্কে এমন একটি হাদীস শুনাচ্ছি, যা আমি রাসূল সাঃ এর কাছে শুনেছি। আমি
রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, “সকল চিত্রকরই দোযখে যাবে। আর প্রত্যেক চিত্রের পরিবর্তে জীবিত
এক ব্যক্তিকে বানানো হবে,
যা দোযখে তাকে শাস্তি দেবে”। ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, যদি তোমাকে
এরূপ করতেই হয়, তাহলে
গাছ-পালা বা এমন বস্তুর ছবি তৈরী কর যা প্রাণী নয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৬৬২}
عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما أخبره : أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال ( إن الذين يصنعون هذه الصور يعذبون يوم القيامة يقال لهم أحيوا ما خلقتم
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে
লোকেরা ছবি আঁকে, কিয়ামতের
দিন তাদের শাস্তি দেয়া হবে। আর তাদের বলা হবে যে, যা তোমরা বানিয়েছো তাতে প্রাণ দাও। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৬৯৪১, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬০৭, ৭১১৯, ৫৬১২, ৫৬১৬, ৭১১৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৬৫৭, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৮৪৫, }
عبد الله قال : سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( إن أشد الناس عذابا عند الله يوم القيامة المصورون
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ
করেছেন যে, কিয়ামতের
দিন বেশি কঠিন শাস্তি হবে ছবি অংকনকারীদের। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৬৪৩২, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৫৬০৬, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৬৫৯}
عَنْ أَبِي طَلْحَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلَا تَصَاوِيرُ
হযরত আবু তালহা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ কে আমি বলতে শুনেছি
যে, ঐ ঘরে
ফেরেস্তা প্রবেশ করে না,
যেই ঘরে কুকুর বা জীব-জন্তুর ছবি থাকে। {তাহাবী শরীফ, হাদীস নং-৫২৭২, সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস
নং-৪১৫৯, সুনানে
ইবনে মাজাহ, হাদীস
নং-৩৬৪৯, সুনানে
বায়হাকী, হাদীস
নং-১০৮৪, সুনানে
তিরমিযী, হাদীস
নং-২৮০৪, সুনানে
দারেমী, হাদীস
নং-২৬৬৩, সহীহ
বুখারী, হাদীস
নং-৩০৫৩, সহীহ
মুসলিম, হাদীস
নং-৫৬৩৩, সহীহ
ইবনে হিব্বান, হাদীস
নং-৫৮৫৫}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. জ্বী
মসজিদ, ফিলিস্তিনের পতাকা ও কাবা ঘরের ছবি আঁকা জায়েয আছে । কারণ, জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই।
২.
জ্বী না জায়েয নেই। আরো জানুন: https://ifatwa.info/69890/