ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাবালক ছেলে বা মেয়ের সম্মতি ব্যতিত তাদেরকে বিবাহ দেওয়া অভিভাবকদের জন্য জায়েয হবে না।
যেমন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ وَلاَ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ إِذَا سَكَتَتْ
কুমারী নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার অনুমতি গ্রহণ করা হবে। আর বিধবা নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মত গ্রহণ করা হবে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! তার অনুমতি কেমন করে? তিনি বললেন, যখন সে নীরব থাকে। (বুখারী ৬৪৯৭)
তবে জোর করে বিয়ে দেয়া যদিও একটি অনৈতিক কাজ, তবে মেয়ের সম্মতি থাকলেই তথা কবুল বলে নিলে, জোরপূর্বক হলেও বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। (রদ্দুল মুহতার ৪/৮৭ বাদায়ে’ ২/৬০২)
আবু হুরায়রা রাযি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ثَلاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ : النِّكَاحُ ، وَالطَّلاقُ ، وَالرَّجْعَةُ
তিনটি বিষয় এমন রয়েছে যা গোস্বায় হোক বা হাসি ঠাট্টায় হোক সর্বাবস্থায় কার্যকরী হয়ে থাকে। বিবাহ, তালাক ও রজয়াত। (আবু দাউদ ২১৯৪ তিরমিযি ১১৮৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাবালক সন্তানকে জোর করে বিয়ে দেওয়া কখনো জায়েয হবে না। তবে যদি জোর করার পরিপেক্ষিতে কোনো সাবালক সন্তান কবুল বলে নেয়, তাহলে জোর করা অভিভাবকের জন্য নাজায়েয হলেও সেই বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।
অভিভাবকরা সন্তানে ভালো জন্যই সিদ্ধান্ত নেন। কেননা অভিভাবকরা কখনো সন্তানের অকল্যাণ কামনা করেন না। অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, অভিভাবকরা যা বাচাই করেন, সেটাই সন্তানের জন্য পরবর্তীতে কল্যাণকর হিসেবে দেখা দেয়।
হ্যা, অভিভাবকরা কখনো দ্বীনের তুলনায় দুনিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন, এক্ষেত্রে অভিভাবকদের কথা গ্রহণযোগ্য হবে না।বরং দ্বীনকে অগ্রাধিকার দেয়ার সকল প্রকার চেষ্টা প্রচেষ্টা করতে হবে।