ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
https://ifatwa.info/3623/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
হারাম থেকে বেঁচে থেকে বৈধ বিষয়ের যেকোনো প্রকার চাকুরী করা
গনতান্ত্রিক দেশে হোক, সমাজতান্ত্রিক দেশে হোক, ইসলামী দেশেই হোক জায়েয
ও বৈধ রয়েছে। অবৈধ বিষয়ের চাকুরী যেমনভাবে ইসলামী রাষ্ট্রে জায়েজ নেই, অবৈধ বিষয়ের
চাকরী গনতান্ত্রিক দেশেও জায়েয নাই। বৈধ বিষয়ের চাকরি যেমনভাবে ইসলামী রাষ্ট্রে জায়েয আছে,গনতান্ত্রিক
দেশেই জায়েয আছে।
,
তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত
বিরোধী কোন করতে হয় তাহলে সেই কাজ করা জায়েজ নয়।
তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ
করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-
لا
طاعة لمخلوق في معصية الخالق،
'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন
মাখলুকের আনুগত্য নেই।'
কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما
الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী
: ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)
নিজে উপার্জন করে খাওয়ার কথা রাসুল সাঃ বলেছেন।
হাদীসে এসেছে,
হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দি কারুবা রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦِ
اﻟْﻤِﻘْﺪَاﻡِ ﺑْﻦِ ﻣَﻌْﺪِﻱ ﻛَﺮِﺏَ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ: ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ
اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - " «ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ
ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًا ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻲَّ اﻟﻠَّﻪِ ﺩَاﻭُﺩَ
- ﻋَﻠَﻴْﻪِ اﻟﺴَّﻼَﻡُ - ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, নিজ হাতের উপার্জন হতে অধিক উত্তম রিজিক কেউ কখনো আহার করেনি। আর আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন দ্বারাই দিনাতিপাত
করতেন। (মিশকাত-২৭৫৯)
,
তাই যেকোনো বৈধ হাতের কামায় খাওয়া জায়েয আছে। চাই সেটা যেকোনো তন্ত্রের
দেশেই হোক না কেনো।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মৌলিক ভাবে নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচন সচিবালয়ে চাকরী করা
যাবে। তবে যদি এই ক্ষেত্রে অনৈতিক কাজে অর্থাৎ ভোট গণনাতে ভুল, ডাবল ভোট, জাল ভোট ইত্যাদিতে সহযোগিতা করা
হয় তাহলে তাহলে উক্ত পদে চাকরী করা জায়েজ নেই।
উল্লেখ্য যে, আমাদের
যতোটুকু জানা যে, এই পদে থেকে সুষ্ঠ ভাবে কাজ পরিচালনা করা কঠিন
হয়ে যায়। নিজে চাইলেও বড় অফিসারের মাধ্যমে তা করা সম্ভব হয় না। বরং অনৈতিক কাজে বাধ্যতামূলক সহযোগিতা
করাই লাগে। তাই এমন পদে চাকরী করা থেকে বিরত থাকাই ভালো।