بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
শরীয়তের
বিধান হলো কারো নিকট বান্দার হক পাওনা থাকলে,প্রথমে উক্ত হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত
চেষ্টা করতে হবে। সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির
পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবে।এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ
পক্ষ্য থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِعَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি
বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়,
সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন
দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা
তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা
তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯. (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০,
ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. উল্লেখিত হাদীস শরীফে রাসুলুল্লাহ সাঃ ভাইয়ের উপর
জুলুম সংক্রান্ত বিষয় বলেছেন। এখানে ভাই বলতে মুসলমান উদ্দেশ্য। তাই কাফের বা মুশরিকের হক নষ্ট করলে আখেরাতে মুসলমানের আমল
সে কাফেরকে দেওয়া হবেনা, বা সেই কাফেরের গুনাহ মুসলমানকে দেওয়া হবেনা। তবে কাফেরের হক নষ্ট করাও
যেহেতু নাজায়েজ, বান্দার হক নষ্টের অন্তর্ভুক্ত, তাই এক্ষেত্রে আখেরাতে সেই মুসলমান বান্দার উপর অবিচার
করা হবেনা। বরং তাকে
শাস্তি দেওয়া হবে।
২. হতে পারে এর বিনিময়ে জাহান্নামে উক্ত কাফের বা মুশরিকের শাস্তির মাত্রা কিছুটা হ্রাস করা হবে।